Category: বাংলা সাহিত্য

দীনবন্ধু মিত্র

● দীনবন্ধু মিত্র জন্মগ্রহণ করেন – ১৮৩০ সালে।
● তার সাহিত্য জীবনের শুরু – কবিতা দিয়ে।
● তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন – ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায়।
● কবিতা যে সব পত্রিকায় প্রকাশিত হয় – সংবাদ সাধুরঞ্জন (১৮৪৭) সংবাদ প্রভাকর (১৯৩১)
● দিনবন্ধু মিত্র অধিক পরিচিত – নাট্যকার রূপে।
● ১৮৭১ সালে ভারত সরকার কর্তৃক লাভ করেন – রায়বাহাদুর উপাধি।
● নীলকরদের অত্যাচার ও নীলচাষীদের দুঃখ কষ্ট নিয়ে রচিত নাটক – নীলদর্পণ।
● নীলদর্পণ নাটকের অভিনয় দেখে মঞ্চে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসগর।
● ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ – নীলদর্পণ।
● নীলদর্পণ প্রকাশিত হয় – ১৮৬০ সালে বাংলা প্রেস থেকে।
● নীলদর্পণ নাটকটি – মেহেরপুর অঞ্চলের।
● নীলদর্পণ নাটকটি মধুসূদন অনুবাদ করেন – A Native ছদ্মনামে।
● নীলদর্পণ নাটকটি মধুসূদন দত্ত অনুবাদ করে নাম দেন – Nil Darpon or The Indigo Planting Mirror (1861)
● নীল দর্পণ নাটকটি রচিত – Uncle Toms Cabin এর অাদলে।
● ইংরেজি শিক্ষিত নব্য যুবকদের মদ্যপান ও বারবনিতা সঙ্গকে ব্যঙ্গ করে রচিত তাঁর প্রহসন – সধবার একাদশী।
● সমাজের প্রাচীনপন্থীদের ব্যঙ্গ করে তার রচিত প্রহসন – বিয়ে পাহলা বুড়ো।
● দীনবন্ধু মিত্র মৃত্যুবরণ করেন – ১৮৭৩ সালের ১ নভেম্বর।
দীনবন্ধু মিত্রের রচিত সাহিত্যকর্ম :
কাব্যগ্রন্থ : সুরধুনী কাব্য, দ্বাদশ কবিতা
প্রহসন : সধবার একাদশী, বিয়ে পাগলা বুড়ো।
নাটক : নীল দর্পণ, নবীন তপস্বিনী, লীলাবতী, জামাই বারিক, কমলে কামিনী।
গল্প : যমালয়ে জীবন্ত মানুষ ও পোড়া মহেশ্বর।
দীনবন্ধু মিত্রের সহিত্যকর্মের নাম মনে রাখার কৌশল :
কমলে কাহিনী নাটকে বিয়ে পাগলা বুড়ো একাদশীর দিন (সধবার একাদশী) জামাই বাড়িতে (জামাই বারিক) বেড়াকে গিয়ে নবীন তপস্বিনীর মেয়ে লীলাবতীকে বিয়ে করে। পরে তিনি মধুচন্দ্রিমা করার জন্য নীল নদের (নীলদর্পণ) উদ্দেশ্যে গৃহ ত্যাগ করলেন।

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ

✿ বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ :
➺ বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগে অন্ধকার যুগ – ১২০১-১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ।
➺ অন্ধকার যুগের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম – রমাই পন্ডিতের ‘শূন্যপুরাণ’, হলয়ূধ মিশ্রের ‘সেক শুভোদয়া’।
➺ শূন্যপুরাণ
◆ রমাই পণ্ডিত রচিত ধর্মপূজার শাস্ত্রগ্রন্থ – শূন্যপুরাণ।
◆ ‘শূণ্যপুরাণ’ হলো – গদ্য পদ্য মিশ্রিত চম্পুকাব্য।
◆ নরেন্দ্রনাথ বসুর তিনটি পুথির পাঠ সংগ্রহ করে ‘শূন্যপুরাণ’ নামকরণ করে গ্রন্থ প্রকাশ করেন – বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।
◆ শূন্যপূরাণ কাব্যটি পূজা পদ্ধতির বর্ণনা রয়েছে – শূন্যময় দেবতা ধর্মঠাকুরের।
