Category: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন

মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সাধারণ ধারণা

● নীতিবিদ্যার তাত্ত্বিক ও বিশ্লেষণ অংশকে নীতিবিদ্যার যে অংশে অালোচনা করা হয় – পরানীতিবিদ্যা অংশ।
● পরানীতিবিদ্যার ইংরেজী প্রতিশব্দ – Meta ethics
● পরানীতিবিদ্যার সূচনাকারী – জি. ই. ম্যূর।
● Modern Moral Philosophy গ্রন্থটির রচয়িতা – W D Hudson
● জি ই ম্যূর তার গ্রন্থে পরানীতিবিদ্যা অালোচনা করে – Principa Ethica
● পরানীতিবিদ্যার প্রধান কাজ – নৈতিক উক্তি বা ধারণার ব্যাখ্যা ও ভাষাগত বিশ্লেষণসহ নৈতিক পদের সাথে নৈতিক বচন বা সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিরূপণ করা।
● নীতিবিদ্যার অাদর্শিক ভিত্তি – সমাজ।
● নীতিবিদ্যার মূলধারা – ৪ টি।
● পরানীতিবিদ্যার অালোচ্য বিষয় – নৈতিক ভাষার অর্থ ও যুক্তি।
● নৈতিক অবধারণের মূল ভিত্তি – সমাজ
● নীতিবিজ্ঞান হলো – মানুষের অাচারণ বা ঐচ্ছিক ক্রিয়ার নৈতিক মূল্য বিচার করে যে বিজ্ঞান।
● নীতিবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ – Ethica
● উৎপত্তিগত অর্থে নীতিবিজ্ঞান হলো – মানুষের রীতিনীতি বা অভ্যাস সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
● সততা হলো – নৈতিক নিয়মানুযায়ী কর্তব্য করার যে মানসিক প্রবণতা বা বাসনা।
● নৈতিক বিচার একটি মানসিক প্রক্রিয়া – যার দ্বারা একটা কাজ ভালো কি মন্দ নির্ধারণ করা হয় এবং ভাষার মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়।
● Johannesburg Plan of Implementation সুশাসনের সাথে কোন বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয় – টেকসই উন্নয়ন।
● ‘সুশাসন’ শব্দটির সর্বপ্রথম সুস্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করে – বিশ্বব্যাংক।
● মূল্যবোধ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে যে শিক্ষার অায়োজন করা হয় তাই – মুল্যবোধ শিক্ষা
● মূল্যবোধ শিক্ষার ধারণা মানব মনে যে দিকটির উদ্ভব ঘটায় – বিবেকবোধ
● নৈতিক চেতনার ধারণা অাসে – দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে।
● মূল্যবোধ শিক্ষা অর্জনকারী ব্যক্তি হয় – সহনশীল, বিবেকসম্পন্ন, শৃঙ্খলিত।
● মূল্যবোধ শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রয়োজন – পরিবারিক শিক্ষা।
● সামাজিক মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য – সহনশীলতা।
● সামাজিক মূল্যবোধের অন্যতম শক্তিশালী ভিত্তি – সহনশীলতা।
● মূল্যবোধ বলতে বোঝায় – মানুষের অাচার অাচারণ নিয়ন্ত্রণের মানদণ্ড।
● মূল্যবোধ মানুষের জীবনে সার্বিকভাবে যে ধরণের বিশেষ ভূমিকা পালন করে – গাইডলাইন।

মূল্যবোধ শিক্ষার সাথে সুশাসনের সম্পর্ক

● সুশাসনের মূল্য লক্ষ্য – অার্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা কায়েম করা।
● সুশাসনের কথা কল্পনা করা যায় না – গণতন্ত্র ছাড়া।
● সর্বাধিক জনকল্যাণ সাধন করা যে শাসনের লক্ষ্য – সুশাসন।
● অাধুনিক বিশ্বে যে ধরণের রাজনীতি বিদ্যমান – গণতন্ত্রমুখী।
● গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার যে ধরণের সুশাসন ব্যবস্থা চিত্রায়িত হয় – জনগণ ও সরকারের মধ্যকার সম্পর্কের ধারণা।
● পৃথিবীর যে দেশগুলোতে সুশাসন খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ – উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
● পরিত্রাণের উপায় হিসাবে যে ধরণের শাসন থেকে মানুষ গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে – ঔপনিবেশিক শাসন, স্বৈরশাসন, সামরিক শাসন প্রভৃতি হতে।
● সুশাসন কথাটি কার্যকর ও সফলতা লাভ করবে – সরকার যদি প্রকৃতপক্ষেই জনকল্যাণ দায়বদ্ধ থাকে।
