Category: পদার্থবিজ্ঞান

অালোর প্রকৃতি

● অালোর এক প্রকার শক্তি – যা চোখে প্রবেশ করে দর্শনের অনুভূতি জাগায়।
● বায়ুতে বা শূন্যস্থানে অালোর গতি – ৩x১০^৮ মিটার/সেকেন্ড।
● সবচেয়ে ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যর বিকিরণ – গামারশ্মি।
● সর্ববৃহৎ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণ – বেতার তরঙ্গ।
● পারমাণবিক বিষ্ফোরণের ফলে উৎপন্ন হয় – তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মি।
● রঙিন টেলিভিশন হতে বের হয় ক্ষতিকর – রঞ্জন রশ্মি।
● শরীরের ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে – অতিবেগুনি রশ্মি।
● সূর্য ও কঠোর অাগুন থেকে বিকীর্ণ তাপ নির্গত হয় – অবলোহিত রশ্মি।
● টেলিভিশন ও রাডারে ব্যবহৃত হয় – মাইক্রোওয়েব।
● বাংলাদেশে টিভি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে Audio Signal পাঠানো হয় – Frequency Modulation
● অালোর উৎপত্তির কারণ – পরমাণুর ইলেকট্রন।
● অালো কোনো মাধ্যমে একবছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে বলে – অালোকবর্ষ বা Light year.
● অালোর গতিতে চললে পৃথিবী হতে চাঁদে পৌঁছাতে সময় লাগবে – ১.৫ সেকেন্ড।
● একটি বাতি কি পরিমাণ অালো দেয় বা কোন পৃষ্ঠে কিভাবে অালো পড়লে সেটি কেমন উজ্জ্বল দেখায় এসব নিয়ে যে অালোচনা হয় তাকে বলে – দীপ্তিমিতি।
● অালোর বিভিন্ন তত্ত্ব :
➺ কণা তত্ত্ব (১৬৭২) – স্যার অাইজ্যাক নিউটন।
➺ তরঙ্গ তত্ত্ব (১৬৭৮) – হাইগেন
➺ তড়িৎ চৌম্বক তত্ত্ব (১৮৬৪) – ম্যাক্সওয়েল
➺ কোয়ান্টাম তত্ত্ব (১৯০০) – ম্যাক্স প্লাঙ্ক
● বর্ণালীতে ১০^-১১ মিটারের চেয়ে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সকল বিকিরণই – গামা রশ্মি।
● গামা রশ্মির শক্তি দৃশ্যমান অালোর চেয়ে – পঞ্চাশ হাজার গুণ বেশি।
● ফটো তৎক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন – বিজ্ঞানী অাইনস্টাইন।
● অালোক রশ্মির সর্বনিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকাকে বলে – ফোটন।
● কোনো কোনো ধাতুর উপর অালো পড়লে তাৎক্ষণিক ইলেকট্রন নির্গত হয়, একে বলে – ফটো তড়িৎ ক্রিয়া।
● কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে ফটো তড়িৎ ক্রিয়ার ব্যখ্যা জন্য নোবেল পুরস্কার পান – অাইনস্টাইন।
● তড়িৎ চৌম্বক বিকিরণ বা তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গের সমগ্র পরিসরকে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বা কম্পাংকের ভিত্তিতে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, একে বলে – তড়িৎ চৌম্বক বর্ণালী।
● বিভিন্ন তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গের দৈর্ঘ্য :
➺ গামারশ্মি – ১০^-১১ মিটার চেয়ে ছোট।
➺ এক্সরে – ১০^-১১ মিটার থেকে ১০^-৮ মিটার।
➺ অতিবেগুনি রশ্মি – ১০^-৯ মিটার থেকে ৩.৫x১০^-৭ মিটার।
➺ দৃশ্যমান অালো – ৪x১০^-৭ মিটার থেকে ৭x১০^-৭ মিটার
➺ অবলোহিত রশ্মি – ১০^-৬ থেকে ১০^-৩ মিটার
➺ বেতার তরঙ্গ – ১০^-৪ মিটার থেকে ৫x১০^৪ মিটার

তরল ও বায়বীয় পদার্থ

➺ বরফ পানিতে ভাসে কারণ বরফের তুলনায় পানির — ঘনত্ব বেশি।
➺ পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশ — ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায়।
➺ সবচেয়ে মৃদু পানির প্রাকৃতিক উৎস — বৃষ্টি।
➺ পানির ছোট ফোটা গোলাকৃতি হয় — পৃষ্ঠটানের জন্য।
➺ সাতার কাটা সহজ — সাগরে।
➺ উচ্চ পর্বতের চূড়ায় উঠলে নাক দিয়ে রক্তপাতের সম্ভবনা থাকে, কারণ উচ্চ পর্বত চূড়ায় — বায়ুর চাপ কম।
➺ কোন বস্তুকে পানিতে সম্পূর্ণভাবে ডুকালে পানিতে যেখানে এটা রাখা যায় সেখানেই এটা থাকে কারণ — বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্ব সমান।
➺ পানিকে বরফে পরিণত করলে অায়তন — বাড়ে।
➺ প্লবতা বেশি — সমুদ্রের পানির।
➺ একটি জাহাজ সমুদ্র থেকে নদীতে প্রবেশ করলে জাহাজের তল — অারও ডুববে।
➺ স্থির তরলে কোন বস্তুকে নিমজ্জিত করলে সেই বস্তু উপরের দিকে যে লব্ধি বল অনুভব করে তকে বলে — প্লবতা।
➺ ভূমি থেকে বহু উপরে উঠলে শ্বাসকষ্ট হয় কারণ — উপরে বায়ুর চাপ কম।
➺ সমুদ্রের পানিতে সাতার কাটা সহজ হয় কারণ — পানির ঘনত্ব বেশি বলে উর্ধ্বমুখী চাপ বেশি হয়।
➺ তাপমাত্রা বড়লে তরলের পৃষ্ঠটান — হ্রাস পায়।
➺ জাহাজ পানিতে ভাসার কারণ ব্যাখ্রা করা হয় থাকে — অার্কিমিডিসের সূত্রের সাহায্যে।
➺ কোন ডুবন্ত বস্তুর ওজন সমঅায়তন তরলের ওজনের — বেশি।