◆ পণ্ডিত যোগেনন্দ্রনাথ রায় বিদ্যানিধির মতে, ‘শূণ্যপুরাণ’ এর রচনাকাল – ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
◆ সুবুমার সেন মনে করেন ‘শূণ্যপুরাণ’ গ্রন্থটি রচিত – ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে।
◆ শূন্যপুরাণ গ্রন্থটি বিভক্ত – ৫১ টি অধ্যায়ে।
◆ সুকুমার সেনের মতে, ‘শূন্যপুরাণ’ এ অন্তর্ভুক্ত ‘নিরঞ্জনের উষ্মা’ প্রকৃতপক্ষে – সহদেব চক্রবর্তীর রচনা।
➺ সেক শুভোদয়া
◆ অশুদ্ধ বাংলা ও সংস্কৃত ভাষার মিশ্রণে রচিত একটি গ্রন্থ – সেক শুভোদয়া
◆ গদ্য পদ্য মিলিয়ে গ্রন্থটিতে অধ্যায় অাছে – ২৫ টি।
◆ ১৩২০-২১ বঙ্গাব্দে মণীন্দ্রমোহন বসু গ্রন্থটির ১৩ টি অনুচ্ছেদ বঙ্গানুবাদ সহ প্রকাশ করেন – কায়স্থ পত্রিকায়।
◆ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে গ্রন্থটি প্রথম মুদ্রিত হয় – সুকুমার সেনের সম্পাদনায়।
✿ প্রাক-চৈতন্যযুগ ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন :
➺ প্রাক চৈতন্যযুগের ব্যপ্তি – ১২০১-১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ।
➺ বড়ু চন্ডীদাস রচিত মধ্যযুগের প্রথম কাব্য – শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
➺ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে এই কাব্যের রচনাকাল – ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দ।
➺ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান চরিত্র তিনটি – কৃষ্ণ, রাধা, বড়াই।
➺ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়াই – রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতি।
➺ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি উদ্ধার করেন – বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ। (১৯০৯ সালে)
➺ পশ্চিমবঙ্গের কাকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্রাহ্মণের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে – বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ এ কাব্যটি উদ্ধার করেন।
➺ এ কাব্যটি বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয় – বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।
➺ সর্বজন স্বীকৃত ও খাটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ – শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
➺ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কে বলা হয় – শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ।
➺ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামটি প্রদান করেন – বসন্তরঞ্জন রায়।
➺ বসন্তরঞ্জন রায়ের উপাধি ছিল – বিদ্বদ্বল্লভ।
✿ বৈষ্ণব পদাবলী :
➺ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ – বৈষ্ণব পদাবলী।
➺ এ অমর কবিতাবলী সৃষ্টি হয় – রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে।
