বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট : নতুন যুগে বাংলাদেশ

ভূমিকা : বাংলাদেশের মহাকাশ জয়ের গল্প রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো, যা ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে থাকবে যুগযুগ ধরে। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মহকাশ অভিযানের সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর থ্যালিস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ উপগ্রহ। এটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে।

স্যাটেলাইট কী : স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ হলো মহাকাশে উৎক্ষেপিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবিত উপগ্রহ। এই মানবসৃষ্ট উপগ্রহকে বলা হয় কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে এমনভাবে পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে যাতে এর গতির বহির্মুখী শক্তি স্যাটেলাইটকে বাইরের দিকে গতি প্রদান করে কিন্তু পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে পৃথিবীর আওতার বাইরে যেতে দেয় না। উভয় শক্তি স্যাটেলাইটে ভারসাম্য প্রদান করে এবং স্যাটেলাইট পৃথিবীর চুতর্দিকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। যেহেতু মহাকাশে বায়ুর অস্তিত্ব নেই, তাই এটি বাধাহীন পরিভ্রমণ করে। স্যাটেলাইট বৃত্তাকার পরিভ্রমণ করে না, এর গতিপথ ডিম্বাকার কারণ পৃথিবীর আকৃতি ডিম্বাকার। পৃথিবী থেকে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে সিগন্যাল বা ডেটা পাঠানো হয়, স্যাটেলাইট সেগুলো গ্রহণ করে এবং এম্পলিফাই করে পৃথিবীতে প্রেরণ করে।

ইতিহাস : ২০০৮ সালে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাণ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে। এরপর ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় রাষ্ট্রীয় কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিটের কাছে ইলেকট্রনিক আবেদন করে বাংলাদেশ। কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবস্থার নকশা তৈরির জন্য ২০১২ সালের মার্চে প্রকল্পের মূল পরামর্শক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্পেস পার্টনারশীপ ইন্টারন্যাশনাল কে নিয়োগ দেওয়া হয়। স্যাটেলাইট সিস্টেম কিনতে ফ্রান্সের কোম্পানি থেলিস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে ১ হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার চুক্তি করে বিটিআরসি। ২০১৫ সালে বিটিআরসি রাশিয়ার উপগ্রহ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনার আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে। ২০১৭ সালে কৃত্রিম উপগ্রহের সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি নিমিটেড নামে একটি সংস্থা গ্রঠন করা হয়। এই সংস্থার প্রাথমিক মূলধন হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয় ৫০০০ কোটি টাকা।

বিবরণ : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে। ফ্রান্সের থ্যালিস অ্যালেনিয়া স্পেস কর্তৃক নকশা ও তৈরি করা হয়েছে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তি মালিকানাধীন মহাকাশযান সংস্থা স্পেস-এক্স থেকে উৎক্ষেপণ করে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১৬০০ মেগা হার্টজ ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৪০ টি কু এন্ড সি ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার বহন করছে। স্যাটালাইটের বাইরের অংশে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার রঙের নকশার উপর ইংরেজিতে লেখা রয়েছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু-১। বাংলাদেশ সরকারের একটি মনোগ্রামও সেখানে রয়েছে।

নির্মাণ ব্যয় : কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনার জন্য ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একনেক সভায় ২৯৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেয়া হয় ১৩১৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা যা মোট ব্যয়ের ৪৪ শতাংশ। এ ছাড়া বিডার্স ফাইন্যান্সিং এর মাধ্যমে এ প্রকল্পের জন্য ১৬৫২ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা নেয়া হয়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে হংকং ব্যাংকিং কর্পোরেশনের সাথে সরকারের প্রায় ১৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি হয়। ১.৫১ শতাংশ হার সুদসহ ১২ বছরে ২০ কিস্তিতে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

নির্মাণ : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালিস অ্যালেনিয়া স্পেস। এটির নির্মাণ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠায়। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের ওজন তিন হাজার কেজি।

যা আছে : এই স্যাটেলাইটে ৪০ টি ট্রান্সপন্ডার আছে। যার ২০ টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। আর বাকি ২০ টি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

কক্ষপথ কেনা : স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ কেনা হয়। মহাকাশে এই কক্ষপথের অবস্থান ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় ১৫ বছরের জন্য এই কক্ষপথ কেনা হয়।

স্যাটেলাইটের ফুটপ্রিন্ট : বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। শক্তিশালী কেইউ ও সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এটি সবচেয়ে ভালো কভার করবে পুরো বাংলাদেশ, সার্কভূক্ত দেশসমূহ, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন : বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়। এর মধ্যে গাজীপুরের তেলীপাড়ায় টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। এটিই মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের। আর রাঙ্গামাটি গ্রাউন্ড স্টেশনটি গাজীপুরে স্থাপন করা গ্রাউন্ড স্টেশনের বিকল্প।

উৎক্ষেপণ : স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ উৎক্ষেপণ যানে করে ১২ মে বাংলাদেশ সময় রাত ২ টা ১৪ মিনিটে (২০:১৪ ইউটিসি ১১ মে ২০১৮) সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি ফ্যালকন ৯ রকেটের নতুন ব্লক ৫ মডেল ব্যবহার করে প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সুবিধাসমূহ : বর্তমানে দেশের টেলিভিশন চ্যালেনগুলো সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এজন্য বছরে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট চালুর ফলে অনেকাংশেই কমে আসবে এ ব্যয়। টেলিভিশন চ্যালেন ছাড়াও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরণের সেবা পাওয়া যাবে এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। যেকোন ধরণের প্রাকৃতিক দূর্যোগ, টেরিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হলেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবেশ যোগাযোগ মাধ্যম ই-সেবা নিশ্চিত করবে। এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বভাস, টেলিমেডিসিন, ই-লানিং, ই-রিসার্চ, ভিডিও কনফারেন্স, প্রতিরক্ষা ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভালো তথ্য উপাত্ত পাওয়া যাবে এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে নেপাল মিয়ানমার, ভূটান ও অন্যান্য দেশের কাছে সেবা ভাড়া দিতে পারবে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা যাবে। স্যাটেলাইট ভিত্তিক টেলিভিশন সেবা ডিটিএইচ ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এ স্যাটেলাইটটি কাজে লাগবে। এটি আমাদের দেশে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করবে, আবহাওয়ার গতি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে, ঝড়ের গতিবেগ ও পথ নির্ণয় করে ক্ষয় ক্ষতি কমিয়ে আনা যাবে। টিভি এবং রেডিও ব্রডকাস্ট আরও দ্রুত এবং মসৃণ হবে। এইচডি কোয়ালিটি বাড়ানো যাবে। নিজস্ব স্যাটেলাইটের জন্য ইন্টারনেটের গতি বাড়বে। ভূমি ও সমুদ্রে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানে সহয়তা করবে এবং ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি ইত্যাদি কাজে এটি ব্যবহৃত হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান (তারিখ: ০৯-১০-২০২১)

1. Which of these malicious programs collects information about users and sends the data to a remote user? উত্তরঃ Spyware

2. What is the maximum data transfer speed offered by Bluetooth 4.0? উত্তরঃ 24 Mbps

3. Ctrl. Shift and Alt. are called………..উত্তরঃ Modifier

4. Microsoft Office is an example of a ………. উত্তরঃ Horizontal market software

5. ……….are attempts by individuals to obtain confidential information from you by falsifying their identity. উত্তরঃ Phishing scams

6. What is the probability of impossible events? উত্তরঃ 0

7. The expression x+3 is………. উত্তরঃ one variable

8. In a certain class consisting of 36 students, some boys and some girls, exactly 1/3 of the boys and exactly1/4 of the girls walk to school. What is the greatest possible number of students in this class who walk to school? উত্তরঃ 11

9. A fair coin is flipped three times. What is the probability that coin lands head each time? উত্তরঃ1/810. Which of the following software applications would be the most appropriate for performing numerical and statistical calculations? উত্তরঃ Spread Sheet

11. Find the correctly spelt word. উত্তরঃ Adulation

12. To “call it a day” means……….. উত্তরঃ to quit

13. If you are “up tight”, you are………… উত্তরঃ worried

14. 2√3 +√3= উত্তরঃ 3√3

15. The solution of equation x-2y=4 is: উত্তরঃ (4,0)

16. In triangle ABC, if AB=BC and <B=70°, <A will be? উত্তরঃ 55°

17. A boat sailing against a stream of river takes 6 hours to travel 24 kms, while sailing with the stream it takes 4 hours to travel the same distance. What is the speed of the stream? উত্তরঃ 1 km/hr

18. The hypotenuse of a right triangle is 2 centimeters more than the longer side of the triangle. The shorter side of the triangle is 7 centimeters less than the longer side. Find the length of the hypotenuse. উত্তরঃ 17 cm

19. ………..are used to identify a user who returns to a Website. উত্তরঃ cookies

20.RSA is……… উত্তরঃ Asymmetric cryptosystem

21.A communication processor that connects dissimilar networks by providing the translation from one set of protocols to another is………….উত্তরঃ Gateway

22. If in a computer, 16 bits are used to specify address is a RAM, the number of address will be………….উত্তরঃ 65,536

23. A sum of money amounts to TK.9800 after 5 years and TK.12005 after 8 years at the same rate of simple interest. The rate of interest per annum is: উত্তরঃ 12%

24. The price of raw materials has gone up by 15% labor cost has also increased from 25% of the cost raw material to30% of the cost of raw material. By how much percentage should there be reduction in the usage of raw materials so as to keep the cost same? উত্তরঃ 17%

25. The number of students in 3 classes is in the ratio 2 : 3 : 4. If 12 students are increased in each class this ratio changes to 8 : 11 : 14. The total number of students in the three classes in the beginning was- উত্তরঃ 162

26. Two buses start from a bus terminal with a speed of 20 km/h at interval of 10minutes.what is the speed of a man coming from the opposite direction towards the bus terminal if he meets the buses at interval of 8 minutes? উত্তরঃ 5 km/h

27. বৈষ্ণব পদাবলীর সঙ্গে কোন ভাষা সম্পর্কিত? উত্তরঃ ব্রজবুলি

28. সাহচর্য শব্দের শুদ্ধ গঠন কোনটি? উত্তরঃ সহচর + য

29. মুনীর চৌধুরীর ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ একটি- উত্তরঃ অনুবাদ নাটক

30. বন্ধন শব্দের সঠিক অক্ষর বিন্যাস কোনটি? উত্তরঃ বন্ + ধন্

31. Which country is called the “land of palms”? উত্তরঃ Brazil

32. Anti-money Laundering Aet was enacted in Bangladesh in …….উত্তরঃ 2012

33. Which is the largest producer of diamonds in the world…………উত্তরঃ Australia

34. Who is the founder of Wikipedia? উত্তরঃ Jimmy Wales

35. বাংলা কথ্য ভাষার আদি গ্রন্থ কোনটি? উত্তরঃ কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ

36. বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কী বলে? উত্তরঃ কারক

37.‘ নীল-দর্পণ’ নাটকটির বিষয়বস্তু কি? উত্তরঃ নীলকরদের অত্যাচার

38.বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ কয়টি? উত্তরঃ ১১ টি

39. What is the name of the Parliament of Japan? উত্তরঃ Diet

40. How many gas fields are in Bangladesh at present? উত্তরঃ 29

41. Which Bangladesh is the co-founder of YouTube? উত্তরঃ Jawed Karim

42. Bangabandhu Film City is located in…………. উত্তরঃ Gazipur

43. One third of the faculty members of a department are female. Sixteen of the male teachers are unmarried, while 60% of them are married. The total number of faculty members in the department is ……উত্তরঃ 60