কাজ, ক্ষমতা ও শক্তি

➺ নবায়নযোগ্য জ্বালানী — পরমাণু শক্তি।
➺ নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস — সূর্য রশ্মি।
➺ কাজ ও বলের একক যথাক্রমে — জুল ও ডাইন।
➺ বেশি স্থিতিস্থাপক — ইস্পাত, লোহা
➺ তড়িৎশক্তি শব্দশক্তিতে রুপান্তরিত হয় যে যন্ত্রের সাহায্যে — লাউড স্পীকার।
➺ কাজ করার সামর্থ্যকে বলে — শক্তি।
➺ সূর্যে শক্তি উৎপন্ন হয় — পরমাণুর ফিউশন পদ্ধতিতে।
➺ ১ হর্স পাওয়ার সমান — ৭৪৬ ওয়াট।
➺ প্রাকৃতিক গ্যাসে সঞ্চিত থাকে — রাসায়নিক শক্তি।
➺ জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টারবাইন ঘুরানোর জন্য — পানির গতিশক্তিকে বাজে লাগানো হয়।
➺ পৃথিবীর শক্তির মূল উৎস — সূর্য।
➺ কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ শক্তির মূল উৎস — পানির বিভব শক্তি।
➺ হর্স পাওয়ার — ক্ষমতা পরিমাপের একক।

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ

➺ বস্তুর ওজন সবচেয়ে বেশি — মেরু অঞ্চলে।
➺ মধ্যাকর্ষণজনিত তরণ সর্বোচ্চ — ভূপৃষ্ঠে।
➺ কোনস্থানে মধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ ৯ গুণ বাড়ালে সেখানে একটি সরল দোলকের দোলনকাল কতগুণ বাড়বে বা কমবে — ৩ গুণ কমবে।
➺ পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে আমরা ছিটকে পড়ি না — মধ্যাকর্ষণ বলের জন্য।
➺ একটি সরল দোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল — অসীম হবে।
➺ একটি পেন্ডুলাম ঘড়ি বিষুবরেখা থেকে মেরুতে নিলে তার দোলনকাল — ফাস্ট হবে।
➺ পৃথিবীর কেন্দ্র g এর মান — শূন্য।
➺ চাঁদে কোন জিনিসের ওজন পৃথিবীতে ঐ জিনিসের ওজনের — ৬ ভাগের ১ ভাগ।
➺ সূর্য অপেক্ষা পৃথিবীর উপর চাঁদের আর্কষণ শক্তি প্রায় — দ্বিগুণ।
➺ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে উপরে উঠলে মধ্যাকর্ষণ বল — কমে যায়।
➺ চাঁদে নিয়ে যাওয়া কোন বস্তুর ওজন — কমবে।
➺ মধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেন — নিউটন।
➺ যখন কোন বস্তুকে বিষুবরেখা থেকে মেরুর দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ওজন — বাড়ে।
➺ পৃথিবী ও তার নিকটস্থ বস্তুর মধ্যে যে টান তাকে বলে — অভিকর্ষ।
➺ অভিকর্ষজ ত্বরণ সবচেয়ে বেশি — ভূপৃষ্ঠে।
➺ বায়ুমন্ডল পৃথিবীর সাথে অাবর্তিত হচ্ছে — পৃথিবীর কেন্দ্রের অাকর্ষণে অাকৃষ্ট হয়ে।
➺ পাহাড়ে ওঠার বা সিড়ি ভাঙ্গার পরিশ্রম বেশি হয়, কারণ — অভিকর্ষ বলের বিপরীতে কাজ করতে হয়।
➺ অভিকর্ষ হলো বস্তুর ওপর — নিম্নমুখী বল।
➺ সরল দোলকের সুতার দৈর্ঘ্য বাড়ালে, দোলনকাল — বাড়বে।
➺ দোলক ঘড়ি দ্রুত চলে — শীতকালে।
➺ মাধ্যাকর্ষণ বলের মান সবচেয়ে বেশি — ভূপৃষ্ঠ।