➺ বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর অাদি রচয়িতা – চণ্ডীমঙ্গল।
➺ বৈষ্ণব পদাবলী বৈষ্ণব সমাজে পরিচিত – মহাজন পদাবলী নামে।
➺ বৈষ্ণব পদাবলীর মাহকবি বলা হয় – বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, বলরাম দাস।
➺ বৈষ্ণব পদাবলির অধিকাংশ পদ রচিত – ব্রজবুলি ভাষায়।
➺ ব্রজবুলি ভাষা হলো – একটি কৃত্রিম ভাষা।
✿ মঙ্গলকাব্য
➺ বংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্ম বিষয়ক অখ্যান কাব্যহ হলো – মঙ্গলকাব্য।
➺ প্রকৃতপক্ষে মঙ্গলকাব্যকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় – পৌরণিক ও লৌকিক।
➺ মঙ্গলকাব্যের উপজীব্য বিষয় – দেবদেবীর গুণগান।
➺ মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য – মঙ্গলকাব্য।
➺ অাদি মঙ্গলকাব্য হিসেবে পরিচিত – মনসামঙ্গল।
➺ একটি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যে সাধারণত – ৫ টি অংশ থাকে।
➺ মঙ্গল কাব্যের অপ্রধান ধারা – ধর্মমঙ্গল কাব্য, শিবমঙ্গল/
কালিকামঙ্গল।
➺ মনসামঙ্গল :
◆ বাংলা সাহিত্যে মঙ্গল কাব্যের প্রাচীনতম ধারা – মনসামঙ্গল।
◆ মঙ্গলকাব্যের অাদি দত্ত – কানাহরি দত্ত।
◆ মনসামঙ্গলেরর একমাত্র পশ্চিমবঙ্গীয় কবির নাম – কতকাদাস ক্ষেমানন্দ।
◆ বিপ্রদাস পিপিলাই রচিত কাব্যের নাম – মনসাবিজয়।
◆ মনসা মঙ্গল রচিত – মনসা দেবীর কাহিনি নিয়ে রচিত।
◆ সাপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনসার অপর নাম – কেতকা ও পদ্মাবতী।
◆ মনসামঙ্গল কাব্যের অপর নাম – পদ্মপুরাণ।
◆ মনসামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা – কানাহরি দত্ত, নারায়ণদেব, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ।
◆ মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র – চাঁদ সওদাগর, বেহুলা, লোখিন্দর, মনসা।
➺ চণ্ডীমঙ্গল :
◆ চণ্ডীমঙ্গলের অাদি কবি – মানিক দত্ত।
◆ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার কবি দ্বিজ মাধবকে বলা হয় – ‘স্বভাব কবি’।
◆ চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান/
শ্রেষ্ঠী কবি – মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
◆ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি – কবিকঙ্কন।
◆ চণ্ডীমঙ্গল কাব্য রচিত – চণ্ডীদেবীর কাহিনি অবলম্বনে।
◆ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীতে ‘কবিকঙ্কন’ উপাধি দেন – জমিদার রঘুনাথ রায়।
◆ চন্ডীমঙ্গল কাব্যের রচয়িতা – মানিক দত্ত, দ্বিজ মাধব, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, দ্বিজরাম দেব, মুক্তারাম সেন।
◆ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র – কালকেতু, ধনপতি, ভাড়ুদত্ত, মুরারী শীল।
◆ বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঠগ চরিত্র – ভাড়ুদত্ত।
➺ অন্নদামঙ্গল :
◆ দেবী অন্নদার বন্দনা অাছে – অন্নদামঙ্গল কাব্যে।
◆ অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