44. The surface area of hollow cylinder with radius `r’ and height `h’ is measured by……….. উত্তরঃ 2πrh

45.The diameter of the base of a cone is 10.5 cm. and its slant height is 10 cm. The curved surface area is: উত্তরঃ 165 cm2

46. The three rational numbers between 3 and 4 are. উত্তরঃ 13/4, 14/4, 15/4

47. গোঁফ খেজুরে’ কোন সমাস? উত্তরঃ মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

48. ‘যার কোনমূল্য নেই’-এর সমার্থক বাগধারা কোনটি? উত্তরঃ ঢাকের বাঁয়া

49. ‘বিড়ালের আড়াইপা’ বাগধারাটির অর্থ কি? উত্তরঃ বেহায়াপনা

50. নিচের কোন স্ত্রীবাচক শব্দের দুটি পুরুষ বাচক শব্দ রয়েছে? উত্তরঃ ননদ

51. If you “see eye to eye” with someone, you…………them. উত্তরঃ agree with

52. If it takes a “month of sundays”. It………. উত্তরঃ feels like a long time

53. The study of the situation covers a great deal of relevant material, but does not tackle the real issues……….enough. উত্তরঃ adequately

54.In a child, curiosity normally suggests intelligence and is welcomed; but an …………..adult is best avoided. উত্তরঃ inquisitive

55. A, B and C enter into partnership with investments in the ratio of 5 : 7 : 8. If , at the end of the year A ‘s share of profit is TK,42360, how much is the total profit. উত্তরঃ Tk.169440

56. One dozen eggs and ten pounds of apples are currently of the same price. If the price of a dozen eggs rises by 10% and that of apples rises by 2%. How much more will it cost to buy a dozen of eggs and ten pounds of apples? উত্তরঃ 6%

57. Equal amounts of water were poured into two empty jars of different capacities, which made one jar % full and the other jar 1/3 full. If the water in the jar with the greater capacity. what fraction of the larger jar will be filled with water? উত্তরঃ 1/2

58. M men agreed to purchase a gift for tk. D. If 3 men drop out, how much more will each have to contribute toward the purchase of the gift? উত্তরঃ 3D/(M2-3M)

59. বাংলা সাহিত্যে সনেট রচনার প্রবর্তক কে? উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত

60. উত্তম পুরুষ উপন্যাসের রচয়িতা কে? উত্তরঃ রশীদ করিম

61. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন ? উত্তরঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

62. কাজী নজরুল ইসলামের নামের সাথে জড়িত ধুমকেতু” কোন ধরণের প্রকাশনা? উত্তরঃ পত্রিকা

63. He devised an………..scheme whereby the rate of unemployment in the country could bebrought down sharply. উত্তরঃ ingenious

64. ……….. who enjoys jazz music will enjoy this festival, tickets for which can be bought at—–good music shop. উত্তরঃ anybody, every

65. The police officers……………the suspicious killing of a diplomat before a renowned businessman………… a couple of days ago, উত্তরঃ had been investigating, was killed

66. Because I’m repeatedly leaving things behind my mother always tells me that I …. all my belongings in my bag before leaving the sports centre. উত্তরঃ must check, have

67. A certain class is divided into two sections A and B of equal number of students. If the ratio of girls to boys for whole class is 3/5 and the ratio of girls to boys in section A is 5/7. What is ratio of girls to boys in section B? উত্তরঃ 1 to 2

68. If x +9/x2-31, what is the value of x-3/x? উত্তরঃ 5

69. How many positive integers less than 100 are neither multiples of 2 or 3. উত্তরঃ 33

70. The volume of a rectangle with length, breadth and height as 3x, 3x and 7×4 উত্তরঃ 105x^7

71. ‘জঙ্গম’ -এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি? উত্তরঃ স্থাবর

72. নিত্য মূর্ধন্য -ষ কোন শব্দে বর্তমান? উত্তরঃ আষাঢ়

73. ‘অক্ষির সমীপে’ এর সংক্ষেপণ হল উত্তরঃ সমক্ষ

74. উপসর্গের সাথে প্রত্যয়ের পার্থক্য হলো উত্তরঃ উপসর্গ থাকে সামনে আর প্রত্যয় থাকে পেছনে

75. Which gas is used in electric bulb? উত্তরঃ Argon

76. What is the length of Bangabandhu Tunnel? উত্তরঃ 3.40 KM

77. Which one of these planets is nearest to the carth? উত্তরঃ Mercury

78. What is the animal symbol of World Wildlife killing of a diplomat before a renowned Fund (WWF)? উত্তরঃ Giant Panda

79. ……a little bit of history, it was thought to be impossible in any computer system…… window with a functioning channel. উত্তরঃ Given, having

80. In the 1930s, physicists devised machines for ……..subatomic particles by electromagnetic forces and making them…….faster and faster. উত্তরঃ pushing, go

81. Special heat sensors on the front of the rattlesnake’s head enable it…… to detect the presence of prey in the dark….. to strike its victim accurately. উত্তরঃ not only, but also

82. …… the computerized Dutch auction system, the flower industry gets flowers into our when they are still…… their best.উত্তরঃ Under, at

83. Up to the present time, oceanographers…… lots of Seafloor Mountains they….. existed. উত্তরঃ have found, haven’t known

84. Julius Creaser ………… a great historian if the making of history ….him the time and the inclination to write it. উত্তরঃ could have been, have allowed

85. The experts are now fully convinced that the animal two old woman ..at the perk………….a puma. উত্তরঃ: saw, was

86. From which country the SMART card NIID of Bangladesh Election Commission was made? উত্তরঃ France

87. What is the Cash Reserve for the scheduled commercial bank in Bangladesh? উত্তরঃ 4%

88. The first woman to climb Mount Everest was ….. উত্তরঃ Junko Tabei

89. Which one of the following countries is not a member of the OPEC? উত্তরঃ Malasiya

90. What is the length of each stump in Cricket? উত্তরঃ 28 inches

91. A colleague of…..has lent us ….. holiday collage for a week. উত্তরঃ mine / his

92. You had better complain to the manager if you think you ………….an unfair proportion of the work. উত্তরঃ have been given

93. Which one of the following is not a Baltic State? উত্তরঃ Belarus

94. The Nuclear Non-Proliferation Treaty came in to homes their best. উত্তরঃ 1970

95. Which one of the following theories of Communism is not a Doctrine of Karl Marx? উত্তরঃ Theory of New Democracy

96. Given that 1+2+3+…+10°-385, what is the value of ………30%? উত্তরঃ 3465

97. An iron rod that weighs 24 kg is cut into two pieces so that one of these pieces weighs 16 kg and is 34 m long. If the weight of each piece is proportional to its length, how long is the other piece? উত্তরঃ 17m

98. If x= 7-4V3 then find the value of (x+1/x)? উত্তরঃ 14

99. The product of two different irrational numbers is always উত্তরঃ Both of avobe

100. By selling a bicycle for Tk. 2,850, a shopkeeper gains 14%. If the profit is reduced to 8%, then the selling price will be: উত্তরঃ 2700

পদার্থের অবস্থা ও তাদের পরিবর্তন

পদার্থ: যার ভর আছে, যা স্থান দখল করে অবস্থান করে তাকে পদার্থ বলে।
পদার্থের অবস্থাভেদ : পদার্থ তিনটি অবস্থায় থাকতে পারে। যথা: কঠিন, তরল ও বায়বীয়। তাপ পদার্থের তিন অবস্থায় রূপান্তরের কারণ। পানি একমাত্র পদার্থ যা প্রকৃতিতে কঠিন (বরফ), তরল (পানি) এবং বায়বীয় (জলীয় বাষ্প) তিনটি অবস্থাতেই পাওয়া যায়।
কঠিন পদার্থ : কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন এবং দৃঢ়তা আছে। আর অণূসমূহ পরস্পরের অতি সন্নিনিকটে অবস্থান করে। যেমন: বালু, পাথর, লবণ।
তরল পদার্থ :  তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই। তরল পদার্থের অণুসমূহ পরস্পরের সন্নিনিকটে থাকে, তবে তাদের মধ্যকার আকর্ষণ কঠিন পদার্থের মত প্রবল নয়। উদাহরণ: পানি, কেরোসিন।
বায়বীয় পদার্থ : বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই। বায়বীয় পদার্থের অনুসমূহের দূরত্ব অনেক বেশি, তাই আকর্ষণ শক্তি অনেক কম। ফলে তারা মুক্তভাবে চলাচল করে। উদাহরণ: নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন।
গলনাংক : যে অবস্থায় কোন পদার্থ কঠিন পদার্থ হতে তরল অবস্থায় পরিণত হয়, তাকে সে পদার্থের গলনাংক বলে। পানির গলনাংক ০ সেন্টিগ্রেড।
স্ফুটনাংক : যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ ফুটতে থাকে, তাকে সে পদার্থের স্ফুটনাংক বলে। পানির স্ফুটনাংক ১০০ সেন্টিগ্রেড।
উর্ধ্বপাতন : কোন কোন ক্ষেত্রে কঠিন পদার্থকে উত্তপ্ত করলে তা তরলে রূপান্তরিত হয়, এই প্রক্রিয়াকে উর্ধ্বপাতন বলে। যেমন: কর্পুর, গন্ধক, আয়োডিন, ন্যাপথালিন, নিশাদল, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, আর্সেনিক, বেনজয়িক এসিড ইত্যাদি।
পদার্থের শ্রেণীবিভাগ : পদার্থকে ২ টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা- (১) মিশ্রণ ও (২) খাটি বস্তু।
মিশ্রণ : দুই বা ততোধিক পদার্থকে যে কোন অনুপাতে একত্রে মিশালে যদি তারা নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে পাশাপাশি অবস্থান করে, তবে উক্ত সমাবেশকে মিশ্রণ বলে। বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ।
খাটিঁ বস্তু : খাটি বস্তু ২ভাগে বিভক্ত যথা- (ক) মৌল ও (২) যৌগ।
(ক) মৌল বা মৌলিক পদার্থ : যে পদার্থকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে অন্য কোন সহজ বস্তুতে রূপান্তরিত করা যায় না, তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন: হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, সোনা, তামা। পৃথিবীতে বর্তমানে মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ১১৮ টি। এদের মধ্যে ৯৮ টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। কৃত্রিম উপায়ে প্রাপ্ত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ২০ টি।
(খ) যৌগ বা যৌগিক পদার্থ : যে বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে যৌগ বা যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন : পানি।
পদার্থের পরিবর্তন : পদার্থের পরিবর্তন দুই ধরণের। যথা- (১) ভৌত বা অবস্থাগত পরিবর্তন (২) রাসায়নিক পরিবর্তন।
(১) ভৌত বা অবস্থাগত পরিবর্তন : যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের শুধু বাহ্যিক আকার বা অবস্থার পরিবর্তন হয় কিন্তু নতুন কোন পদার্থে পরিনত হয় না, তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। যেমন: পানিকে ঠান্ডা করে বরফে এবং তাপ দিয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত করা, একটি লোহার টুকরাকে ঘর্ষণ করে চুম্বকে পরিণত করা ও তাপ দিয়ে মোম গলানো।
(২) রাসায়নিক পরিবর্তন : যে পরিবর্তনের ফলে এক বা একাধিক বস্তু প্রত্যেকে তার নিজস্ব সত্তা হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক নতুন বস্তুতে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। যেমন: লোহায় মরিচা ধরা, দুধকে ছানায় পরিণত করা, চাল সিদ্ধ করে ভাতে পরিণত করা ও দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বলানো।