গতিবিদ্যা

★ নদীর একপাশ থেকে গুণ টেনে নৌকাকে মাঝ নদীতে রেখেই সামনের দিকে নেওয়া সম্ভব হবে কিভাবে?
— যথাযথ হাল ঘুরিয়ে।
★ পালতোলা নৌকা সম্পূর্ণ অন্য দিকের বাতাসকেও এর সম্মুখ গতিতে ব্যবহার করতে পারে কারণ — সম্মুখ অভিমুখে বলের উপাংশটিকে কার্যকর রাখা হয়।
★ ফুলানো বেলুনের মুখ ছেড়ে দিলে বাতাস বেরিয়ে যাবার সঙ্গে বেলুনটি ছুটে যায়। এ নীতির মিল অাছে — রকেেট ইঞ্জিনের সাথে
★ সাহসা দরজা খুলতে চাইলে দরজার বল প্রয়োগ করা উচিত — কব্জার বিপরীত প্রান্তে
★ শূন্য মাধ্যমে ভিন্ন ভরের ৩টি বস্তুকে এক সঙ্গে ছেড়ে দিলে মাটিতে পড়বে — সবকটি এক সঙ্গে।
★ যখন বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হয়, তখন — বন্দুক একই ভরবেগে পিছিয়ে অাসে।
★ চলন্ত বাস ব্রেক করলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুকে পড়েন — গতি জড়তার কারণে।
★ নিউটনের গতিসূত্র — ৩ টি।
★ বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে অার গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে সরলপথেচলতে থাকবে — গতির প্রথম সূত্র।
★ বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার এর উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যে দিকে ক্রিয়া করে ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে — গতির দ্বিতীয় সূত্র।
★ প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া অাছে — গতির তৃতীয় সূত্র
★ একজন মাঝি নৌকা চালানোর সময় প্রয়োগ করে — নিউটনের তৃতীয় সূত্র
★ পাহাড়ে ওঠার সময় অামাদের সামনের দিকে ঝুকতে হয় — পেছনের দিকে হেলে পড়া রোধের জন্য।
★ এক কেজি বল সমান — ৯.৮ নিউটন
★ সুষম বেগে চলন্ত রেলগাড়ির কামরায় বসে একটি ছেলে উপরের দিকে একটি বল ছুড়ে দিলে বলটি পড়বে — ছেলেটির হাতে
★ একটি হালকা ও একটি ভারি বস্তুর ভরবেগ সমান। এদেরর মধ্যে গতিশক্তি বেশি —
ভারিটির
★ মহাকাশযানকে উৎক্ষেপন করার জন্য রকেট নির্মিত হয় — গতির তৃতীয় সূত্রের নীতির উপর নির্ভর করে
★ বাঁকা পথে অতি দ্রুত গতিশীল গাড়ি উল্টে যায় — কেন্দ্রমুখী বলের অভাবে।
★ লুব্রিকেশন সিস্টেমের কাজ — যন্ত্রাংশে ঘর্ষণজনিত যে উত্তাপ সৃষ্টি হয় তাকে হ্রাস করা।