● বাংলাদেশে উন্নয়নের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য জরুরি – সুশাসন।
● বর্তমান গণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনমূলক দেশগুলোতে যা তেমন লক্ষ্য করা যায় না – অাইনের শাসন।
● রাজনৈতিক ঐকমতের অভাবে যা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না – সুশাসন।
● জনগণের অংশগ্রহণ যে শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য – সুশাসন ব্যবস্থার।
● ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হলে – স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ হবে।
● সুশাসনের অন্যতম প্রতিবন্ধক – দুর্নীতি।
● স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার শক্তিশালী হলে জণগণের অংশগ্রহণ – বৃদ্ধি পায়।
● বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে যে শাসন কায়েম হবে – সুশাসন।
● দেশীয় রাজনীতিতে অান্তর্জাতিক শক্তির হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পায় – দুর্বল রাষ্টোগুলো দাতাগোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লে।
● প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবে ব্যাহত হয় – সুশাসন।
● দুর্নীতির সাথে সুশাসনের সম্পর্ক – বিপরীতমুখী।
● প্রশাসনযন্ত্রের মূল ধারক বাহক – সরকার।
● মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে – গণতন্ত্র অচল হয় পড়ে।
● সুশাসনের প্রথম পক্ষ সরকার – দ্বিতীয় পক্ষ হলো জনগণ।
● গণতন্ত্রহীন সরকার ব্যবস্থার লক্ষ করা যায় না – সুশাসনের অস্তিত্ব।
● সুশাসন সমাজকে দূরে রাখে – দুর্নীতি হতে।
● স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে দরকার – সুশাসন।
● মূল্যবোধ শিক্ষা যে ধরণের পরিবর্তন এনে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে – পরিকল্পিত ও বাঞ্ছিত পরিবর্তন।
● মূল্যবোধ শিক্ষা যে সত্ত্বার বিকাশ সাধন করে সুশাসনের পথে পথ প্রশস্ত করে – ব্যক্তি সত্তার বিকাশ।
● মূল্যবোধ শিক্ষা যা নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের নেতিবাচক করে মানুষের ধ্যান ধারণা দূরীভূত করে ও সুশাসন নিশ্চিত করে – মানুষের অাচার নিয়ন্ত্রণ করে।
● পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে সুশাসনের সহায়ক ভূমিকা পালন করে মূল্যবোধ শিক্ষার যে দিকটি – সহমর্মিতা।
● মূল্যবোধ শিক্ষা যে উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে সুশাসন কায়েম করে – মানবসম্পদ উন্নয়ন।
● মূল্যবোধ শিক্ষা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠায় সহয়তা করে সুশাসনের পথে সুগম করে – মূল্যবোধ শিক্ষা।
● মূল্যবোধের শিক্ষা অত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠা করে, ফলে নিশ্চিত হয় – সুশাসন।
● সুশাসনের ভিতকে মজবুত করতে মূল্যবোধ যা সংরক্ষণের শিক্ষা দেয় – সততা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
● কি জাগ্রতকরণের শিক্ষা দিয়ে মূল্যবোধ সুশাসনের গতিকে তরন্বিত করে – দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ।
● মূল্যবোধ শিক্ষা সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে ফলে নিশ্চিত হয় – সুশাসন।
● সুশাসন নিশ্চিত করতে মূল্যবোধের যে শিক্ষা সহায়ক ভূমিকা পালন করে – সামাজিক ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা, জাতীয় সত্ত্বার বিকাশ, শৃঙ্খলাবোধ ও সহমর্মিতা।
● সুশাস নিশ্চিত করতে মূল্যবোধ শিক্ষা যে সকল বিষয়কে নিরুৎসাহিত করে – সহিংসতা, সামাজিক বিচার।
● মানুষের বিবেকবোধ জাগ্রত করে সুশাসন নিশ্চিত করে – মূল্যবোধের শিক্ষা।
● মূল্যবোধের শিক্ষা যে ধরনের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে সুশাসন নিশ্চিত করে – শ্রমের মর্যাদা।