  • যার ভর অাছে, জায়গা দখল করে এবং জড়তা অাছে তাই – পদার্থ।
  • পদার্থের অবস্থা – ৩ টি। যথা : কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
  • পদার্থ দুই ভাগে বিভক্ত। যথা : মিশ্রণ ও খাটি বস্তু।
  • মিশ্রণ দুই প্রকার। যথা : সমসত্ব ও অসমসত্ব।
  • খাটি বস্তু দুই প্রকার। যথা: মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ।
  • মৌলিক পদার্থ চার প্রকার। যথা : ধাতু, উপধাতু, অধাতু ও নিষ্ক্রিয় মৌল।
  • যৌগিক পদার্থ দুই প্রকার। যথা : জৈব যৌগ ও অজৈব যৌগ।
  • যে সকল বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য কোন সহজ বস্তুতে রুপান্তরিত করা যায় না, তাকে বলে – মৌলিক পদার্থ।
  • এ পর্যন্ত অাবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা – ১১৮ টি।
  • যে সকল বস্তুককে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে বলে – যৌগিক পদার্থ।
  • যে সব মৌল কখনো ধাতু কখনো অধাতুর ন্যায় ন্যায় অাচারণ করে তাকে বলে – উপধাতু। যেমন : অার্সেনিক, বোরন, সিলিকন।
  • তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে বলে – ধাতু।
  • যেসব মৌল প্রধানত তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী তাদের বলে – অধাতু।
  • দুই বা ততোধিক পদার্থকে যে কোনো অনুপাতে মিশালে যদি তারা নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে পাশাপাশি অবস্থান করে, তবে উক্ত সমাবেশকে বলে – মিশ্রণ।
  • বায়ু একটি – মিশ্র পদার্থ।
  • সবচেয়ে হালকা গ্যাস – হাইড্রোজেন।
  • সবচেয়ে ভারী পদার্থ – তরল মারকারি বা পারদ।
  • পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি – ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
  • যেসব কঠিন পদার্থ উত্তপ্ত করলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় তাকে বলে – উর্ধ্বপাতিত/উদ্বায়ী পদার্থ। যেমন : অায়োডিন, কর্পূর, নিশাদল।
  • পদার্থের পরিবর্তন – দুই প্রকার। যথা: ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন।
  • ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ :

➺ লোহাকে চুম্বকে পরিণত করা।
➺ চিনিকে পানিকে দ্রবীভূত করা।
➺ কঠিন মোমকে তাপে গলানো।
➺ বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো।
➺ পানিকে ঠান্ডা বরফে পরিণত করা।
➺ পানিকে তাপ দিয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত করা।

  • রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ :

➺ লোহায় মরিচা পড়া
➺ দুধকে ছানায় পরিণত করা
➺ মোমবাতির দহন
➺ দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো
➺ গাছের পাতায় খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া

  • নির্দিষ্ট চাপে কোন কঠিন পদার্থ যে তাপমাত্রায় গলতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের – গলনাংক।
  • নির্দিষ্ট চাপে কোন তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় জমতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের হিমাংক।
  • নির্দিষ্ট চাপে কোনো তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় বাষ্পীভূত হতে থাকে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের -স্ফুটনাংক।
  • চাপ বৃদ্ধি পেলে স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়, চাপ কমলে – স্ফুটনাংক কমে।
  • যে তাপে বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধু অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় সে তাপকে বলে – সুপ্ততাপ।
  • গলনাংক, স্ফুটনাংক এবং ঘনত্ব হলো – পদার্থের ভৌত ধর্ম।

 

সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ

  • অন্ধকার – আঁধার, তমসা, তম, তমঃ, তিমির, তমিস্র, তমসা, নিরালোক, অমা, অনামিশা, শর্বর, নভাক।
  • অশ্রু – চোখের জল, নেত্রজল, লোর, নয়নজল, অশ্রুবারি, আখিঁ-নীর।
  • অনুশীলন – চর্চা, অভ্যাস, রেওয়াজ, মকশো, তালিম।
  • আলো – ভাতি, দীপ্তি, প্রভা, জ্যোতি, উদ্ভাস, আভা, বিভা, নূর, রওশন, দ্যুতি।
  • আকাশ – অন্তরীক্ষ, অম্বর, অভ্র, অনন্ত, গগণ, ব্যোম, শূন্য, শূন্যলোক, নভঃ, নীলিমা, দুল্যোক, আসমান।
  • আগুন – অগ্নি, অনল, পাবক, বহ্নি, হুতাশন, হুতাশ, কৃশানু, বৈশ্বানর, বিভাবসু, দহন, শিখা, সর্বভূক, সর্বশুচি, বীতিহত্রো।
  • আনন্দ – হর্ষ, হরষ, পুলক, আহ্লাদ, সুখ, ফুর্তি, আমোদ, প্রমোদ, হাসি, খুশি, প্রীতি, উদ্ভাসিত।
  • ইতি – অবসান, বিরাম, শেষ, সমাপ্তি, অন্তিম, অন্ত্য, যবনিকা।
  • ইচ্ছা/ঈস্পা – আকাঙ্খা, স্পৃহা, বাঞ্ছা, মনোরথ, বাসনা, কামনা, অভিলাষ, অভিপ্রায়, আগ্রহ, অভীপ্সা, সাধ, চাওয়া।
  • ঈশ্বর – আল্লাহ, খোদা, ইলাহি, ইশ, প্রভু, মনিব, জগদীশ্বর, জগন্নাথ, ধাতা, বিধাতা, ভগবান, সৃষ্টিকর্তা, স্রষ্টা, পরমাত্মা, বিশ্বপতি, অমর, অমরেশ, অজর, অন্তর্যামী, দেব, দেবতা, সুর।
  • উচ্ছ্বাস – স্ফীতি, স্ফুর্তি, বিকাশ, উল্লাস, স্ফুরণ, উচ্ছলতা, প্রাণাবেগ।
  • ঋত্বিক – যাজ্ঞিক, যজ্ঞকর্তা, যাজক, হোমী, হোমক, হোত্রী।
  • ঋণ – দেনা, ধার, কর্জ, হাওলাত।

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস (পর্ব-১)

বাঙালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ

  • সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠী বিভক্ত – দুইভাগে।
  • আর্যপূর্ব জনগোষ্ঠী মূলত বিভক্ত – চারভাগে (নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও ভোটচীনীয়।
  • আর্যদের আগমনের পূর্বে এ দেশে বসবাস ছিল – অনার্যদের।
  • নেগ্রিটোদের উৎখাত করে – অস্ট্রিক জাতি।
  • বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাতি – অস্ট্রিক জাতি বা আদি অষ্ট্রেলীয়।
  • বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে – অষ্ট্রিক জাতি থেকে।
  • বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে – অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও আর্য জাতির সংমিশ্রণে।
  • সর্বপ্রথম দেশবাচক শব্দ ‍“বাংলা” যে গ্রন্থে ব্যবহার হয় – আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে।
  • গারো, চাকমা, ত্রিপুরা কোচ ইত্যাদি উপজাতি যে গোষ্ঠীভূক্ত – অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, মঙ্গোলীয় বা ভোটচীনীয়।
  • বর্তমান বাঙালি জাতির পরিচয় – সংকর জাতি হিসেবে।
  • বৈদিক যুগ বলে – আর্য যুগকে।
  • আর্য সংস্কৃতি সমধিক বিকাশ লাভ করে – পাল শাসনামলে।
  • আর্যদের আদি নিবাস – ইউরাল পর্বতের দুক্ষিণে কিরঘিজ তৃণভূমি অঞ্চলে।
  • আর্যদের ধর্মগ্রন্থের নাম – বেদ।
  • আংলার আদিম অধিবাসী হলো – অনার্য ভাষাভাষী শবর, পুলিন্দ, হাড়ি, ডোম, চান্ডাল প্রভৃতি সম্প্রদায়।
  • আর্যদের প্রভাব স্থাপনের পরে বঙ্গদেশে যে জাতির আগমন হয় – মঙ্গোলীয় বা ভোটচীনীয়।
  • বাঙালির জনজীবন গড়ে উঠেছে – অন্তত দেড় হাজার বছরের অনুশীলন, গ্রহণ বর্জন ও রূপান্তরের মাধ্যমে।
  • আর্যগণ প্রথম ভারত উপমহাদেশে আগমন করে – সম্ভবত খ্রিষ্টপূর্ব ১৪০০ বা ১৫০০ অব্দে।
  • আর্যজাতি ভারতে প্রবেশ করার পর প্রথমে বসতি স্থাপন করে – সিন্ধু বিধৌত অঞ্চলে।
  • প্রাচীন কর্ণসূবর্ণ বলতে বোঝায় – আধুনিক পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদকে।
  • অস্ট্রিক জাতি বঙ্গভূমি পদাপর্ণ করে – ইন্দোচীন থেকে আসাম হয়ে।

বাংলার প্রাচীন জনপদ

  • বাংলার সর্ব প্রাচীন জনপদ – পুন্ড্র।
  • বঙ্গ নামে দেশের উল্লেখ পাওয়া যায় – খ্রিষ্টপূর্ব তিন হাজর বছর পূর্বে।
  • সর্বপ্রথম বঙ্গ দেশের নাম পাওয়া যায় – ঋগ্বেদের “ঐতরেয় আরণ্যক” গ্রন্থে।
  • সুপ্রাচীন বঙ্গ দেশের সীমা উল্লেখ আছে – ড. নীহাররঞ্জন রায়ের “বাঙালির ইতিহাস” গ্রন্থে।
  • বাংলার আদি জনপদগুলোর ভাষা ছিল – অস্ট্রিক।
  • রাজা শশাংকের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ যে কয়টি জনপদে বিভক্ত ছিল – ৩ টি। যথা: পুন্ড্র, গৌড়, বঙ্গ।
  • পুন্ড্র : উত্তর বঙ্গের একটি জনপদ। বর্তমান বগুড়া, দিনাজপুর, ও রাজশাহী জেলা নিয়ে এই জনপদ ছিল।
  • গৌড়: উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, মালদাহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও চাপাইনবাবগঞ্জের কিছু অংশ।
  • বঙ্গ : দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গদেশ বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল। বর্তমান ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পাবনা, ময়মনসিংহ ঢাকা, কুষ্টিয়া নিয়ে ছিল বঙ্গ জনপদ।
  • বঙ্গ ও গৌড় নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয় – ৬ষ্ঠ শতকে।
  • চন্দ্রদ্বীপ:বর্তমান বরিশাল জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এই জনপদ ছিল।
  • তাম্রলিপ্ত:পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলা।
  • বরেন্দ্র : উত্তরবঙ্গের একটি জনপদ। ঐতিহাসিকেদের মতে − বর্তমান রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কিছু অংশ এবং দার্জিলিং ও কোচবিহারসহ গঠিত সমগ্র অঞ্চল বরেন্দ্র এলাকা।
  • সমতট: বঙ্গদেশের আর্দ্র-নিম্নভূমিকে সমতট হিসেবে উল্লেখ পাওয়া যায়। বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী নিয়ে ছিল সমতট জনপদ।
  • রাঢ় : ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত (বর্ধমান) অঞ্চলকে রাঢ় বলা হয়।
  • হরিকেল: পূর্বভারতের একটি জনপদ। এই জনপদটি বঙ্গদেশের অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও ত্রিপুরার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা হরিকলের অংশ ছিল বলে অনুমান করা হয়।