◆ বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি – ভারতচন্দ্র।
◆ ভারচন্দ্রের উপাধি – রায়গুণাকর।
◆ মঙ্গলযুগের শেষ কবি – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
◆ অন্নদামঙ্গল কাব্য বিভক্ত – তিন ভাগে।
◆ অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
◆ অন্নদামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র – ঈশ্বরী পাটনী, হীরামালিনী।
◆ ‘অামার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ – ঈশ্বরী পাটনী, অন্নদামঙ্গল।
◆ কড়িতে বাঘের দুধ মেলে।
◆ জন্মভূমি জননী স্বর্গের গরিয়সী।
◆ বড়র পিরীতি বালির বাঁধ।
◆ মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পতন।
◆ নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়।
➺ ধর্মমঙ্গল :
◆ ধর্মঠাকুরের মহত্ম্য প্রচারের জন্য সূত্রপাত হয়েছে – ধর্মমঙ্গল কাব্যের।
◆ ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার প্রথম কবি – ময়ূর ভট্ট।
◆ ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার প্রধান কবি – রূপরাম চক্রবর্তী ও ঘনরাম চক্রবর্তী।
◆ ধর্মমঙ্গল কাব্য দুটি পালায় বিভক্ত – রাজা হরিশচন্দ্রের গল্প ও লাউসেনের গল্প।
➺ কলিকামঙ্গল:
◆ দেবী কালীর মহত্ম্য বর্ণনামূলক গ্রন্থ – কলিকামঙ্গল।
◆ কলিকামঙ্গল ধারার অাদি কবি – কবি কঙ্ক।
◆ কলিকামঙ্গল নামক অভিহিত কাব্যধারাকে বলা হয় – বিদ্যাসুন্দর।
◆ বিদ্যাসুন্দর কাব্যের অন্যতম কবি – রামপদ সেন, সাবিরিদ সেন।
◆ কলিকামঙ্গলেরর বিশিষ্ট কবি – রামপ্রসাদ সেন।
◆ রামপ্রসাদের কাব্যগ্রন্থের নাম – কবিরঞ্জন।
✿ জীবনী সাহিত্য :
➺ বাংলা সহিত্যে একটি পঙক্তি না যার নামে একটি যুতের সুষ্টি হয়েছে – শ্রীচৈতন্যদেব।
➺ বাংলা সাহেত্যে চৈতন্যযুগ বলা হয় – ১৫০০-১৭০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে।
➺ বাংলা ভাষায় প্রথম জীবনী সাহিত্য – চৈতন্য জীবনী কাব্য।
➺ শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী গ্রন্থকে বলা হয় – কড়চা।
➺ শ্রীচৈতন্যদেবের প্রথম জীবনী কাব্য – বৃন্দাবন দাস রচিত ‘শ্রীচৈতন্যভগবত’।
➺ বাংলায় চৈতন্যদেবের দ্বিতীয় জীবনীগ্রন্থ – চৈতন্য মঙ্গল।
➺ বাংলাভাষায় অদ্বিতীয় ও সর্বাপেক্ষা ও তথ্যবহুল চৈতন্যজীবনী – কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্যচরিতামৃত’।
➺ চৈতন্যদেবের উল্লেখযোগ্য জীবনী গ্রন্থ :
◆ শ্রীচৈতন্যভগবত – বৃন্দাবন দাস
◆ চৈতন্য মঙ্গল – লোচন দাস
◆ চৈতন্যচরিতামৃত – কৃষ্ণদাস কবিরাজ
◆ শ্রী শ্রী কৃষ্ণ চরিতামৃতম – মুরারিগুপ্ত
✿ মর্সিয়া সাহিত্য :
➺ মর্সিয়া শব্দের অর্থ – শোক প্রকাশ করা।
➺ দুজন উল্লেখযোগ্য মর্সিয়া সাহিত্য রচনাকারীর নাম – দৌলত উজির বাহরাম খান ও শেখ ফয়জুল্লাহ।
➺ মর্সিয়া সাহিত্যের হিন্দু কবি – রাধারমণ গোপ।
➺ মর্সিয়া সাহিত্যের অাদি কবি শেখ ফয়জুল্লাহ রচিত গ্রন্থ – জয়নবের চৌতিশা।