● মূল্যবোধ শিক্ষার ফলে যে দিকটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ধনী-দারিদ্রের বৈষম্য কমে সুশাসন নিশ্চিত হয় – অাইনের শাসন।
● নাগরিক কর্তব্য পালনের শিক্ষা দিয়ে সুশাসনকে ত্বরান্বিত করে – মূল্যবোধের শিক্ষা।
● সরকারের কার্যকারিতা নষ্ট হয় – নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতার অভাবে।
● পরিবর্তন প্রতিরোধের মানসিকতা প্রকটভাবে দেখা যায় – অামলাদের মধ্যে।

মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সংজ্ঞা

● ভালো-মন্দ, ঠিক বেঠিক, কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় সম্পর্কে সমাজের সদস্যদের যে ধারণা তার নামই মূল্যবোধ।
● মূল্যবোধ হলো সেসব রীতিনীতির সমষ্টি, যা ব্যক্তি সমাজের নিকট হতে পেতে চায় এবং যা সমাজ ব্যক্কির নিকট হতে লাভ করে।
● মূল্যবোধ ক্রমশ পরিবর্তনশীল।
● মূল্যবোধ স্থান কাল পাত্রভেদে বিভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করে।
● মূল্যবোধ মানুষের অাচার অাচারণ নিয়ন্ত্রণ করার সামাজিক মানদণ্ডস্বরূপ।
● মূল্যবোধ সমাবের যোগসূত্র ও সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।
● বুদ্ধিবৃত্তির মূল্যবোধ বলতে কোনো বিষয়কে বাস্তবিকভাবে বোঝার সামর্থ্যকে বোঝায়।
● সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজিক শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়বিচার, শৃঙ্খলাবোধ, অাতিথেয়তা ইত্যাদি।
● রাজনৈতিক মূল্যবোধ যদি গণতান্ত্রিক হয় তবে ঐ রাষ্ট্র এবং সমাজ গণতান্ত্রিক সমাজ বা রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
● নাগরিকের জীবন রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ হলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ।
● গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন।
● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারণা হলো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী, পুরুষের নির্বিশেষে প্রত্যেকের জন্য সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক সাম্যের প্রতি সম্মান ও কা কার্যকর করতে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দৃষ্টিতে রাষ্ট্র হলো জনগণের।
● দার্শনিক জন স্টুয়ার্ট মিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাফল্যের জন্য তিনটি শর্ত উল্লেখ করেছেন।
● গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে গহণ করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য জনগণের থাকা প্রয়োজন।
● ব্যক্তিগত অধিকার সংরক্ষণের জন্য জনগণকে সদা সতর্ক থাকতে হবে।
● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা দ্বারা দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নাগরিকের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে।
● মূল্যবোধ হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি।
● সুশাসন হলো জনগণের অংশগ্রহণ, অাইনের শাসন, স্বচ্ছকা, জনমত, সমতা, দক্ষতা, দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছ ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ।
● অাইনের শাসন হচ্ছে সুশাসন ও মূল্যোধের অন্যতম উপাদান।
● দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত জলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
● নৈতিকতা শব্দটি ইংরেজি Ethics শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ।
● Ethics শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক Ethica শব্দ থেকে।
● Ethics শব্দের বাংলা অর্থ হলো অাচার ব্যবহার বা চরিত্র বা রীতিনীতি বা অভ্যাস।