বিভিন্ন শাসনামলে বাংলার রাজধানী

  • শাসনামল –        রাজধানী
  • প্রাচীন বাংলা –          মহাস্থানগড়
  • সুলতানী আমল –          সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২ সাল), গৌড় (১৪৫০-১৫৬৫ সাল)
  • মুঘল আমল –          সোনারগাঁও, ঢাকা
  • মৌর্য ও গুপ্ত বংশ –          গৌড়
  • আলাউদ্দীন হোসেন শাহ – একডালা
  • গৌড় রাজ্যের/শশাঙ্কের – কর্ণসুবর্ণ
  • হর্ষবর্ধন –          কনৌজ
  • মৌর্যযুগ/পুন্ড্র জনপদ –          পুন্ড্রনগর (বাংলার প্রাদেশিক)
  • খড়গ –          কুমিল্লার কর্মান্তবসাক
  • সেন আমণ/লক্ষণ সেন –          নদীয়া/নবদ্বীপ
  • প্রথম চন্দ্রগুপ্ত –          পাটালিপুত্র
  • ঈশা খা –          সোনারগাঁও
  • দেব রাজবংশ –          দেবপর্বত
  • বর্মদেব –          বিক্রমপুর
  • বুগরা খান –          লক্ষ্মণাবতী
  • গুপ্ত রাজবংশ –          বিদিশা
  • প্রাচীন বাংলায় বিভিন্ন শাসনামল

প্রাচীন বাংলায় আলেকজান্ডারেরর পৃষ্ঠপোষকতা

  • গ্রীক বীর আলেকজান্ডারের জন্ম – খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫৬ অব্দে।
  • আলেকজান্ডারের মৃত্যু হয় – ৩২ বছর বয়সে।
  • শৈশবে আলেকজান্ডার শিক্ষা লাভ করেন – এরিস্টটলের নিকট।
  • আলেকজান্ডার সিংহাসনে আহরণ করেন – ২০ বছর বয়সে।
  • সম্রাট আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেণ – খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে।
  • আলেকজান্ডার তক্ষশীলা ও সিন্ধু উপতক্যার রাজন্যবর্গকে অনুগত্য স্বীকারের আমন্ত্রণ জানিয়ে দূত প্রেরণ করলে বশ্যতা স্বীকারের প্রতিশ্রুতিসহ প্রচুর পরিমাণে উপঢৌকন প্রেরণ করেন – তক্ষশীলার রাজা অম্ভি।
  • রাজা অম্ভি প্রসঙ্গে ‘উপমহাদেশের ইহাইই হলো দেশদ্রহিতার সর্বপ্রথম দৃষ্টান্ত’ উক্তিটি করেছেন – ড. রমেশ মজুমদার।
  • আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর একের পর এক গ্রিক অধিকৃত অঞ্চলসমূহ জয় করেন – চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

মৌর্য বংশ বা সম্রাজ্য

  • মৌর্য সম্রাজ্য যে যুগের একটি বিস্তীর্ণ সম্রাজ্য – লৌহযুগের।
  • ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সম্রাজ্য – মৌর্য সম্রাজ্য।
  • মৌর্য সম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল – সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমিতে অবস্থিত মগধকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।
  • চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য যার সহযোগিতায় বিশাল মৌর্য সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন – চণাক্য।
  • চণাক্য ছিলেন – তক্ষশীলার বাহ্মণ আচার্য্য এবং বিষ্ণুর উপাসক।
  • মৌর্য বাংশের প্রথম সম্রাট – চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
  • মৌর্য সম্রাজ্যের রাজধানীর নাম – পাটালিপুত্র।
  • চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনামলে যে সম্রাট ভারত আক্রমণ করে – গ্রীক বীর আলেকজান্ডার।
  • মৌর্য বংশের স্থায়ীকাল – ১৩৭ বছর (খ্রিষ্ট পূর্ব ৩২২ থেকে খ্রিষ্ট পূর্ব ১৮৫ পর্যন্ত)
  • মৌর্য বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট – সম্রাট অশোক।
  • সম্রাট অশোকের শাসনামলে যুদ্ধ হয়েছিল – কলিঙ্গের যুদ্ধ।
  • কলিঙ্গের যুদ্ধের ভয়াবহতা লক্ষ্য সম্রাট অশোক ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন – বৌদ্ধ ধর্ম।
  • মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট – বৃহদ্রথ।

গুপ্ত বংশ

  • গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বা প্রথম রাজা – ১ম চন্দ্রগুপ্ত (শ্রী-গুপ্ত) ।
  •  গুপ্ত সাম্রাজ্যের গোড়া পত্তন হয় – ৩২০ খ্রিঃ।
  • গুপ্ত বংশের রাজত্বকাল স্থায়ী – ৩২০-৫৫০ খ্রিঃ
  • গুপ্তযুগে বঙ্গের ভাগ ছিল – দুটি।
  • গুপ্ত বংশের মধ্যে শক্তিশালী রাজা ছিলেন – ১ম চন্দ্রগুপ্ত।
  • ম চন্দ্রগুপ্তের উপাধি ছিল – রাজাধিরাজ।
  • গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা – সমুদ্রগুপ্ত।
  • সমূদ্রগুপ্ত সিংহাসনে আরোহন করেছিল – ৩৩৫ খ্রিঃ।
  • সমূদ্রগুপ্ত রাজ্য শাসন করেন – ৪৫ বছর (৩৮০ খ্রিঃ পর্যন্তু)।
  • সমূদ্রগুপ্তের পিতা ছিলেন – ১ম চন্দ্রগুপ্ত।
  •  সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রার নাম ছিল – অশ্বমেধ পরিক্রমা
  •  দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি ছিল – বিক্রমাদিত্য, সিংহবীর
  • মহাকবি কালিদাস যে রজার সভাকবি ছিলেন – ২য় চন্দ্রগুপ্ত।
  • কালিদাস যে যুগের কবি – গুপ্ত যুগের কবি
  • ২য় চন্দ্রগুপ্ত-এর রাজত্বকাল – ৩৮০-৪১৩ খ্রিঃ
  • অজান্তার গুহাচিত্র যে যুগের সৃস্টি – গুপ্তযুগের।
  • গুপ্ত বংশের যে সম্রাটকে ভারতীয় নেপোলিয়ন বলা হয় – সমুদ্রগুপ্তকে।
  • সর্ব প্রথম যে চীনা পরিব্রাজক ভারতবর্ষে আগমন করেন – ফা-ইয়েন।
  • ফা -হিয়েন যার সময়ে ভারতবর্ষ পরিভ্রমন করেন – ২য় চন্দ্রগুপ্ত।
  • ফা -হিয়েনের ভারত পরিভ্রমনের কারণ – বৌদ্ধ ধর্মপুস্তক ‘বিনায়াপিটক’ এর মূল রচনা সংগ্রহ করা।
  •  ফা -হিয়েন ভারতবর্ষে অবস্থান করেন – তিন বছর।
  • গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে – স্কন্দগুপ্তের বিক্রমাদিত্যের জীবনাবসনে।

গৌড় শাসন

  • স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন – শশাঙ্ক।
  • গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় – ৬০৬ সালে।
  • গৌড় রাজ্যের রাজধানীর নাম – কর্ণসুবর্ণ
  • গৌড়ের স্বাধীন নরপতি ছিলেন – শশাঙ্ক।
  • গৌড় বংশের শক্তিশালী রাজা – শশাঙ্ক।
  • শশাঙ্কের উপাধি ছিল – মহাসামন্ত।
  • হিউয়েন সাঙ বৌদ্ধধর্মের নিগ্রহকারী হিসেবে অবিহিত করেছেন – শশাঙ্ককে।
  • চীনা বৌদ্ধ পণ্ডিত হিউয়েন সাঙ ভারতে আসেন – হর্ষবধনের আমলে।
  • শশাঙ্কের পর গৌড় রাজ্য দখল করেন – হর্ষবর্ধন।
  • হর্ষবর্ধনের সভাকবি – বানভট্ট।

মাৎস্যন্যায়

  • পাল তাম্র শাসনে শশাঙ্কের পর অরাজকতাপূর্ণ সময়কে (৭ম-৮ম শতক) বলে – মাৎস্যন্যায়।
  • পুকুরে বড় মাছগুলো শক্তির দাপটে ছোট ছোট মাছ ধরে খেয়ে ফেলার পরিস্থিতিকে বলে – মাৎস্যন্যায়।
  • ৭ম-৮ম শতক বাংলার সবল অধিপতিরা গ্রাস করেছিল – ছোট ছোট অঞ্চলগুলোকে।

পাল আমল

  • পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা – গোপাল।
  • গোপালের রাজত্বকাল – ৭৫০ থেকে ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ২০ বছর।
  • পাল বংশের রাজাগণ বাংলায় – রাজত্ব করেছেন – প্রায় চারশ বছর।
  • পাল রাজারা -ধর্মালম্বী ছিলেন – বৌদ্ধ।
  • বাংলার দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ – পাল বংশ।
  • পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা – ধর্মপাল।
  • গোপালের পরে বঙ্গ দেশের সিংহাসনে আসীন হন – ধর্মপাল।
  • ধর্মপাল বৌদ্ধ ধর্মপ্রসারে স্থাপন করেন – ১০৭ টি মন্দির।
  • ধর্মপালের রাজত্বকাল ছিল – ৭৭০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত ৪০ বছর।
  • নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত ‘সোমপুর বিহার’ -এর প্রতিষ্ঠাতা – ধর্মপাল।
  • লৌসেন (Lausen) – রাজা দেবপালের (৮১০-৮৫০ খ্রিঃ) সেনাপতি।
  • ‘উদীয়মান প্রতিপত্তির যুগ’ বলা হয় কার শাসনামলকে – দেবপালের।
  • কবে পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটে – ১১২৪ খ্রিষ্ঠাব্দে।
  • পাল বংশের সর্বশেষ রাজা – রামপাল।

সেন আমল

  • সেন বংশের প্রথম রাজা ও প্রতিষ্ঠাতা কে – হেমন্ত সেন।
  • সেন রাজাদের পূর্ব পুরুষগণ যে দেশের অধিবাসী ছিলেন – দাক্ষিণাত্যের কর্ণাটক।
  • কার শাসনামলে বাংলা সর্বপ্রথম এক শাসনাধীন আসে  – বিজয় সেনের।
  • বিজয় সেনের রাজত্বকাল বিস্তৃত ছিল – ১০৯৮-১১৬০ খ্রিঃ
  • সেন বংশের সর্বপ্রথম সার্বভৌম রাজা – বিজয় সেন।
  • সেন বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট – বিজয় সেন।
  • বিজয় সেনের দ্বিতীয় রাজধানী – ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে (রামপাল)।
  • কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক – বল্লাল সেন।
  • সেন বংশের সর্বশেষ রাজা – লক্ষন সেন।
  • বাংলার শেষ হিন্দু রাজা – লক্ষন সেন।
  • সেন রাজাদের মধ্যে গৌড়েশ্বর উপাধি ধারণ করেন – লক্ষন সেন।
  • লক্ষণ সেন ছিলেন – বৈষ্ণব ধর্মালম্বী।
  • লক্ষন সেনের রাজধানী ছিল – গৌড় ও নদীয়ায়।
  • সেন বংশের অবসান ঘটে – ত্রয়োদশ শতকে।
  • যে বাঙালী নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাধ্যক্ষ পদ অলংকৃত করেন – শীলভদ্র।

 

A Tale of Two Cities (এ টেল অব টু সিটিজ)