তাপ ও তাপগতিবিদ্যা

তাপ ও তাপমাত্রা :
● তাপ এক প্রকার শক্তি – যা ঠান্ডা বা গরমের অনুভুতি জাগায়।
● ১ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির জন্য যে তাপের প্রয়োজন হয় তাকে বলে – ১ ক্যালরি।
● ১ ক্যালরি = ৪.২ জুল।
● তাপমাত্রা হচ্ছে বস্তুর তাপীয় অবস্থা – যা অন্য বস্তুর তাপীয় সংস্পর্শে অানলে বস্তুটি তাপ গ্রজণ করবে না বর্জন করবে তা নির্ধারণ করে।
● ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ২৭৩ কেলভিন তাপমাত্রকে বলা হয় – প্রমাণ তাপমাত্রা।
● ৭৬০ মিমি চাপ বা ৭৬ সেমি চাপকে বলা হয় – প্রমাণ চাপ।
● -২৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ০ কেলভিন তাপমাত্রাকে বলে – পরম শূন্য তাপমাত্রা।
● পরম শূন্য তাপমাত্রায় গ্যাসের অায়তন – শূন্য।
● তাপমাত্রার বিভিন্ন স্কেল –
স্কেলের নাম – সংকেত – স্থিরাংক
→ সেন্টিগ্রেড – C – ০-১০০
→ ফারেনহাইট – F – ৩২-২১২
→ কেলভিন – K – 273-373
→ রোমার – R – 0-80
● তাপমাত্রার বিভিন্ন স্কেলের তুলনামুলক রাশিমালা – C/5= (F-32)/9=(K-273)/5=R/4
● ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার দাগ কাটা থাকে – ৯৫ ডিগ্রি থেকে -১১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত।
● মানব দেহের স্বাভাবিক উষ্ণতা বা তাপমাত্র হলো – ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৬.৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
● তাপ প্রয়োগে পদার্থের প্রসারণ ক্রম – বায়বীয়>তরল>কঠিন।
● হরিকেনের গরম চিমনির উপর ঠান্ডা পানি পড়লে তা ফেটে যায় কারণ – কাঁচের কিছু অংশে অসম অায়তন সংকোচনের জন্য।
● পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি – ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়।
● তারকাসমূহের তাপমাত্রা নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয় – পাইরোমিটার।
● বাতাসের তাপমাত্রা কমে গেলে অার্দ্রতা – কমে যায়।
● ফারেনহাইট ও কেলভিন স্কেলে একই পাঠ দেয় তাপমাত্রায় – ৫৭৪.২৫ ডিগ্রিতে।
● ফারেনহাইট ও সেন্টিগ্রেড স্কেলে একই পাঠ দেয় যে তাপমাত্রায় – -৪০ ডিগ্রিতে
বস্তুর উপর তাপ ও চাপের প্রভাব:
● চাপ প্রয়োগের ফলে কঠিনবস্তুর গলে যাওয়া এবং চাপ প্রত্যাহারে অাবার কঠিন অবস্থা প্রাপ্ত হওয়াকে বলে – পুনঃশীতলীকরণ।
● চাপে বরফের গলনাংক – কমে যায়।
● চাপ বাড়লে তরলের স্ফুটনাংক – বেড়ে যায়।
● চাপ কমলে স্ফুটনাংক – কমে।
● পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে যত উপরে উঠা যায় তত বায়ুর চাপ – কমতে থাকে।
● সাধারণ পাম্পে পানিকে যে উচ্চতার অধিক উঠানো যায় না – ৩৪ ফুট।
● কাচে ধাতব পাত সংযুক্ত প্লাটিনাম ব্যবকার করা হয় কারণ – কাচ ও প্লাটিনামের প্রসারাংক প্রায় সমান।
● পদার্থের গলনাংক নির্ভর করে – চাপের হ্রাস বৃদ্ধির উপর।
● শীতকালে নারকেলের তেল জমার কারণ – তেলের স্বভাবিক তাপমাত্রা গলনাংকের নিচে নেমে যায়।
● দুটি ঘরের তাপমাত্রা সমান কিন্তু অাপেক্ষিক অার্দ্রতা যথাক্রমে ৫০% এবং ৭৫ শতাংশ হলে তুলমামূলকভাবে অারামদায়ক হবে – প্রথম ঘরটি।
● এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গে পানি ফুটতে শুরু করে যে তাপমাত্রায় – ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে।
● অাকস্মিক তাপমাত্রা হ্রাসের ফলে বাষ্প জমাট বেধে তৈরি হয় – তুহিন।
● ঠান্ডা ও গরম পানির মধ্যে তাড়াতাড়ি অাগুন নেভাতে সাহায্য করে – গরম পানি।
ক্যালরিমিতি:
● কোন বস্তুর এক গ্রাম ভরের তাপমাত্রা ১ কেলভিন বাড়াতে যে তাপের প্রয়োজন হয় তাকে বলে – ঐ বস্তুর উপাদানের অাপেক্ষিক তাপ।
● কোন বস্তুর অন্তর্নিহিত তাপশক্তির পরিমাণ নির্ভর করে – বস্তুটির ভর, উপাদান এবং তাপমাত্রার উপর।
● স্থলভাগের তুলনায় সামুদ্রিক অঞ্চলের তাপমাত্রা অনেক ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হ্রাস পায় কারণ – পানির অাপেক্ষিক তাপ মাটির চেয়ে বেশি।
● রাতে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয় কারণ – সমুদ্রের পানির অাপেক্ষিক তাপ বেশি বলে তা অাস্তে অাস্তে ঠান্ডা হয়।
● পানির অাপেক্ষিক তাপ মাটির অাপেক্ষিক তাপের চেয়ে – পাঁচ গুণেরও বেশি।
তাপ সঞ্চলন:
● তাপ সঞ্চালনের পদ্ধতি – তিনটি। যথা: বিকিরন, পরিবহন, পরিচলন।
● তাপের পরিবহনের জন্য প্রয়োজন – জড় মাধ্যম।
● তাপের পরিবাহকত্বের মান নির্ভরশীল – পরিবাহকের উপাদানের উপর।
● স্বচ্ছ বস্তুর মধ্য দিয়ে হয় তাপের – বিকিরন।
● তাপরোধী পদার্থ – মেঘ।
● তাপ বিকিরণ ও শোষণ করার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি – কালো বস্তুর।
● তাপ বিকিরণ ও শোষণ করার ক্ষমতা সবচেয়ে কম – সাদা রঙের বস্তুর।
● পালিশ করা পৃষ্ঠের তাপ বিকিরণ করার ক্ষমতা – কম।
● যে সব পদার্থের মধ্যে দিয়ে তাপ সহজে পরিবাহিত হতে পারে, তাদেরকে বলে – সুপরিবাহী পদার্থ।
● সুপরিবাহী পদার্থের উদাহরণ – লোহা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম।
● যে সব পদার্থের মধ্যে দিয়ে তাপ সহজে পরিবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে বলে – কুপরিবাহী পদার্থ।
● কুপরিবাহী পদার্থের উদাহরণ – তুলা, কাচ, পশম।
● ০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার পানির চেয়ে ০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার বরফ – বেশি ঠাণ্ডা।
● যে সব বস্তু অাপতিত বিকীর্ণ তাপ প্রায় শোষণ করে তাদেরকে বলে – অাদর্শ কালো বস্তু। যেমন: ভূসা কয়লা, কালো প্লাটিনাম।
● ভূসা কয়লা প্রায় ৯৫% এবং কালো প্লাটিনাম প্রায় ৯৮% – বিকীর্ণ তাপ শোষণ করে।
● পুকুরের উপরের পানি ঠাণ্ডা এবং নিচের গরম মনে হয় – শীতকালে।
তাপীয় যন্ত্র :
● যে যন্ত্র তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্কিতে রূপান্তরিত করে তাকে বলে – তাপইঞ্জিল।
● তাপইঞ্জিনের উদাহরণ – পেট্রোল ইঞ্জিল, ডিজেল ইঞ্জিল, গ্যাস ইঞ্জিন।
● তাপীয় ইঞ্জিন – দুই প্রকার। যথা: অন্তর্দহ ও বহির্দহ।
● যে ইঞ্জিনে জ্বালানির দহন ক্রিয়া ইঞ্জিনের মূল অংশের বাইরে ঘটে, তাকে বলে – বহির্দহ ইঞ্জিন।
● যে ইঞ্জিনে জ্বালানির দহন ক্রিয়া ইঞ্জিনের মূল অংশের ভিতরে ঘটে কাকে বলে – অন্তর্দহ ইঞ্জিন।
● অ্যারোপ্লেনের ইঞ্জিন – অন্তর্দহ ইঞ্জিনের উদাহরণ।
● সর্বপ্রথম পেট্রোল ইঞ্জিন অাবিস্কার করেন – ড. অটো, ১৮৮৬ সাল।
● পেট্রোল ইঞ্জিনের দক্ষতা – প্রায় ৩০%।
● ফ্রেয়ন এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ, যার রাসায়নিক নাম ডাইক্লোরো ডাইফ্লোরো মিথেন।
● ফ্রেয়নের বাণিজ্যিক নাম – F-22
● ইঞ্জিনের উত্তাপ কম রাখার যন্ত্র – রেডিয়েটর।
● ইঞ্জিনের কার্বুরেটরের কাজ – পেট্রোলকে বাষ্পে পরিণত করা।
● চতুর্ঘাত ইঞ্জিনের উদাহরণ – পেট্রোল ইঞ্জিন।
● সর্বাপেক্ষা বেশি দক্ষতাসম্পন্ন ইঞ্জিন – বৈদ্যুতিক মোটর।

তাপ বিজ্ঞানের কতিপয় ব্যবহারিক প্রয়োগ :