● শাব্দিক অর্থে নৈতিকতাকে মানুষের রীতিনীতি বা অাচার ব্যবহারেই বোঝায়।
● নৈতিকতা হচ্ছে নীতিঘটিত বা নীতি সংক্রান্ত বিষয় বা মুলনীতি, সৎনীতি বা উৎকর্ষ নীতিকে ধারণ করে।
● নৈতিকতা হলো একটি গুণ যা ভালো অাচারণ অথবা মন্দ অাচার, স্বচ্ছতা, সততা ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত।
● নৈতিকতা হলো সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত অাচারণবিধি।
● জেনাথান হ্যাইট বলেছেন, “ধর্ম, ঐতিহ্য এবং মানব অাচারণ এ তিনটি থেকেই নৈতিকতার উদ্ভব ঘটতে পারে।
● নৈতিকতার উদ্দেশ্য সৎ ও ন্যায়বান মানুষ সৃষ্টি করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সার্বিক উন্নতি সাধন এবং নীতিবোধ প্রতিষ্ঠা করা।
● নৈতিক শিক্ষা শুরু হয় পারিবারিক ভদ্রতা, শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, নিয়ম-নিষ্ঠা, সহনশীলতা ইত্যাদি দ্বারা।
● প্লেটো, এরিস্টটলের সময়ে অাইনসমূহ নীতিশাস্ত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল।
● এরিস্টটল বলেছেন, “সুন্দর জীবনের স্বার্থেই অাইন বিদ্যমান থাকে।
● রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, অাইন ও নৈতিকতার উৎপত্তিস্থল অভিন্ন।
● অাইনের উদ্দেশ্য সৎ ও ন্যায়বান মানুষ সৃষ্টি করে সামাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সার্বিক উন্নতি সাধন এবং নীতিবোধ প্রতিষ্ঠা করা।
● অাইন ও নৈতিকতার অালোচ্য বিষয় মানুষ ও সমাজ।
● অাইনের সাফল্য নির্ভর করে মূলত নীতিবোধের ওপর।
● নীতিবিদ্যার অালোচ্য বিষয় – সমাজে বসবাসকারী মানুষের অাচারণের অালোচনা ও মূল্যায়ন।
● মানুষের কোন ক্রিয়া নীতিবিদ্যার অালোচ্য বিষয় – ঐচ্ছিক ক্রিয়া।
● মূল্যবোধ – মানুষের অাচারণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
● মূল্যবোধ শিক্ষা – নৈতিকতা সম্বন্ধে চেতনা প্রদায়ী শিক্ষা।
● সংখ্যালঘুর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার শিক্ষা – মূল্যবোধ শিক্ষা।
● কারাগার যে ধরনের শিক্ষা প্রদান করে – মূল্যবোধ শিক্ষা।
● মূল্যবোধ শিক্ষার শুরু হয় – পরিবার থেকে।
● মূল্যবোধ শিক্ষার প্রধান পদ্ধতি – ২ টি।
● নৈতিকতা উন্নয়নের শিক্ষা দান করে – মূল্যবোধের শিক্ষা।
● ধর্মীয় ও নাগরিকতার শিক্ষা পাওয়া যায় – মূল্যবোধের শিক্ষা থেকে।
● মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে – এক প্রজন্ম তার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মূল্যবোধ হস্তান্তর করে।
● মূল্যবোধ শুরু হয় – নৈতিকতার মাধ্যমে।
● Values শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ – মূল্যবোধ।
● মূল্যবোধ – সামাজিক অাচার অাচারণের সমষ্টি।
● সার্বিকভাবে একটি গাইডলাইন হিসেবে ভূমিকা পালন করে – মূল্যবোধ।
● মূল্যবোধকে মানুষের ইচ্ছার একটি মানদণ্ড বলেছেন – এম অার উইলিয়াম।
● “মূল্যবোধ হলো ব্যক্তি বা সামাজিক দলের অভিপ্রেত ব্যবহারের সুবিন্যস্ত প্রকাশ” – এম ডাব্লিউ পামফ্রে।
● মূল্যবোধ – মানসিক বিষয়।
● মূল্যবোধ বিষয়টি বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় – মানসিক প্রক্রিয়া।
● বিশ্বাসের অন্তর্নিহিত মূল্য – মূল্যবোধ।
● “মূল্যবোধ হচ্ছে সম্ভাব্য কিভিন্ন লক্ষ থেকে পছন্দ করার এবং অাচারণ মূল্যায়নের মানদণ্ড” – এম স্পেন্সার।
● Values are the standard used to judge behaviour and to chase among various possible goals – M Spenser.
● “কোনো সত্তা বা বিশ্বাসের অন্তর্নিহিত মূল্য হলো মূল্যবোধ” – অ্যান্থনি জি ক্যাটান্স।
● “ব্যাক্তি বা সামাজিক দলের প্রত্যাশিত অাচারণের মানদণ্ড বা মাপকাঠিসমূহই মূল্যবোধ নামে পরিচিত” – এম ডাব্লিউ পামফ্রে।
● “Something intrinsically valuable or desirable” – W Pumfrey.