চার্লস ডিকেন্সের অসম প্রেমের কাহিনী নিয়ে রচিত উপন্যাস এ টেল অব টু সিটিজ এর বাংলা অনুবাদ পিডিএফ বই পড়তে ডাউনলোড করে নিতে পারেন নিচের লিংকে ক্লিক করে।

download

ডাউনলোড লিংক : এ টেল অব টু সি‌টিজ

A Tale of Two Cities (এ টেল অব টু সিটিজ) মুভি দেখতে ক্লিক করুন লিংকে  https://www.youtube.com/watch?v=gXSXTqlCasU

 

শতাব্দীভিত্তিক বৈশ্বিক ইতিহাস পরিক্রমা

প্রথম শতাব্দী:

৬৪ – রোম নাগরী অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়।
৬৫ – চীনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন ও প্রচার শুরু হয়।
৭০ – পবিত্র নাগরী জেরুজালেম ধ্বংস হয়।
৭৯ – ভিসুভিয়াসের প্রচন্ড অগ্ন্যুৎপাত ও লাভা উদগীরণ ঘটে এবং ইতালীর প্রাচীন নাগরী পাম্পেই ধ্বংস হয়ে যায়।
৮০ – বাষ্পীয় শক্তি, হাইড্রোলিক সূত্র এবং বর্গমূলের সূত্র আবিষ্কৃত হয়।
৯০ – কম্পাস আবিষ্কৃত হয়।

দ্বিতীয় শতাব্দী:

১০৫ – চীনে প্রথম কাগজ প্রস্তুত করা হয়।
১০৬ – রোম সম্রাজ্য বিস্তার ঘটে।
১২২ – হাড্রিয়ান প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

তৃতীয় শতাব্দী:

২২০ – চীন তিনটি পৃথক রাজ্যে ভেঙে যায়
২৮০ – চীন পুনরায় একত্রিত হয় চী রাজতন্ত্রের অধীনে।
২৯৩ – রোম সম্রাজ্য পূর্ব ও পশ্চিম এ দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
৩০০ – চীনে চা পানের প্রথা চালূ হয়।

চতুর্থ শতাব্দী:

৩১০ – আলজেবরা বা বীজগণিতের উন্নয়ন ঘটে। এর বিকাশ সাধন করেন দিওফানতাস।
৩২০ – চীনে ক্যালিওগ্রাফির উন্নয়ন শুরু হয়।
৩২১ – রোম সম্রাজ্যে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি বা বিশ্রামবার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
৩৫০ – মধ্য আমেরিকায় মায়ান নগর রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি ঘটে।
৩৯২ – রোম সম্রাজ্যের পূর্ব অংশে খ্রিষ্টান ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

পঞ্চম শতাব্দী: পঞ্চম শতাব্দীকে আলকেমি যুগ বলা হয়।

৪০০ – ইস্টার দ্বীপে শিলা পাথরের ভাস্কর্য তৈরি শূরু হয়।
৪০১ – জাপানের সুনির্দিষ্ট ইতিহাস রেকর্ড করা শুরু হয়।
৪১০ – রোম নাগরী লুণ্ঠিত হয় এবং আলকেমি যুগ শুরু হয়।
৪৩৯ – কার্থেজ নাগরী দখল করা হয়।
৪৫০ – সিলে কালির ব্যবহার শুরু হয়।
৪৭৬ – রোম সম্রাজ্যের পূর্বাংশের পতন ঘটে।
৪৭৮ – জাপানে শিন্টোবাদ ধর্মীয় ব্যবস্থার প্রচলন শূরু হয়।
৪৭৯ – বৌদ্ধ ধর্মকে চীনের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়।

ষষ্ঠ শতাব্দী :

৫৭০ – মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জন্ম।
৫৮৯ – চীনে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে এবং সুই রাজতন্ত্রের অধীনে পুনঃএকত্রিত হয়।

সপ্তম শতাব্দী : ইসলাম ধর্মের প্রসারের যুগ।

৬১০ – হযরত মুহাম্মদ (সা) নবুওয়াত লাভ করেন এবং চীনে গ্রান্ড খাল খনন কাজ সম্পন্ন হয়।
৬১৯ – চীনে প্রথম আর্কেস্ট্রা দল গঠিত হয়।
৬৩৩ – হযরত মুহাম্মদ (সা) ইন্তেকাল করেন।
৬৪৪ – চীন কোরিয়া দখল করে।
৬৫০ – চীনে অশ্ববন্ধনী আবিষ্কৃত হয়।
৬৫১ – পবিত্র কুরআনকে লিখিত রূপ দেওয়া হয়।
৬৭০ – আরবরা উত্তর আফ্রিকার ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
৬৮৫ – জাপান বৌদ্ধ ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করে।
৬৯১ – জেরুজালেমে বিখ্যাত পাথরের গম্বুজ নির্মাণ সম্পন্ন হয়।

অষ্টম শতাব্দী :

৭০৫ – দামেস্কের ঐতিহাসিক মসজিদের কাজ শুরু হয়।
৭৫৪ – ইউরোপের রাজার স্বর্গীয় অধিকার বা ডিভাইন রাইট ঘোষণা দেওয়া হয়।
৭৭০ – মধ্যপ্রাচ্যে সর্বপ্রথম পাবলিক ফার্মেসী খোলা হয়।
৭৭৮ – রোমে সমবেতভাবে প্রশংসাগীতি গাওয়ার প্রচলন শুরু হয়।
৭৮৭ – ইউরোপে স্ক্যান্ডিনেভীয় জলদস্যুরা একটি বড়সড় হামলা চালায়।

নবম শতাব্দী :

৮০০ – শার্লিম্যান পবিত্র সম্রাজ্য পশ্চিম রোমান সম্রাজ্যের সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হন।
৮১১ – ইন্দোনেশিয়ায় বার্বাদুর নামের মন্দির নির্মিত হয়।
৮২১ – চীন তিব্বত দখল করে নেয়।
৮৪৫ – চীনের বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কালো অধ্যায় শুরু হয়।
৮৫০ – আরব বণিকেরা নৌযানে চীনে পৌছান।
৮৬০ – মধ্যপ্রাচ্যে কারিগরি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্ক্যান্ডিনেভীয় জলদস্যুরা আইসল্যান্ডে হানা দেয়।

দশম শতাব্দী: নগর পত্তনের শতাব্দী/তাস আবিষ্কারের শতক/বারুদ আবিষ্কারের শতক/আরব্য রজনীর শতাব্দী

৯৩৩ – যাজক বা পাদরির উদ্ভব ঘটে।
৯৫০ – চীনে তাসের খেলা প্রচলন হয়। মুসলিম বিশ্বে আরব্য রজনীর কাহিনী সংকলিত হয়।
৯৬৯ – মিশরের রাজধানী কায়রোর পত্তন ঘটে।
৯৭৬ – ইতালির ভেনিস নাগরির পত্তন ঘটান সেন্ট মার্কস।
৯৮৯ – রাশিয়ায় খ্রিষ্টান ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়।
৯৯৪ – ভারতের রাজধানী দিল্লী প্রতিষ্ঠিত হয়।

একাদশ শতাব্দী :

১০০০ – চীনে বারুদ আবিস্কৃত হয়। নিউজিল্যান্ডে পলিনেশীয়দের আগমন ঘটে।
১০১০ – জাপানের জনপ্রিয় লোকগাঁথা গেনজি শিকিবোর প্রচলন ঘটে।
১০২৪ – চীনে সর্বপ্রথম কাগুজে মুদ্রার প্রচলন ঘটে।
১০৬৬ – নরম্যান ইংল্যান্ড জয় করেন।
১০৯৫ – প্রথম ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ শুরু হয়।
১০৯৯ – প্রথম ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ শেষ হয়।

দ্বাদশ শতাব্দী :

১১৪৪ – ফ্রান্সে প্রথমবারের মতো গির্জা তৈরি হয়।
১১৬১ – চীন যুদ্ধে প্রথম বারের মতো গোলাবারুদ ব্যবহার করে।
১১৭০ – ম্যাগনেটিক কম্পাস আবিষ্কৃত হয়।
১১৮০ – ইউরোপে উইন্ডমিল বা বায়ুচালিত কলের ব্যবহার শুরু হয়।
১১৯১ – জাপানে চা পানের প্রচলন শুরু হয়।

ত্রয়োদশ শতাব্দী :

১২০০ – চীনে সর্বপ্রথম কামান ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়।
১২০২ – ইউরোপে আরবীয় ও হিন্দু গণনা রীতির প্রচলন শুরু হয়।
১২১৫ – ম্যাগনাকার্টা অনুমোদিত হয়। চেঙ্গিস খান তার সম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান।
১২২৯ – ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিচার করার জন্য আদালত গটিত হয়।
১২৪০ – চীন ও ইউরোপের মধ্যে সর্বপ্রথম যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
১২৭৫ – জগদ্বিখ্যাত ও ইতিহাসখ্যাত পর্যটক মার্কো পেলো চীনে পৌছান।
১২৯০ – ইতালিতে চশমা আবিষ্কৃত হয়। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য গঠিত বণিক সভার উন্নয়ন ঘটে।

চতুর্দশ শতাব্দী:

১৩০০ – সমগ্র ইউরোপে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, যা ইতিহাসে ব্লাক ডেটথ হিসেবে পরিচিত। গোলা কামানের ব্যবহার শুরু হয়।

পঞ্চদশ শতাব্দী : নৌপথ আবিষ্কারের শতাব্দী

১৪০৬ – চীনে সম্রাটের জন্য রাজপ্রাসাদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
১৪৩১ – কিংবদন্তী ফরাসি রমণী জোয়ান অব আর্ক এর আগুনে পুড়িয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। তাকে ডাইনি অপবাদে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
১৪৩৩ – চীন তার পররাষ্ট্রনীতিতে একলা চলো নীতি গ্রহণ করে।
১৪৪৫ – গুটেনবার্গ জার্মানিতে স্থানান্তরযোগ্য ধাতব টাইপ মেশিন বা মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
১৪৫২ – জগদ্বিখ্যাত মোনালিসা চিত্রের চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি জন্মগ্রহণ করেন।
১৪৫৫ – গুটেনবার্গের ছাপাখানায় প্রথম বাইবেল মুদ্রিত হয়।
১৪৮৯ – জর্মানিতে (+) যোগ আর (-) চিহ্নের আবিষ্কার হয়।
১৪৯২ – কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন।
১৪৯৮ – ভাস্কো দা গামা ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষে আসার জলপথ আবিষ্কার করেন।

ষোড়শ শতাব্দী : মুঘল সম্রাজ্য পতিষ্ঠার শতাব্দী

১৫০২ – জার্মানিতে ঘড়ি আবিষ্কৃত হয়।
১৫১৯ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের আগমন ঘটে। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে প্রথম ক্রীতদাস আনা হয়।
১৫২৬ – বাবর পানিপথের যুদ্ধে ইব্রাহীম লোদীতে পরাজিত করে ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্যের গোড়াপত্তন করেন।
১৫৩৪ – ইংল্যান্ডের রাজা অস্টম হেনরি গির্জার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১৫৪৩ – পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরো।– কোপার্নিকাস এ তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে প্রথম তেলের খনি আবিষ্কৃত হয়।
১৫৫৫ – তামাক চাষের প্রচলন হয।
১৫৬৬ – ইংল্যান্ডে সমান (=) চিহ্ন আবিষ্কৃত হয়।
১৫৬৯ – জলপথ, স্থলপথ, মহাদেশ, দেশ, সাগর, মহাসগর প্রভৃতি সবকিছু চিহ্নিত করে জার্মানিতে প্রথম সমন্বিত মানচিত্র আবিষ্কৃত হয়।
১৫৮২ – মাস সপ্তাহ, দিন নির্ধারণ ও নির্ণয় করে রোমে ক্যালেন্ডারের প্রচলন শুরু হয়।
১৫৯১ – ইতালিতে থার্মোমিটার আবিষ্কৃত হয়।