➺ জঙ্গনামা কাব্য রচনা করেছিলেন – দৌলত উজির বাহরাম খান।
✿ নাথ সাহিত্য :
➺ মধ্যযুগে রচিত শিব উপাসক এক শ্রেণীর ধর্মপ্রচারকারী সাহিত্য – নাথ সাহিত্য।
➺ মুসলমান হয়েও নাথ সাহিত্য রচনা করেন – শেখ ফয়জুল্লাহ।
➺ নাথ সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য রচনা – গোরক্ষ বিজয়।
➺ গোরক্ষ বিজয়ের রচয়িতা – শেখ ফয়জুল্লাহ।
➺ গোপীচাঁদ সন্ন্যাসের রচয়িতা – শুকুর মাহমুদ।
➺ যে হিন্দু ধর্মের মিশ্রণে নাথ ধর্মের উৎপত্তি – বৌদ্ধধর্ম ও শৈবধর্ম।
✿ অনুবাদ সাহিত্য :
➺ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে কবিরা কাত দিয়েছিলেন – অনুবাদ সাহিত্যে।
➺ মধ্যযুগের অনুবাদ সাহিত্য মূলত – ভাবানুবাদ।
➺ এ যুগের কবিগণ নিজের ভাষায় অনুবাদ করতেন – পয়ার ছন্দে।
➺ পৃথিবীতে জাত মহাকাব্য – ৪ টি। যথা: রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়াড ও ওডেসি।
➺ মহাভারত :
◆ মহাভারত রচিত হয় – সংস্কৃত ভাষায়
◆ মহাভারত যে কয় খন্ডে রচিত – ১৮ খন্ডে।
◆ মহাভারতের শ্লোক সংখ্যা – ৮৫০০০
◆ মহাভারত প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন – কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
◆ মহাভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় অনুবাদক – কাশীরাম দাস।
◆ কবি কাশিরাম দাস ছিলেন – দেব বংশের।
➺ রামায়ণ :
◆ রামায়ণ লিখেছেন – বাল্মীকি।
◆ বাল্মীকির মূল নাম – রত্নাকর।
◆ বাল্মীকি অর্থ – উইপোকা ঢিবি।
◆ রামায়ণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ অনুবাদক – কৃত্তিবাস ওঝা।
◆ রামায়ণের একমাত্র মহিলা কবি – চন্দ্রাবতী।
◆ রামায়ণ প্রথম মুদ্রিত হয় – ১৮০২-১৮০৩ সালে।
◆ অাদি মহাকাব্য বলা হয় – রামায়ণকে।
◆ রামায়ণে খন্ড অাছে – ৭ টি।
◆ রামায়ণে শ্লোক অাছে – ২৪০০০।
➺ ভাগবত :
◆ ভগবত বাংলায় প্রথম অনুবাদ করেন – মালাধর বসু।
◆ মালাধর বসুর উপাধি – গুনরাজ খান।
◆ মালাধর বসু অনুদিত ভগবতের নাম – শ্রীকৃষ্ণবিজয়।
➺ কতিপয় উল্লেখযোগ্য অনুবাদ সাহিত্য অনুবাদক:
◆ রামায়ণ – কৃত্তিবাস ওঝা
◆ মহাভারত – কাশিরাম দাস
◆ ভগবত – মালাধর বসু
◆ হংসদূত – নরসিংহ দাস ও নরোত্তম দাস
◆ বিদ্যাসুন্দর – সাবিরিদ খান
◆ ইউসুফ জুলেখা – শাহ মুহাম্মদ সগীর, অাবদুল হাকীম, ফকির গরীবুল্লাহ।
◆ লায়লী-মজনু – দৌলত উবির বাহরাম খান।
◆ সায়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল – অালাওল, দোনাগাজী।
◆ পদ্মাবতী – অালাওল
◆ সপ্তপয়কর – অালাওল
◆ সিকান্দারনামা – অালাওল
◆ তোহফা – অালাওল
◆ গুলে বকাওলী – নওয়াজিস খান, মুহম্মদ মুকীম।
◆ নসিহৎনামা – শেখ পরাণ, অাব্দুল হাকিম, শেখ সুলাইমান।
◆ নূরনামা – অাব্দুল হাকিম, অাবদুল করিম, মুহম্মদ শফী।
◆ হাতেম তাই – সৈয়দ হামজা
◆ অামীর হামজা – সৈয়দ হামজা
◆ মধুমালতী – সৈয়দ হামজা
◆ মকতুল হোসেন – ফকির গরীবুল্লাহ।
◆ সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী – দৌলতকাজী ও অালাওল।