✿ রেফ্রিজারেটর কমপ্রেসরের কাজ — ফ্রেয়নকে বাষ্পে পরিণত করা।
✿ এক গ্রাম পানির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি হতে ৩০ ডিগ্রি বৃদ্ধির জন্য তাপের প্রয়োজন – ১০ ক্যালরি।
✿ কার্বুরেটর থাকে – পেট্রোল ইঞ্জিনে।
✿ প্রসার কুকারে রান্না তাড়াতাড়ি হয় – কারণ উচ্চচাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়।
✿ পাহাড়ের উপর রান্না করতে বেশি সময় লাগে – বায়ুর চাপ কম থাকার কারণে।
✿ ফারেনহাইট ও সেলসিয়াসের স্কেলে সমান তাপমাত্রা নির্দেশ করে – ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়।
✿ মাটির পাত্রে পানি ঠান্ডা থাকে – কারণ মাটির পাত্র পানির বাষ্পীভবনে সাহায্য করে।
✿ অাকাশে মেঘ থাকলে গরম বেশি লগে – মেঘ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপকে ওপরে যেতে বাধা দেয় বলে।
✿ প্রেসার কুকারে পানির স্ফুটনাংক – বেশি হয়।
✿ চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয় – কালো রঙের কাপে।
✿ পর্বতের চূড়ায় অারোহণ করলে নাক দিয়ে রক্তপাত হতে পারে, কারণ উচু পর্বত চূড়ায় – বায়ুর চাপ কম।
✿ রান্নার করার পাতিল সাধারণত অ্যালুমিলিয়াম তৈরি হয়, এদের প্রধান কারণ – এতে দ্রুত তাপ সঞ্চারিত সঞ্চারিত হয়ে খাদ্যদ্রব্য তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়।
✿ মেঘাচ্ছন্ন অাকাশে রাত অপেক্ষাকৃত গরম হয় – মেঘ মাটি থেকে বায়ুতে তাপ বিকিরণে বাথা দেয়।
✿ যে রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা কম – সাদা
✿ স্ফুটন শুরু হওয়ার পর পানি জীবাণুমুক্ত হয় – ১৫-২০ মিনিট ধরে স্ফুটন করলে।
✿ পাহাড়ের চূড়ায় পানির স্ফুটনাংক কমে যায় কারণ ঐ উচ্চতায় – বায়ুর চাপ কম।
কাপড়ের তাপ বিকিরণ ও শোষণ করার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি – কালো রঙের।
✿ তাপ সঞ্চালনের দ্রুততম প্রক্রিয়া – বিকিরণ।
✿ ক্রমশ ব্যারোমিটারে পারদের উচ্চতা বৃদ্ধি – ভালো অাবহাওয়ার ইঙ্গিত।
✿ শীতকালে শরীরের চামড়া ফাটে — অার্দ্রতার অভাবে।
✿ রেললাইনের ফিস প্লেট – দুইটি রেলকে সংযুক্ত করে।
✿ বিকীর্ণ তাপ নির্ভর করে – তরঙ্গের তীব্রতার উপর।
✿ তাপ প্রয়োগে সবচাইতে বেশি প্রসারিত হয় – বায়বীয় পদার্থ।
✿ সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ অাসে বিকিরণ পদ্ধতিতে।
✿ মেঘলা রাতে – শিশির উৎপন্ন হয় না।
✿ ভূপৃষ্ঠ হতে উপরে উঠলে শরীর ফেটে রক্ত পড়ে – সেখানে বায়ুর চাপ ভূপৃষ্ঠ হতে কম বলে।
✿ শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ – কম থাকে।
✿ একটি বদ্ধ ঘরে একটি চালু ফ্রিজের দরজা খুলে রাখলে ঘরের তাপমাত্রা – অপরিবর্তিত থাকবে।
✿ শীতে শরীর কাঁপে – শরীরের তাপের চেয়ে বাহিরের তাপ কম বলে।
✿ শীতকালে ঠোট ও গায়ের চামড়া ফেটে যায় – বাতাসের অাপেক্ষিক অার্দ্রতা কম বলে।
✿ গ্রীষ্মকালে অামরা গরম কাপড় পরিনা কারণ – কালো কাপড় শরীরের তাপকে বাইরে যেতে বাধা দেয় না।
✿ ফ্যান চালালে অামরা ঠান্ডা অনুভব করি, কারণ ফ্যান – শরীর থেকে বাষ্পীভবনের হার বাড়িয়ে দেয়।
✿ বর্ষাকলে ভেজা কাপড় শুকাতে দেরি হয় – কারণ বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে।
✿ রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত হয় – অ্যামোনিয়া ও ফ্রেয়ন।
✿ ফারেনহাইট স্কেলে পানির স্ফুটনাংক -২১২ ডিগ্রি।
✿ শীতকালে ভিজা কাপড় তাড়াতাড়ি শুকায় – বাতাসে জলীয়বাষ্প কম থাকে।
✿ পরম শূন্য তাপমাত্রার সমান – – ২৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
✿ শহরের রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ সাধারণত সাদা ছাতা ও সাদা জামা ব্যবহার করে – তাপ বিকিরণ থেকে বাচার জন্য
✿ মোটরগাড়ির ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখার জন্য পানি ব্যবহার করা হয়, কারণ – তাপ শোষণ করলেও পানির উষ্ণতা অল্প বৃদ্ধি পায়।
✿ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কার্বনের রোধ – হ্রাস পায়।
✿ শীতকালে অামাদের দেশে ভিজা কাপড় দ্রুত শুকায় এবং গায়ের চামড়া বা ঠোট ফেটে যায় – অাপেক্ষিক অার্দ্রতা কম থাকে বলে।
✿ সমান তাপমাত্রা দিলে দুধ পানি অপেক্ষা অাগে ফোটে – দুধের তাপগ্রহীতা বেশি বলে।