সপ্তদশ শতাব্দী :

১৬০০ – বিট্রিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠিত হয়।
১৬০২ – ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠত হয়।
১৬০৫ – ভারতের অমৃতসরে শিখদের পবিত্র স্বর্ণমন্দির নির্মিত হয়।
১৬০৮ – ইতালির বিজ্ঞানী গ্যালিলিও অনুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
১৬১০ – ঢাকায় সর্বপ্রথম সুবা বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয়।
১৬১৪ – স্কটল্যান্ডে উচ্চতর গণিতের অত্যাবশ্যকীয় সূত্র বা সংকেত লগারিদম আবিস্কৃত হয়।
১৬২১ – রোমে ১ জানুয়ারিকে নববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তামাকের চাষ শুরু হয়।
১৬৩৩ – জাপান তার পররাষ্ট্র নীতিতে বিছিন্নতাবাদী নীতি গ্রহণ করে।
১৬৪৪ – চীনে কিয়াং রাজতন্ত্রের অধীনে মাঞ্চু শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৫০ – ইটালিতে চাদেঁর মানচিত্র অঙ্কিত হয়।
১৬৫৯ – ইতালিতে প্রথম আইসক্রিম তৈরি হয়।
১৬৬২ – আগ্রার তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
১৬৬৫ – লন্ডনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বিখ্যাত জাদুঘরটি ভষ্মীভূত হয়।
১৬৬৭ – নাট্যকার মিল্টনের অমর মহাকাব্য প্যারাডাইস লস্ট প্রকাশিত হয়।
১৬৯০ – কলকাতা নগরীর গোড়াপত্তন ঘটে।

অষ্টাদশ শতাব্দী

১৭০১ – ইংল্যান্ডে শস্য ভাঙার কল আবিষ্কৃত হয়।
১৭০২ – যুক্তরাজ্যের প্রথম ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি কোরেন্ট প্রকাশিত হয়।
১৭৪২ – সুইজারল্যান্ডে তাপমাত্রা মাপার জন্য সেলসিয়াস স্কেল ব্যবহৃত হয়।
১৭৫০ – ইউরোপে শিল্প বিল্পব সুচনা হয়।

ভিশন-২০২১

ভিশন-২০২১ বা রূপকল্প-২০২১ – নেয়ার কারণঃ

দু হাজার একুশ সালে বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে পা রাখবে। সুবর্ণ জয়ন্তীর এই লগ্নে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে আমরা কোন অবস্থানে দেখতে চাই, সেটাই বস্তুত ভিশন ২০২১-এর মূল কথা। নতুন সহস্রাব্দে পদার্পণের পর ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এক নিরাপদ বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়। জাতিসংঘ যেমন মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (MDGS)-এ ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করা শুরু করে, বাংলাদেশও তেমনি এই বৈশ্বিক উন্নয়ন-শোভাযাত্রায় সহযাত্রী হিসাবে অংশ নিতে ভিশন ২০২১-এর ব্যানার নিয়ে এগিয়ে আসে। .

ভিশন-২০২১ এর উদ্দেশ্যঃ

ভিশন ২০২১-এর প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হলো নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা যেখানে চরম দারিদ্র্য সম্পূর্ণভাবে বিমোচিত হবে। সেজন্যে একগুচ্ছ সহায়ক কাজ নিশ্চিত করতে হবে। কেমন, গণতন্ত্র ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা করা; ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ এবং জনপ্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক অবকাঠামো বিনির্মাণ করা; রাজনৈতিক পক্ষপাতবিবর্জিত আইনের শাসন নিশ্চায়ক সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা; রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন করা; দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা; নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমঅধিকার নিশ্চিত করা; এমনভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপরেখা প্রণয়ন করা যাতে মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণের নিশ্চয়তা থাকে, জনগণ ও শ্রমশক্তির সুরক্ষার বন্দোবস্ত থাকে, দারিদ্র্য দূরীকরণের ব্যবস্থা থাকে, খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ব্যবস্থা থাকে, জ্বালানি ও বিদ্যুতের নিশ্চয়তা থাকে, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, আবাসন, পরিবেশ, পানিসম্পদের নিরাপত্তা থাকে, এবং সার্বিকভাবে জনজীবন ও সম্পদের সুরক্ষা থাকে; বৈশ্বিক পেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করা যাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত থাকে, জাতীয় সংস্কৃতি ও পররাষ্ট্র নীতি দৃঢ়তর হয়। .

ভিশন-২০২১ – এর বিষয় সমূহঃ

রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের সমবায়কে কাজে লাগিয়ে ২২টি লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে বর্তমান সরকার। ২২টি লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে- বিকাশমান অর্থনীতি, দারিদ্র্য মুক্তি, অংশীদারিত্বমূলক সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সামাজিক ন্যায়বিচার, নারীর সমঅধিকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার, সুশাসন ও দূষণমুক্ত পরিবেশ। .

ভিশন-২০২১ এর ২২টি লক্ষ্যমাত্রাঃ

রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে যে ২২টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে :

১। প্রতি গ্রামে সমবায় সমিতি গড়ে সমিতির সদস্যদের সন্তান কিংবা পোষ্যদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা। এভাবে ২০১০ সালের মধ্যে প্রথিমিক স্তরে ভর্তির হার ১০০ ভাগ নিশ্চিত করা।

২। ২০১০ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থ্যা করা।

৩। ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা।

৪। ২০১৩ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়িকে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার আওতায় আনা।

৫। ২০১৩ সালে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে এই হার ১০ শতাংশে উন্নীত করে অব্যাহত রাখা।

৬। ২০১৩ সালে বিদ্যুতের সরবরাহ হবে ৭ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০১৫ সালে ৮ হাজার মেগাওয়াট। ২০২১ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা ২০ হাজার মেগাওয়াট ধরে নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৭। ২০১৩ সালে পর্যায়ক্রমে স্নাতক পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

৮। ২০১৪ সালে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

৯। ২০১৫ সালের মধ্যে সকল মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা।

১০। ২০১৫ সালে জাতীয় আয়ের বর্তমান হিস্যা কৃষিতে ২২ শিল্পে ২৮ ও সেবাতে ৫০ শতাংশের পরিবর্তে হবে যথাক্রমে ১৫, ৪০ এবং ৪৫ শতাংশ করা।

১১। ২০২১ সালে বেকারত্বের হার বর্তমান ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে নেমে আসবে।

১২। ২০২১ সালে কৃষি খাতে শ্রমশক্তি ৪৮ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ৩০ শতাংশে।

১৩। ২০১১ সালে শিল্পে শ্রমশক্তি ১৬ থেকে ২৫ শতাংশে এবং সেবা খাতে ৩৬ থেকে ৪৫ শতাংশে উন্নীত হবে।

১৪। ২০২১ সাল নাগাদ বর্তমান দারিদ্র্যের হার ৪৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামবে।

১৫। ২০২১ সালে তথ্য প্রযুক্তিতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করবে।

১৬। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৮৫ শতাংশ নগরিকের মানসম্পন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ নিশ্চিত হবে।

১৭। ২০২১ সালের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্রতিদিন নূন্যতম ২১২২ কিলোক্যালরির উপর খাদ্য নিশ্চিত করা হবে।

১৮। ২০২১ সালের মধ্যে সকল প্রকার সংক্রামক ব্যাধি সম্পূর্ণ নির্মূল করা।

১৯। ২০২১ সালে গড় আয়ুষ্কাল ৭০ এর কোঠায় উন্নীত করা।

২০। ২০২১ সালে শিশু মৃত্যুর হার বর্তমান হাজারে ৫৪ থেকে কমিয়ে ১৫ করা।

২১। ২০২১ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ৩.৮ থেকে কমে ১.৫ শতাংশ হবে।

২২। ২০২১ সালে প্রজনন নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারের হার ৮০ শতাংশে উন্নীত করা। এই ২২টি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। . ভিশন-২০২১ এর সাথে ডিজিটাল

বাংলাদেশ -এর সম্পর্কঃ

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শব্দযুগলের সাথে ‘ভিশন ২০২১’ শব্দযুগলের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইংরেজি ভিশন শব্দের অর্থ দূরদৃষ্টি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির বছর ২০২১ সাল। ডিজিটাল যন্ত্রপাতি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, অর্থাৎ আইসিটির বহুল ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০২১ সালে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্য স্থির করেছে। কমপিউটার ও ইন্টারনেটের বহুল ব্যবহার এ দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। জনসাধারণের প্রত্যাশার সাথে সরকারের প্রত্যাশার মিলনের ফলে সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে সবাই আশাবাদী। . বর্তমান সভ্যতা ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। কমপিউটার, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, প্রিন্টার, ইন্টারনেট ইত্যাদি ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র ও ব্যবস্থার উদাহরণ। ডিজিটাল প্রযুক্তি, ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ও তাদের সঠিক ব্যবহার দ্রুত উন্নয়নের চালিকাশক্তি। তাই রূপকল্প ২০২১-এর সাথে রয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তির গভীর সম্পর্ক। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয়া রূপকল্প ২০২১-এর উদ্দেশ্য। ২০২১ সালের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সুশিক্ষিত, সুদক্ষ এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। . ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০২১-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘নগদ অর্থের চেয়ে উত্তম জোটে’র (Better than cash Allign) সাথে অংশিদারিত্ব খুলে বাংলাদেশ—জনগণকে আর্থিক সেবাদানের ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে। বস্তুত, সরকার সামাজিক সুরক্ষার জন্যে জনগণকে প্রদেয় অর্থ এবং সেবা গ্রহণের বিনিময়ে জনগণের কাছ থেকে গৃহীতব্য সকল অর্থ লেনদেনের প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করে ডিজিটাল অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। এই প্রক্রিয়া সকল প্রকার অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন এবং রেমিট্যান্স বিনিময়ের ক্ষেত্রকে সুগম ও সম্প্রসারিত করে ই-কমার্সকে শক্তিশালী করবে। ব্যয় সংকোচন, স্বচ্ছতাবর্ধন, সময় বাঁচানো প্রভৃতির সহায়ক হওয়ায় ডিজিটাল আর্থিক সেবাপ্রদানের এই পদ্ধতি বিশ্বের বহু সরকারের মতো বাংলাদেশ সরকারও গ্রহণ করেছে। দেশে গ্রামের এবং শহরের মিলে ৫০০০-এর অধিক ডিজিটাল সেন্টার খোলায় গড়ে ৪.৫ মিলিয়ন মানুষকে সম্প্রতি ৬০টি ডিজিটাল সেবা-সুযোগের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে। এ সকল ডিজিটাল সেন্টারে দুজন উদ্যোক্তার মধ্যে একজন নারী নিযুক্তির বিধানকে বাধ্যতামূলক করায় নারী সংবেদনশীল সেবা প্রদানের পরিবেশও নিশ্চিত হচ্ছে।