চর্যাপদ

চর্যাপদের প্রাককথা :
◆ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন – চর্যাপদ।
◆ ‘চর্যা’ শব্দের অর্থ – অাচারণ।
◆ চর্যাপদের মূল নাম – চর্যাচর্যবিনিশ্চয়।
◆ চর্যাপদ হচ্ছে – বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধন সঙ্গীত।
◆ চর্যাপদ অাবিষ্কার হয় – নেপালের রাজদরবার থেকে, ১৯০৭ সালে।
◆ চর্যাপদের পদগুলো রচিত – মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
◆ চর্যাপদের পুথিগুলো বই অাকারে প্রকাশ পায় – ১৯১৬ সালের বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।
রচনাকাল :
◆ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের রচনাকাল – ৬৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ।
◆ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, চর্যাপদের রচনাকাল – ৯৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ।
◆ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের রচনা সম্পর্কে মত দিয়েছেন – ভাষা ও অপরাপর লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে।
◆ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় চর্যাপদের রচনাকাল সম্পর্কে মত দিয়েছেন – ভাষা বৈশিষ্ট্যের অালোকে।
চর্যাপদের পদকর্তা ও পদসংখ্যা :
◆ চর্যাপদের পদকর্তা হিসেবে পাওয়া যায় – মোট ২৩ জন, মতান্তরে ২৪ জনের পরিচয়।
◆ চর্যাপদের পদকর্তাদের নামের পরিচয় পাওয়া যায় – গানের মাঝে ও শেষের ভনিতা থেকে।
◆ চর্যাপদকর্তাদের নামের শেষে যোগ করা হয়েছে – গৌরবসূচক ‘পা’।
◆ চর্যাপদকর্তারা প্রায় সকলেই – বৌদ্ধ চৌরাশি সিদ্ধার অন্তর্গত।
◆ চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদের রচয়িতা – কাহ্নপা।
◆ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে প্রাচীনতম চর্যাকার – শবরপা।
◆ সংখ্যাধিক্যে চর্যাগীতির দ্বিতীয় কবি – ভুসুকুপা।
◆ ভুসুকুপা ছিলেন – সৌরাষ্ট্রের রাজপুত্র।
◆ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের অাধুনিকতম পদকর্তা – সরহপা অথবা ভুসুকুপা।
◆ চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা – লুইপা।
◆ ড. শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের পদ রয়েছে – ৫০ টি।
◆ চর্যাপদের প্রাপ্ত পদ – ৪৬.৫ টি।
◆ ড. সুকুমার সেনের মতে, চর্যাপদে পদ রয়েছে – ৫১ টি।
◆ চার্যাপদের যেসব পদ পাওয়া যায় নি – ২৪, ২৫, ৪৮ নং পদ।
◆ চর্যাপদের যে পদ খন্ডিত অাকারে পাওয়া গেছে – ২৩ নং পদ।
◆ চর্যাপদে পদকর্তার নাম থাকলেও পদ পাওয়া যায় নি – লাড়ীডোম্বীপা।
◆ নিচে পদকর্তার নাম ও পদের সংখ্যা দেয়া হলো :
➺ কহ্নপা – ১৩ টি।
➺ ভুসুকুপা – ৮ টি।
➺ সরহপা – ৪ টি।
➺ কুক্কুরীপা – ৩ টি।
➺ লুইপা – ২ টি।
➺ শবরপা – ২ টি।
➺ শান্তিপা – ২ টি।
➺ অার্যদেব – ১ টি
➺ কঙ্কণ – ১ টি
➺ কম্বলাম্বর – ১ টি
➺ গুন্ডরীপা – ১ টি
➺ চাটিলপা – ১ টি
➺ জয়নন্দী – ১ টি
➺ ডোম্বীপা – ১ টি