● বয়সের সাথে পরিবর্তন ঘটে – মূল্যবোধের।
● মানুষের যে সব বিশ্বাস ও অাদর্শকে সামাজিক মূল্যবোধরূপে সংজ্ঞায়িত করা যায় সেগুলো দলীয় কল্যাণ সাধনের জন্য সংরক্ষণ করা অাবশ্যক বলে বিবেচনা করে” – ফ্রান্স্রিড়ড়স ই মেরিল
● “সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজ জীবনে বাঞ্ছিত ও অবাঞ্ছিত বিষয়ে সমাজবাসীদের সমবেত ঐক্য” – ওলসেন।
● সমাজে যোগসূত্র ও সতুবনাধন হিসেবে কাজ করে – মূল্যবোধ।
● “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব প্রকাশ্য ও অনুমেয় অাচার-অাচারণের ধারা, যা ব্যক্তি ও সমাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকৃত” – Clyde Kluokhon.
● মানুষের অাচার অাচারণের মানদণ্ডকে বলা হয় – সামাজিক মূল্যবোধ।
● স্টুয়ার্ড সিডড – একজন সমাজবিজ্ঞানী।
● ‘যে সব মূল্যবোধ ব্যক্তি সমাজের নিকট থেকে অাশা করে এবং যা সমাজ ব্যক্তির নিকট থেকে লাভ করে খুশি হয়, সে সব মূল্যবোধই সমাজ কর্ম মূল্যবোধ’ উক্তি বলেছেন – স্টুয়ার্ড সিডড।
● ‘সমাজকর্মের মূল্যবোধ সমাজকর্ম অনুশীলনের চালিকাশক্তি এবং পেশাদার সমাজকর্মীর পথপ্রদর্শক। সমাজকর্মীদের অাচার অাচারণ, দৃষ্টিভঙ্গি, কার্যবলি এগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়।’ সংজ্ঞাটি দিয়েছেন – কম্পটন ও গ্যালওয়ে।
● নৈতিকতা উদ্ভব ও বিকশিত হয় কোথায়?
উত্তর: মানুষের মনে।
● নৈতিকতা লালন করে – সমাজ।
● মূল্যবোধের অারেক নাম – নৈতিকতা।
● ‘চুরি করা অন্যায়’ বাক্যটি উদাহরণ – নৈতিকতার।
● ‘মিথ্যা বলা ভাল নয়’ এটি একটি – নীতিবাক্য।
● নীতিশাস্ত্রের অালোচ্য বিষয় – নৈতিকতা।
● কোন বিষয় অাইন না হলেও অাইনের মত মান্য করাই – নৈতিকতা।
● নাগরিককে নীতিজ্ঞান শিক্ষা দেয় কোন শাস্ত্র – নীতিশাস্ত্র।
● ___ প্রভাবে মানুষ শৃংখলার পরিপন্থী কাজ করে না – নৈতিকতার।
● সুশাসনের অন্তর্নিহিত শক্তি – নৈতিকতা।
● মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তা ও কাজের ভাল, উচিত ঠিক শব্দগুলো নীতিশাস্ত্রের নৈতিকতা মানদন্ডের দ্বারা নিরূপণ করা হয়’ উক্তিটি – নিউনার ও কিলিং এর।
● নৈতিকতা কোন শাস্ত্রের শাখা – দর্শন।
● Low does not and cannot cover all grounds of morality. – ম্যাকাইভার।
● ___ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মানুষ অাইন অপেক্ষা বিববেক দ্বারা পরিচালিত হয় – নৈতিকতার।
● নৈতিকতার বড় রক্ষা কবচ – বিবেকের দর্শন।
● অধিকতর জনকল্যাণমুখী শাসনই – সুশাসন।
● ‘সুশাসন রাজনৈতিক ব্যবস্থা, এর কার্যকারিতা, যথাযথ কার্যক্রম ও গুণগত মানের সক্ষমতা প্রকাশ করে। – অাতাউর রহমান।
● শাসক ও শাসিতের মাঝে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে – সুশাসন।
● ___ ব্যবস্থায় জনগন ভাবতে শিখে রাষ্ট্র তাদের এবং রাষ্ট্রের প্রতি তাদের দায়িত্ব রয়েছে – সুশাসন।
● ‘সুশাসন মানবাধিকার এবং অাইনের শাসকে নিশ্চিত করে, জনপ্রশাসনকে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তিতে শক্তিশালী করে তোলে – কফি অানান।
● নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত অাচারণগত উৎকর্ষতাকে বলে – শুদ্ধাচার।
● শুদ্ধাচারের অর্থ – চরিত্রনিষ্ঠা।
● স্বচ্ছতা শব্দের অাভিধানিক অর্থ – নির্ভুলতা।
● অাইনের শাসন অর্থ – অাইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান।
● গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র – সাম্য।
● সুশাসন শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ – Good Governance.