বাংলা‌দে‌শের চল‌চ্চিত্র ও চিত্র‌শিল্প

# বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্রের পরিচালক ~ অাবদুল জব্বার খান।
# বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনক ~ অাবদুল জব্বার খান। 
# মুখ ও মুখোশ চলচিত্রের পরিচালক ~ অাবদুল জব্বার খান।
# মাটির ময়না চলচ্চিত্রের পরিচালক ~ তারেক মাসুদ
# কাজী নজরুল ইসলাম পরিচালিত চলচিত্রের নাম ~ ধূপছায়া।
# দুর্ভিক্ষের উপর ম্যাডোনা ৪৩ ছবিটি একেছেন ~ শিল্পচার্য জয়নুল অাবেদিন।
# প্রখ্যাত তিন কন্যা ছবিটি একেছেন ~ কামরুল হাসান।
# শিশু স্বর্গ হলো ~ নড়াইলে অবস্থিত শিল্পী এস এম সুলতানের চিত্রাঙ্কন প্রতিষ্ঠানের নাম।
# চিত্রা নদীর পাড়ে চলচ্চিত্রের নির্মাতা ~ তানভীর মোকাম্মেল।
# জীবনঢুলী ~ একটি চলচ্চিত্রের নাম।
# বাংলাদেশের যে ছবি সম্প্রতি কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভাল পুরস্কার লাভ করে ~ গেরিলা।
# শিল্পী জয়নুল অাবেদিনের সংগ্রহশালাটি অবস্থিত ~ ময়মনসিংহে।
# সূর্য দীঘল বাড়ি চলচ্চিত্রের পরিচালক ~ শেখ নিয়ামত অালী।
# জীবন থেকে নেয়া চলচিত্রের পরিচালক ~ জহির রায়হান।
# অামার বন্ধু রাশেদ চলচিত্রের পরিচালক ~ মোরশেদুল ইসলাম।
# একাত্তরের যীশু চলচ্চিত্রের পরিচালক ~ নাসিরুদ্দিন ইউসুফ।
# বাংলাদেশের প্রথম সঙ্গীত পরিচালক ~ সমর দাস।
# গেরিলা চলচিত্রের পরিচালক ~ নাসির উদ্দিন ইউসুফ।
# মনের মানুষ চলচ্চিত্রের পরিচালক ~ গৌতম ঘোষ।
# স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চাকা এর পরিচালক ~ মোরশেদুল ইসলাম।
# পদ্মা নদীর মাঝি এর পরিচালক ~ গৌতম ঘোষ।
# লেট দেয়ার বি লাইট বিখ্যাত চলচ্চিত্রটি ~ জহির রায়হানের।
# কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত;বাংলাদেশের ছায়াছবি ~ মাটির ময়না।
# অান্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ছায়াছবির নাম ~ সূর্য দীঘল বাড়ি।
# তারেক মাসুদ নির্মিত চলচ্চিত্র ~ অন্তর্যাত্রা।
# ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্রের নির্মাতা ~ হুমায়ূন অাহমেদ।
# যে চলচিত্রে কাজী নজরুল ইসলাম অভিনয় করেন ~ ধ্রুব।
# পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রের নির্মাতা ~ সত্যজিৎ রায়।
# সূর্য সংগ্রাম চলচিত্রের পরিচালক ~ অাবদুস সামাদ।
# চিত্রা নদীর পাড়ে চলচ্চিত্রের নির্মাতা ~ তানভীর মোকাম্মেল।

মু‌ক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা

ক. অসহযোগ অান্দোলন:

১। ১৯৭১ সালের অসহযোগ অান্দোলন শুরু হয়েছিল ~ ২ মার্চ।
২। ১৯৭১ সালের অসহযোগ অান্দোলন শেষ হয়েছিল ~ ২৫ মার্চ।
৩। অসহযোগ অন্দোলন শুরুতেই অসহযগঅনতনদলনশরত২ মার্চ ছাত্র সংগঠনগুলো যে পরিষদ গঠন করেছিল ~ স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ।
৪। ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করেন ~ ১ মার্চ ১৯৭১।
৫। অধিবেশন স্থগিতকরণকে বঙ্গবন্ধু অাখ্যায়িত করেন ~ দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে।
৬। অধিবেশন স্থগিত করণের প্রতিবাদে ঢাকায় ও সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল পালিত হয় ~ ২ মার্চ ও 3 মার্চ।
৭। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে প্রথমবারের মত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় ~ ২ মার্চ।
৮। ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা করে ~ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
৯। অামার সোনার বংলা অামি তোমায় ভালোবাসি সঙ্গীতটি পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয় ~ ৩ মার্চ ১৯৭১।
১০। বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন ~ ৭ মার্চ।
১১। অসহযোগ অান্দোলনের প্রথম ছয়দিনে সরকারি প্রেসনোট অনুযায়ী হতাহতের সংখ্যা ছিল ~ ১৭২ জন নিহত এবং ৩৫৮ জন অাহত।
১২। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ পাকিস্তান দিবসের পরিবর্তে প্রতিরোধ দিবস পালন করে ~
২৩ মার্চ। ১৩। স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হয় ~ অসহযোগ অান্দোলন।
১৪। লোকটি এবং তার দল পাকিস্তানের শত্রু, এবার তারা শাস্তি এড়াতে পারবে না উক্তিটি করেছিল ~ ইয়াহিয়া খান।
১৫। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে জাতির জনক ঘোষণা করা হয় ~ ৩ মার্চ।

খ. ৭ মার্চের ভাষণ:

১৬। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যে ময়দানে দিয়েছিলেন তার বর্তমান নাম ~ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
১৭। ৭ মার্চ ভাষণের মূল বিষয় ছিল ~ ৪ টি।
১৮। ৭ মার্চ ভাষণ প্রদানকালে যে অান্দোলন চলছিল ~ অসহযোগ অান্দোলন।
১৯। অসহযোগ অান্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছিল ~ ৭ মার্চের ভাষণের পর।
২০। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম উক্তিটি যে ভাষণের অংশ ~ ৭ মার্চ ভাষণের।
২১। রেসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চের ভাষণ শুরু হয়েছিল ~ বিকাল ৩ ঘটিকায়।
২২। অহিংস ও অসহযোগ অান্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় ~ ৭ মার্চ ভাষ‌ণে।

গ. স্বাধীনতা ঘোষণা:

২৩। স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের শুরু ~ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত বারোটার পর অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা করেন।
২৪। স্বাধীনতার ঘোষক ~ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরে রহমান।
২৫। অানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি হয় ~ ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
২৬। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানে সংযোজন হয় ~ পঞ্চদশ সংশোধনীতে।
২৭। অানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ~ অধ্যাপক ইউসুফ অালী।
২৮। ২৬ মার্চ অপরাহ্ন ২ টা ৩০ মিনিটে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম অাওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ~ অাব্দুল হান্নন।
২৯। ২৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কালুরঘাট বেতারেকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ~ মেজর জিয়াউর রহমান।

ঘ. মুজিবনগর সরকারের গঠন ও কার্যাবলি :

৩০। মুজিবনগর সরকার বা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় ~ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল।
৩১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র জারি করা হয় ~ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল।
৩২। বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় ~ কুষ্টিয়রে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার ভবেরপাড়া গ্রামে।
৩৩। মুজিবনগর সরকার অানুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন ~ ১৭ এপ্রিল ১৯৭১
৩৪। মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাজধানীর নাম ~ মুজিবনগর।
৩৫। অানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন ~ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
৩৬। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের ক্যাম্প বা অফিস ছিল ~ ভারতের কলকাতাস্থ ৮ নম্বর থিয়েটার রোড।
৩৭। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন ~ অধ্যাপক এম ইউসুফ অালী।
৩৮। যে কয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল ~ পাঁচটি।
৩৯। অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যকতজন ছিল ~ ৯ জন।
৪০। এক নজরে মুজিবনগর সরকার :
# রাষ্ট্রপতি : শেখ মুজিবুর রহমান
# উপরাষ্ট্রপতি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম
# প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দীন অাহমদ
# অর্থমন্ত্রী : এম মনসুর অালী
# স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী : এ এইচ এম কামরুজ্জামান
# পররাষ্ট্র ও অাইনমন্ত্রী : খন্দকারমোস্তাক অাহমদ
# প্রধান সেনাপতি : কর্ণেল এম এ জি ওসমানী
# চিফ অব স্টাফ : কর্ণেল অাব্দুর রব
# বিমানবাহিনী প্রধান : গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
৪১। মুজিবনগর সরকারের সচিব ও দপ্তর :
# মূখ্য সচিব : রুহুল কুদ্দুস
# কেবিনেট সচিব : এইচ টি ইমাম
# অর্থ সচিব : খন্দকার অাসাদুজ্জামান
# প্রতিরক্ষা সচিব : অাব্দুস সামাদ
# সংস্থাপন সচিব : নুরুল কাদের খান
# কৃষি সচিব : নুরুদ্দীন অাহমদ
# তথ্য সচিব : অানোয়ারুল হক খান
# পররাষ্ট্র সচিব : চাষী মাহবুবুল অালম।
# বহির্বিশ্বে বিশেষ দূত : বিচারপতি অাবু সাঈদ চৌধুরী
# স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজি পুলিশ : অাব্দুল খালেক
# নয়াদিল্লিতে মিশন প্রধান : হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী।
# কলকাতায় মিশন প্রধন : হোসেন অালী
# বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রধান : ড. এ অার মল্লিক
# ইয়ুথ ক্যাম্প পরিচালক : উইং কমান্ডার এম অার মির্জা
# পরিচালক (অার্ট ও ডিজাইন) : কামরুল হাসান
# পরিচালক (চলচ্চিত্র বিভাগ) : অাব্দুল জব্বার খান
# পরিচালক (তথ্য ও প্রচার দপ্তর) : এম অার অাখতার মুকুল।
# পরিচালক (স্বাস্থ্য দপ্তর) : ডাক্তার টি হোসেন

৪২। মুজিবনগর সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ :
# সভাপতি : মাওলানা ভাসানী, সভাপতি, ন্যাপ ভাসানী।
# অাহবায়ক : মণি সিং, সভাপতি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি।
# সদস্য : অধ্যাপক মোজাফফর অাহমদ, সভাপতি, ন্যাপ মোজাফফর।
# সদস্য : মনোরঞ্জন ধর, সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেস
# সদস্য : তাজউদ্দীন অাহমদ, প্রধানমন্ত্রী।
# সদস্য : খন্দকার মোস্তাক অাহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৪৩। মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা কমিশন:

# চেয়ারম্যান : ড. মোজাফফর অাহমদ
# সদস্য : ড অানিসুজ্জামান, ড সারোয়ার মুর্শিদ, ড স্বদেশ রঞ্জন, ড মোশারফ হোসেন।

৪৪। মুজিবনগর সরকারের বিশেষ দায়িত্বে নিযুক্ত :

# তথ্য ও বেতার : অাব্দুল মন্নান
# পুনর্বাসন : অধ্যাপক ইউসুফ অালী ভলান্টিয়ার কোর : ব্যারিস্টার অামিরুল ইসলাম
# বাণিজ্য : মতিউর রহমান।