➺ ঢেন্ঢণপা – ১ টি
➺ তন্ত্রী – ১ টি
➺ তাড়ক – ১ টি
➺ দারিক – ১ টি
➺ ধামপা – ১ টি
➺ বিরূপা – ১ টি
➺ বীণাপা – ১ টি
➺ ভদ্রপা – ১ টি
➺ মহীধরপা – ১ টি
➺ লাড়ীডোম্বীপা – ১ টি (পদটি পাওয়া যায় নি)
চর্যাপদের বিষয়বস্তু :
◆ চর্যাপদ বিধৃত হয়েছে – বৌদ্ধধর্মের তত্ত্বকথা।
◆ চর্যার প্রধান তত্ত্ব – মহাসুখরূপ নির্বাণ লাভ।
◆ চর্যাপদের যে বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে – সাধন তত্ত্ব।
◆ চর্যার অনেকগুলো পদ মুলত – গানের সংকলন।
◆ চর্যাপদের রচনার উদ্দেশ্য – ধর্মচর্চা।
চর্যাপদের ভাষা :
◆ দ্ব্যর্থক ও রূপকাত্মক ও অষ্পষ্টতার জন্য চর্যাপদের ভাষাকে – সন্ধ্যা ভাষা বা সান্ধ্য ভাষা বলে।
◆ চর্যাপদে মূলত ব্যবহৃত হয়েছে – প্রাচীন বাংলা ভাষা।
◆ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের ভাষা – বঙ্গকামরূপী।
◆ চর্যাপদের ভাষায় প্রভাব রয়েছে – হিন্দি, মৈথিলী, অসমিয়া ও উড়িয়া ভাষার।
◆ চর্যাপদের কবিতাগুলো লেখা – মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
◆ চর্যাপদের ভাষা দুর্বোধ্য হওয়ার কারণ – তন্ত্র ও যোগের প্রতাপের জন্য।
চর্যাপদের বাঙালি কবি :
◆ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের প্রাচীন কবি শবরপা ছিলেন – বাঙালি।
◆ বাঙালি চর্যাকার হিসেবে অনুমিত – লুইপা।
◆ তারানাথের মতে লুইপা বসবাস করেন – গঙ্গার ধারে।
◆ বেশিরভাগ পন্ডিতগণের মতে – ভুসুকুপাকে বাঙালি হিসেবে গণ্য করা হয়।
◆ বাঙালি চর্যাকারদের মতে – ভুসুকুপার রচিত পদ সর্বধিক (৮টি) পাওয়া যায়।
◆ প্রথম বাঙালি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ পদ রচনা করেন – লুইপা।
সহজিয়া সম্প্রদায় :
◆ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাধন পদ্ধতিকে বলা হয় – সহজযানপন্থী।
◆ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সকলে – বৌদ্ধধর্মের অনুসারী।
◆ সহজিয়া সম্প্রদায় পৃথক – সাধন পদ্ধতির ভিন্নতার জন্য।
◆ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে – বাউল সম্প্রদায়ের।
চর্যাপদ অাবিষ্কার ও অাবিষ্কারক:
◆ চর্যাপদ অাবিষ্কার হয় – নেপালের রাজ দরবার থেকে, ১৯০৭ সালে।
◆ চর্যাপদ অাবিষ্কার করেন – ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
◆ ড. হরপ্রসাদ শ্রাস্ত্রীর জন্ম – ৬ ডিসেম্বর ১৮৫৩ সালে।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম – নৈহাটি, পশ্চিমবঙ্গ।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর অমরকীর্তি – বাংলা ভাষার প্রথম গ্রন্থ ‘চর্যাপদ উদ্ধার।
◆ তিনি চর্যাপদ অাবিষ্কারে সফল হন – তৃতীয়বারের চেষ্টায়।
◆ তিনি অারও উদ্ধার করেন – ‘ডাবার্ণব’ ও ‘দোহাকোষ’ নামক বই।
◆ তিনি সবগুলো বই প্রকাশ করেন – ‘হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে।