তরঙ্গ ও শব্দ

● যে পর্যায়বৃত্ত অান্দোলন কোন জড় মাধ্যমের একস্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থানান্তরিত করে না তাকে বলে – তরঙ্গ।
● তরঙ্গ – দুই প্রকার। যথা: অনুপ্রস্থ তরঙ্গ ও অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।
● কোন একটি কম্পমান বস্তু বা কণা এক সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করে, তাকে বলে – তার কম্পাংক।
● কম্পাংকের একক – হার্জ।
● শক্তির একটি বিশেষ তরঙ্গ রুপ যা অামাদের কানে অনুভূতি জাগায়, তাকে বলা হয় – শব্দ।
● শব্দ সঞ্চারনের জন্য প্রয়োজন হয় – জড় মাধ্যম।
● চাঁদে শব্দ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যম অর্থাৎ বায়ু নেই বলে – চাঁদে শব্দ শোনা যায় না।
● শব্দের বেগের তীব্রতার ক্রম – কঠিন>তরল>বায়বীয়।
● ভ্যাকিউয়ামে শব্দের বেগ – শূন্য।
● ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এবং স্বাভাবিক চাপে শব্দের গতিবেগ:
➺ লোহাতে শব্দের বেগ – ৫২২১ মিটার/সেকেন্ড।
➺ পানিতে শব্দের বেগ – ১৪৫০ মিটার/সেকেন্ড
➺ শুষ্কবায়ুতে শব্দের বেগ – ৩৩২ মিটার/সেকেন্ড।
● বাতাসের অার্দ্রতা বেড়ে গেলে শব্দের বেগ – বেড়ে যায়।
● শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে যে বিমান চলে তাকে বলে – সুপারসনিক বিমান।
● কোন উৎস থেকে সৃষ্ট শব্দ যদি দূরবর্তী কোন মাধ্যমে বাধা পেয়ে উৎসের কাছে ফিরে অাসে তখন মূল ধ্বনির যে পুনরাবৃত্তি হয় তাকে বলে – শব্দের প্রতিধ্বনি।
● শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যবর্তী নূন্যতম দুরত্ব হওয়া প্রয়োজন – ১৬.৬ মিটার।
● শব্দের কম্পাংক ২০ হার্জ থেকে ২০০০০ হার্জ এর মধ্যে সীমিত থাকলে অামরা যে শব্দ শুনতে পাব, তাকে বলে – শ্রাব্যতার সীমা।
● যে শব্দ তরঙ্গের কম্পাংক ২০০০০ হার্জ এর চেয়ে বেশি তাকে বলে – শ্রবণোত্তর বা শব্দোত্তর তরঙ্গ।
● তাপ বা ঘনত্বের বৃদ্ধির সাথে সাথে শব্দের দ্রুতি – বেড়ে যায়।
● লোহার মধ্যে শব্দ বাতাসের তুলনায় – ১৫ গুণ দ্রুত চলে।
● শব্দের তীক্ষ্মতা নির্ভর করে – শব্দ তরঙ্গের বিস্তারের উপর।
● একটি মাত্র কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে বলে – সুর।
● একাধিক কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে বলে – স্বর।
● শ্রবণোত্তর শব্দ সাধারণভাবে শুনতে পায় না মানুষ।
● অালট্রাসনোগ্রাফি হলো – ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শব্দের দ্বারা ইমেজিং।
● শব্দের তীব্রতা পরিমাপ করা হয় – অডিওমিটারের মাধ্যমে।
● ‘শব্দ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন’ এটি প্রথম প্রমাণ করেন – অটো ভন গেরিক।
● শব্দের সাহায্যে নির্ণয় করা যায় না – বস্তুর ঘনত্ব।
● শব্দ সবচেয়ে দ্রুত চলে – অার্দ্র ও ভেজা বাতাসে।
● সমটান সম্পন্ন টানা তারের দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ করলে কম্পাংক হবে – অর্ধেক।
● একটি শূন্য পাত্রকে অাঘাত করলে পানি ভরা পাত্রের চেয়ে বেশি শব্দ হয়, করণ – বাতাসে শব্দ তরঙ্গের বিস্তার বেশি।
● কুকুর বিড়াল, চামচিকা শুনতে পায় – অাল্ট্রসনিক শব্দ।
● বায়ু অপেক্ষা পানিতে শব্দের বেগ – প্রায় ৪ গুণ বেশি।
● তরঙ্গ দৈর্য্য বাড়লে শব্দের তীব্রতা – কমে।