৪৫। মু‌ক্তিবা‌হিনী বা সশস্ত্র বা‌হিনীর প্রধান ছিলেন ~ জেনা‌রেল মোহাম্মদ অাতাউল গ‌ণি ওসমানী।
৪৬। জেনা‌রেল ওসমানী বাংলা‌দে‌শের সেনাপ্রধান নিযুক্ত হন ~ ১৭ এ‌প্রিল ১৯৭১।
৪৭। বাংলা‌দেশের মু‌ক্তিযু‌দ্ধে একজন ইতা‌লির নাগ‌রিক মৃত্যুবরণ ক‌রেন, তার নাম ~ ফাদার মা‌রিও ভে‌রেনা‌জি।
৪৮। যুদ্ধকালীন সম‌য়ে শেখ মু‌জিবুর রহমান‌কে ব‌ন্দি ক‌রে রাখা হওয়‌ছিল ~ পা‌কিস্তা‌নের করা‌চি শহ‌রের মিয়ানওয়া‌লি কারাগা‌রে।
৪৯। বাংলা‌দে‌শের প্র‌তি প্রথম অানুগত্য প্রকাশ ক‌রেন পা‌কিস্তা‌নের হাইক‌মিশন অ‌ফিস প্রধান ~ এম হো‌সেন  অালী।
৫০। রণাঙ্গন‌কে ১১টি সেক্ট‌রে ভাগ ক‌রেন ~ ক‌র্ণেল এম এ জি ওসমানী।
৫১। মু‌ক্তিযু‌দ্ধের ব্য‌তিক্রমধর্মী সেক্টর ~ ১০ নম্বর সেক্টর।
৫২। বাংলা‌দে‌শে যে সেক্ট‌রে নিয়‌মিত কমান্ডার ছিল না ~ ১০ নম্বর সেক্ট‌রে।
৫৩। যুদ্ধকালীন ফোর্স ছিল ~ তিন‌টি।
৫৪। এম এ জি ওসমানী‌কে বাংলা‌দেশ সেনাবা‌হিনীর প্রধান ঘোষণা করা হয় ~ তে‌লিয়াপাড়া হেড‌কোয়ার্টা‌র, সি‌লেট (১২ এ‌প্রিল ১৯৭১)
৫৫। যুক্তরা‌জ্যে বাংলা‌দেশ সরকা‌রের জন্য Steering Committee খো‌লেন ~ বিচারপ‌তি অাবু সাঈদ চৌধুরী।
৫৬। যুদ্ধকালীন যে তা‌রি‌খে বু‌দ্ধিজীবী‌দের ওপর ব্যাপক হত্যাকান্ড সংঘ‌টিত হয় ~ ১৪ ডি‌সেম্বর ১৯৭১
৫৭। পা‌কিস্তান সেনাবা‌হিনীর হা‌তে শহীদ দার্শনিকের নাম ~ গো‌বিন্দ চন্দ্র দেব।

৫৮। মু‌ক্তিযু‌দ্ধের ১১ টি সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডার:

# ১ নম্বর সেক্টর: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালীর পূর্বাংশ।
সদর দপ্তর : হ‌রিণা, ত্রিপুরা, ভারত।
কমান্ডার : মেজর জিয়াউরে রহমান (এ‌প্রিল~জুন) ও মেজর র‌ফিকুল ইসলাম (জু‌ন~ ডিসেম্বর)

# ২ নম্বর সেক্টর : কু‌মিল্লা, অাখাউড়া, ভৈরব, ঢাকা শহর, ফ‌রিদপুর ও নোয়াখালী জেলার অংশ‌বি‌শেষ।
সদর দপ্তর : মেঘালয়, ত্রিপুরা, ভারত।
কমান্ডার : মেজর কে এম খা‌লেদ মোশাররফ ও মেজর এ‌টিএম হায়দার।

# ৩ নম্বর সেক্টর : অাখাউড়া ভৈরবের পূর্বাংশ, কু‌মিল্লা জেলার অংশ‌বি‌শেষ, হ‌বিগঞ্জ, কি‌শোরগঞ্জ, ঢাকা জেলার অংশ‌বি‌শেষ।
সদর দপ্তর : হেজামারা, ত্রিপুরা, ভারত।
কমান্ডার : মেজর কে এম শ‌ফিউল্লাহ ও মেজর এ এন এম নরুজ্জামান।

# ৪ নম্বর সেক্টর : সি‌লে‌টের পূর্বাঞ্চল
সদরদপ্তর : মা‌ছিমপুর, অাসাম
কমান্ডার :  মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত ও ক্যা‌প্টেন এ রব

# ৫ নম্বর সেক্টর : সি‌লে‌টের প‌শ্চিমাংশ, সুনামগঞ্জ, বৃহত্তর ময়মন‌সিং‌হের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
সদর দপ্তর : বাঁশতলা, ছাতক, সুনামগঞ্জ।
কমান্ডার : মেজর মীর শওকত অালী

# ৬ নম্বর সেক্টর : সমগ্র  রংপুর ও দিনাজপুরের অংশ‌বি‌শেষ।
সদর দপ্তর : বু‌ড়িমারী পাটগ্রাম।
কমান্ডার : উইং কমান্ডার এম কে বাশার
# ৭ নম্বর সেক্টর : সমগ্র রাজশাহী, দিনাজপুরের বা‌কি অংশ, পাবনা, বগুড়া জেলা।
সদরদপ্তর : তরঙ্গপুর, প‌শ্চিমবঙ্গ, ভারত।
কমান্ডার: মেজর নাজমুল হক, সুবাদার মেজর এ রব, মেজর কাজী নরুজ্জামান।

# ৮ নম্বর সেক্টর : সমগ্র কু‌ষ্টিয়া ও য‌শোর জেলা, ফ‌রিদপুর জেলার বা‌কি অংশ।
সদর দপ্তর : কল্যাণী, ভারত।
কমান্ডার : মেজর অাবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মঞ্জুর।

# ৯ নম্বর সেক্টর : সমগ্র খুলনা জেলা, বৃহত্তর ব‌রিশাল, পটুয়াখালী।
সদর দপ্তর : টা‌কি, ব‌শিরহাট, ভারত।
কমান্ডার : মেজর এম অাব্দুল জ‌লিল, মেজর এম এ মঞ্জুর, মেজর জয়নাল অা‌বেদীন।

# ১০ নম্বর সেক্টর : অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল।

# ১১ নম্বর সেক্টর : ময়মন‌সিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা।
সদরদপ্তর : ম‌হেন্দ্রগঞ্জ, অাসাম, ভারত।
কমান্ডার : মেজর এম অাবু তা‌হের ও স্কোয়াড্রন লিডার এম হা‌মিদুল্লাহ।

৫৯। মু‌ক্তিবা‌হিনীর ফো‌র্সের অ‌ধিনায়কগণ ও সদর দপ্তর :

# জেড ফোর্স :  অ‌ধিনায়ক : মেজর জিয়াউর রহমান সদর দপ্তর : তেলডালা।
# এস ফোর্স :  অ‌ধিনায়ক : মেজর কে এম শ‌ফিউল্লাহ সদর দপ্তর : অাগরতলা
# কে ফোর্স : অ‌ধিনায়ক : মেজর খা‌লেদ মোশাররফ সদর দপ্তর : হেজামারা

চ. মু‌ক্তিযু‌দ্ধে বৃহৎ শ‌ক্তিব‌র্গের ভূ‌মিকা :

৬০। মু‌ক্তিযু‌দ্ধে বাংলা‌দে‌শের  বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র ছিল ~ভারত ও সো‌ভি‌য়েত ইউ‌নিয়ন
৬১। মু‌ক্তিযু‌দ্ধে চলাকালীন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রর অবস্থান ছিল ~ বাংলা‌দে‌শের স্বাধীনতার বিপ‌ক্ষে।
৬২। যৌথবা‌হিনী গঠন হ‌য়ে‌ছিল ~ মু‌ক্তি বা‌হিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র বা‌হিনীর সমন্ব‌য়ে।
৬৩। অস্ত্র, সেনা ও সমর্থন দি‌য়ে বাংলা‌দেশ‌কে সাহায্য ক‌রে‌ছিল ~ ভারত।
৬৪। যৌথ বা‌হিনীর সেনাধ্যক্ষ ছিল ~ জেনা‌রেল জগ‌জিৎ সিং অ‌রোরা।
৬৫। মু‌ক্তিযু‌দ্ধের বিপ‌ক্ষে যুক্তরাষ্ট্র যে নৌবহর প্রেরণ ক‌রে‌ছিল ~ সপ্তম নৌবহর।
৬৬। জা‌তিসং‌ঘের সদস্যপদ না পে‌তে বাংলা‌দে‌শের বিপ‌ক্ষে যে রাষ্ট্র ভে‌টো দি‌য়ে‌ছিল ~ চীন।
৬৭। হ্যা‌রিশন ও র‌বিশংক‌রের উ‌দ্যো‌গে কনসার্ট ফর বাংলা‌দেশ হ‌য়ে‌ছিল ~ নিউইয়‌র্কের ম্যা‌ডিসন স্কয়া‌রে।
৬৮। সপ্তম নৌবহর ব‌ঙ্গোপসাগ‌রের উ‌দ্দে‌শ্যে যাত্রা শুরু ক‌রে‌ছিল ~ ভি‌য়েতনা‌মের টং‌কিং উপসাগর থে‌কে।

ছ. পাক বা‌হিনীর অত্মসমর্পণ ও বাংলা‌দে‌শের অভ্যূদয় : 

৬৯। ভারত বাংলা‌দেশ যৌথ বা‌হিনী গঠন ক‌রে ~ ২১ ন‌ভেম্বর ১৯৭১।
৭০। ভারত বাংলা‌দেশ যৌথ বা‌হিনীর সেনাধ্যক্ষ ছিল ~ জেনা‌রেল জগ‌জিৎ সিং অ‌রোরা
৭১। পা‌কিস্তান বা‌হিনীর প‌ক্ষের নেতৃ‌ত্বে ছি‌লেন ~ জেনা‌রেল অা‌মির অাব্দল্লাহ খান নিয়া‌জি।
৭২। প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা ~ য‌শোর। ৭৩। বাংলা‌দেশ পাক হানাদার মুক্ত হয় ~ ১৬ ডি‌সেম্বর ১৯৭১।
৭৪। যৌথবা‌হিনীর কা‌ছে অাত্মসর্মপণ ক‌রে ~ ৯৩ হাজার সৈন্য।
৭৫। বেসরকা‌রি পর্যা‌য়ে মু‌ক্তি‌যোদ্ধা দিবস পা‌লিত হয় ~ ১ ডি‌সেম্বর।
৭৬। নিয়া‌জি যে দূতাবা‌সের সা‌থে অাত্মসর্মপণের জন্য অা‌লোচনা ক‌রে ~ ম‌র্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৭৭। দু’বা‌হিনীর অাক্রম‌ণে পা‌কিস্তা‌নের সবক‌টি বিমান ধ্বংস হ‌য়ে যায় ~ ৬ ডি‌সেম্বর ১৯৭১
৭৮। যে পাক সেনা নায়ক প্রথম অাত্মসর্মপণ ক‌রে ~ মেজর জেনা‌রেল জম‌শেদ।
৭৯। বাংলা‌দে‌শে প্রথম রাষ্ট্রীয় অ‌তি‌থি হি‌সে‌বে বঙ্গভব‌নে অা‌সে ~ ই‌ন্দিরা গান্ধী।
৮০। স্বাধীনতা যু‌দ্ধের সময় পা‌কিস্তা‌নে ব‌ন্দি স্বাধীনতা সংগ্রা‌মের নায়ক শেখ মু‌জিবুর রহমান ইংল্যান্ড ও ভারত হ‌য়ে দে‌শে ফি‌রে অা‌সেন ~ ১০ জানুয়া‌রি ১৯৭২
৮১। স্বাধীনতা যু‌দ্ধের পর বাংলা‌দেশ থে‌কে ভারতীয় বা‌হিনী প্রত্যাহার করা হয় ~ ১২ মার্চ ১৯৭২।
৮২। ভারতীয় বাহিনীর সা‌থে যে বা‌হিনী প্রথম ঢাকায় প্র‌বেশ ক‌রে ~ কা‌দে‌রিয়া বা‌হিনী।