ভৌত রাশি ও এর পরিমাপ

● ভৌত জগতের যা কিছু পরিমাপ করা যায় তাকেই বলে – রাশি।
● রাশি – ২ প্রকার। যথা: মৌলিক ও লব্ধ।
● যে সকল রাশি অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে বলে – মৌলিক রাশি।
● মৌলিক রাশি – ৭টি।
● SI পদ্ধতিতে মৌলিক রাশিগুলোর একক :
➺ দৈর্ঘ্যের একক – মিটার
➺ ভরের একক – কিলোগ্রাম
➺ সময়ের একক – সেকেন্ড
➺ তাপমাত্রার একক – কেলভিন
➺ তড়িৎপ্রবাহের একক – অ্যাম্পিয়ার
➺ দীপনক্ষমতার একক – ক্যান্ডেলা
➺ পদার্থের পরিমাণেরর একক – মোল
● যে সকল রাশি মৌলিক রাশির উপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশি থেকে লাভ করা যায় তাদেরকে বলে – লব্ধ রাশি।
● SI পদ্ধতিতে কয়েকটি লব্ধরাশির একক :
➺ বলের একক – নিউটন
➺ কাজ/শক্তি/তাপ এর একক – জুল
➺ ক্ষমতার একক – ওয়াট
➺ চাপের একক – প্যাসকেল
➺ কম্পাংকের একক – হার্জ
➺ অাধানেরর একক – কুলম্ব
➺ রোধের একক – ওহম
➺ পরিবাহিতার একক – সিমেন্স
➺ তেজস্ক্রিয়তার একক – বেকরেল
➺ এক্সরের একক – রনজেন্ট
➺ লেন্সের একক – ডাইঅপ্টার
● CGS এর পূর্ণরূপ – Centimetre Gram Second System
● FPS এর পূর্ণরূপ – Foot Pound Second System
● MKS এর পূর্ণরূপ – Meter Kilogram Second System
● ISO এর পূর্ণরূপ – International Organization for Standardization
● অান্তর্জাতিক একক পদ্ধতি চালু হয় – ১৯৬০ সালে।
● বিভিন্ন পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য, ভর ও সময়ের একক :
➺ CGS পদ্ধতিতে :
◇ দৈর্ঘ্যের একক – সেন্টিমিটার।
◇ ভরের একক – গ্রাম
◇ সময়ের একক – সেকেন্ড
➺ FPS পদ্ধতিতে :
◇ দৈর্ঘ্যের একক – ফুট
◇ ভরের একক – পাউন্ড
◇ সময়ের একক – সেকেন্ড
➺ MKS পদ্ধতিতে :
◇ দৈর্ঘ্যের একক – মিটার
◇ ভরের একক – কিলোগ্রাম
◇ সময়ের একক – সেকেন্ড
● গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপের সম্পর্ক :
➺ ১ অশ্বক্ষমতা = ৭৪৬ ওয়াট
➺ ১ নটিক্যাল মাইল = ১৮৫৩.১৮ মিটার বা ১.৮৫ কিলোমিটার।
➺ ১ নটিক্যাল মাইল = ১.৪ মাইল
➺ ১ মাইল = ১.৬১ কিলোমিটার
➺ ১ মিটার = ৩৯.৩৭ ইঞ্চি
➺ ১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেন্টিমিটার।
➺ ১ পাউন্ড = ০.৪৫৪৫ কিলোগ্রাম
➺ ১ কিলোগ্রাম = ২.২১ পাউন্ড।
➺ ১ হেক্টর = ১০০০০ বর্গমিটার
➺ ১ লিটার = ১০০০ ঘন সেন্টিমিটার

ভৌত পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা

● বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ ও শক্তি নিয়ে অালোচনা করা হয় সেই শাখাকে বলে — পদার্থবিজ্ঞান।
● পাদার্থবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে — পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও বিশ্লেষণের অালোকে বস্তু ও শক্তির রূপান্তর ও সম্পর্ক উদঘাটন এবং পরিমাণগতভাবে তা প্রকাশ করা।
পদার্থবিজ্ঞানের প্রধান শাখা :
➺ বলবিদ্যা ও পদার্থের সাধারণ ধর্ম
➺ তাপ ও তাপগতিবিদ্যা
➺ অালোকবিদ্যা
➺ চুম্বকবিদ্যা
➺ শব্দবিদ্যা
➺ তড়িৎবিদ্যা
➺ চিরায়ত পদার্থবিদ্যা
➺ অাধুনিক পদার্থবিদ্যা
➺ পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা
➺ নিউক্লিয় পদার্থবিদ্যা
➺ কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা
➺ ইলেকট্রনিক্স
● থেলিস বিখ্যাত — সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য।
● পরীক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রবক্তা — রজার বেকন।
● দোলকীয় গতি পর্যালোচনা, ঘড়ির যান্ত্রিক কৌশলের বিকাশ ঘটান এবং অালোর তরঙ্গ তত্ত্বের উদ্ভাবন করেন — হাইগেন।
● ধাতুর ভেজাল নির্ণয়ের সূত্র অাবিষ্কার করেন — প্রাচীন গ্রিক গণিতবিদ অার্কিমিডিস।
● সূর্যই সৌরজগতের কেন্দ্র এবং পৃথিবী ও গ্রহগুলো তার চারদিকে ঘুরে চলছে। এ মতবাদের প্রবক্তা — নিকোলাস কোপার্নিকাস।
● কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে অালোক তড়িৎ ক্রিয়ার ব্যাখ্যা করে তত্ত্ব প্রদান করেন — অালবার্ট অাইনস্টাইন।
● অালোর প্রতিসরণ সূত্র অাবিষ্কার করেন — জার্মানির স্নেল।
● অাগুন, মাটি, পানি ও বায়ু এই চারটি মৌলের ধারণা দেন — পিথাগোরাস।
● নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক অালফ্রেড নোবেল ধনী হয়েছিলেন – উন্নত ধরণের ডিনামাইট অাবিষ্কার করে।
● স্টিফেন হকিং বিশ্বের একজন খুব বিখ্যাত — পদার্থবিদ।
● বিদ্যুৎকে সাধারণ মানুষের কাজে লাগানোর জন্য কোন বৈজ্ঞানিকের অবদান সবচেয়ে বেশি – টমাস অালভা এডিসন।
● সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা হয় – প্রতিধ্বনির সাহায্যে।
● সূর্যই যে সৌরজগতের কেন্দ্র এবং পৃথিবী ও গ্রহগুলো তার চারিদিকে ঘুরে চলেছে – একথা প্রথম বলেছেন — কোপার্নিকাস
● বিজ্ঞানে দুইবার নোবেল নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন – মাদাম কুরি।
● প্রথম টেলিভিশন অাবিষ্কার করেন — জন লজি বেয়ার্ড; ১৯২৬ সালে।
● গণিতের ক্যালকুলাস শাখার প্রবর্তন করেন — স্যার অাইজাক নিউটন।
● বীজগণিতের জনক — মুহাম্মদ ইবনে অাল খোয়ারিজমি।
● জ্যামিতির জনক — ইউক্লিড।
● ত্রিকোণমিতির জনক — হিপ্পারকাস।
● গতিবিদ্যার জনক — গ্যালিলিও
● ইংল্যান্ডে বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিষ্ঠান রয়েল একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয় — ১৬৬০ সালে।
পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন অাবিষ্কার ও অাবিষ্কারক
অাবিষ্কার — অাবিস্কারক — সাল — দেশ
➺ প্লাবতা — অার্কিমিডিস — খ্রিষ্টপূর্ব ২১২ — সিসিলি।
➺ বিদ্যুৎ — উইলিয়াম গিলর্বাট — ১৫৭০ — যুক্তরাজ্য।
➺ টেলিস্কোপ — গ্যালিলিও — ১৬১০ –ইতালি।
➺ ক্যালকুলেটর –গটফ্রাইড উইলহেম লিমানিজ — ১৬৭১ — জার্মানি।
➺ বাষ্পচালিত ইঞ্জিন – জেমস ওয়াট — ১৯৬৯ — স্কটল্যান্ড।
➺ টেলিভশন – জন এল বেয়ার্ড — ১৯২৬ — যুক্তরাষ্ট্র।
➺ টেলিফোন — অালেকজান্ডার গ্রাহামবেল — ১৮৭৬ — যুক্তরাষ্ট্র।
➺ মাইক্রোফোন — আলেকজান্ডর গ্রাহামবেল — ১৮৭৬ — যুক্তরাষ্ট্র।
➺ রেডিও — জি মার্কনী — ১৮৯৪ — ইতালি।
➺ রেফ্রিজেটর – জেমস হ্যারিসন – ১৮৫১ — যুক্তরাষ্ট্র।
➺ ডিজেল ইঞ্জিল – রুডলফ ডিজেল – ১৮৯৫ –জার্মানি।
➺ রেলওয়ে ইঞ্জিন – স্টিফেনসন — ১৮২৫ — যুক্তরাজ্য।
➺ পেট্রোল ইঞ্জিন – নিকোলাস অটো — ১৮৭৬ — জার্মানি।
➺ ফনোগ্রাফ — এডিসন –১৮৭৮ –যুক্তরাষ্ট্র।
➺ বৈদ্যুতিক বাতি — এডিসন –১৮৭৮ — যুক্তরাষ্ট্র।
➺ কম্পিউটার – হাওয়ার্ড অাইকেন –১৯৩৯ — যুক্তরাষ্ট্র।
➺ থার্মোমিটার — গ্যালিলিও — ১৫৯৩ — ইতালি।
➺ ডায়নামো — মাইকেল ফ্যারাডে — ১৮৩১ — যুক্তরাজ্য।
➺ এক্সরে — রনজেন্ট — ১৮৯৫ — জার্মানি।
➺ লেজার — টি এইচ মাইম্যান — ১৮৬০ — যুক্তরাষ্ট্র।
➺ তেজস্ক্রিয়তা – হেনরি বেকরেল — ১৮৯৬ — ফ্রান্স।
➺ ফিশন — অটোহ্যান — ১৯৩৮ — জার্মানি।
➺ পারমাণবিক বোমা — ওপেনহেইমার — ১৯৪৫ — যুক্তরাষ্ট্র।
➺ রেডিয়াম, পলোনিয়াম – মাদাম কুরি — ১৮৯৮ — পোল্যান্ড।
➺ ডিনামাইট — অালফ্রেড নোবেল — ১৮৬২ — সুইডেন।
➺ রাডার — এ এইচ টেলর ও লিও সি ইয়ং — ১৯২২ — যুক্তরাষ্ট্র।
পরিমাণের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রেরর বব্যবহার:
➺ অলটিমিটার — উচ্চতা নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ অ্যামিটার — বিদ্যুৎ প্রবাহ মাপক যন্ত্র
➺ অ্যানিমোমিটার – বাতাসের গতিবেগ ও শক্তি পরিমাপক যন্ত্র
➺ অডিওমিটার – শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ ওডোমিটার – মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ ক্যালরিমিটার – তাপ পরিমাপক যন্ত্র
➺ কার্ডিওগাফ – হৃৎপিন্ডের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ ক্রোনোমিটার – সমুদ্রের দাঘিমা নির্ণায়ক যন্ত্র/সূক্ষ্ম সময় পরিমাপ করার যন্ত্র
➺ গ্যালভোমিটার — ক্ষুদ্র মাপের বিদ্যুৎ প্রবাহ নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ জেনারেটর – যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রুপান্তরের যন্ত্র
➺ ট্যাকোমিটার — উড়ো
জাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ ড্রেজার — পানির নিচে মাটি কাটার যন্ত্র
➺ পেরিস্কোপ — সাবমেরিন থেকে সমুদ্রের ওপরের জাহাজ দেখার যন্ত্র
➺ ফ্যাদোমিটার – সমুদ্রের গভীরতা নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ ব্যারোমিটার – বায়ুমন্ডলের চাপ নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ ম্যানোমিটার — গ্যাসের চাপ নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ ল্যাক্টোমিটার – দুধের বিশুদ্ধতা নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ সিসমোগ্রাফ — ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ সিসমোমিটার — ভূমিকম্প পরিমাপ যন্ত্র
➺ স্ফিগমোম্যানোমিটার — মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ স্টেথোস্কোপ — হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসের শব্দ নিরুপণ যন্ত্র
➺ সেক্সটেন্ট – সূর্য ও অন্যান্য গ্রহের কৌণিক উন্নতি পরিমাপক যন্ত্র
➺ হাইড্রোমিটার — তরলের অাপেক্ষিক গুরুত্ব নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ হাইড্রোফোন — পানির তলায় শব্দ নিরুপণের যন্ত্র
➺ রেইনগেজ – বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র
➺ গ্রাডিমিটার – পানির তলায় তেলের সঞ্চয় নির্ণায়ক যন্ত্র
➺ জাইরোকম্পাস — জাহাজের দিক নির্ণায়ক যন্ত্র।