◆ ‘হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ প্রকাশ পায় – বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপাধি – মহামহোপাধ্যায়।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মৃত্যু – ১৭ নভেম্বর ১৯৩১ সালে।
চর্যাপদের অন্যান্য তথ্য :
◆ চর্যাপদের প্রথম পদটি হচ্ছে – ‘কাঅা তরুবর পাঞ্চ বি ডাল/চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।
◆ চর্যাপদের অানুমানিক বয়স – প্রায় এক হাজার বছর।
◆ চর্যপদে প্রবাদ বাক্য পাওয়া যায় – ৬ টি।
◆ চর্যাপদের পদগুলো টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন – মুনিদত্ত।
◆ সর্বপ্রথম চর্যার ভাষাতাত্বিক পর্যালোচনা করেন – ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। Origin and Development of the Bengali Language গ্রন্থে।
◆ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে অালোচনা করেন – ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ১৯২৭ সালে।
◆ চর্যাপদকে ভাষার অাদি নিদর্শন হিসেবে দাবি জানিয়েছে – হিন্দী, অাসামিয়া ও উড়িয়া ভাষা-ভাষীরা।

বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ

● বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস শুরু হয় – চর্যাপদ কাল থেকে
● বাংলা সাহিত্য যুগকে ভাগ করা হয়েছে – ৩ ভাগে। যথা
ক. প্রাচীন যুগ
খ. মধ্যযুগ
গ. অাধুনিক যুগ
● প্রাচীন যুগের ব্যাপ্তি – ৬৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ
● বাংলা সাহিত্যের অাদি নিদর্শন – চর্যাপদ।
● প্রাচীনযুগে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য – গোষ্ঠী কেন্দ্রিকতা ও ধর্মনির্ভরতা
● প্রাচীনযুগে সমাজ জীবনে প্রভাব ছিল – ধর্মীয় চেতনার।
● প্রাচীন যুগের সাহিত্য উপকরণ হিসেবে পাওয়া যায় – রূপকথা।
● বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগ ধরা হয় – ১২০১-১৮০০ খ্রিষ্টাব্দকে।
● তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি না হওয়ায় মধ্যযুগের প্রথম ১৫০ বছরকে বলা হয় – অন্ধকার যুগ।
● বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ শুরু হয় – বখতিয়ার খলজির বাংলা বিজয়ের মধ্যে দিয়ে।
● মধ্যযুগের কাব্যধারার প্রধান ধারা – ৪ টি। যথা: ক. মঙ্গলকাব্য খ. বৈষ্ণব পদাবলী গ. রোমান্সধর্মী প্রণয়োপাখ্যান ঘ. অনুবাদ সাহিত্য।
● মধ্যযুগে কৃষিকাজের জন্য উপযোগী সাহিত্য – ডাক ও খনার বচন।
● মধ্যযুগের কাব্যধারা – ২ টি। যথা: ক. কাহিনী কাব্য খ. গীতি কাব্য
● মধ্যযুগের অাদি নিদর্শন – শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
● বাংলা কাব্য সাহিত্যের বিকাশকাল – মধ্যযুগ।
● মধ্যযুগের কাব্যের প্রধানগুণ – ধর্মনির্ভরতা।
● মধ্যযুগে মুসলমান সাহিত্যিকদের কৃতিত্ব – রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান রচনা।
● মধ্যযুগের সাহিত্যধারা বিভক্ত – ৩ ভাগে। যথা: ক. প্রাক-চৈতন্যযুগ খ. চৈতন্যযুগ গ. চৈতন্য পরবর্তীযুগ
● মধ্যযুগের প্রধান মুসলিম কবি – দৌলত কাজী ও অালাওল।
● মধ্যযুগের শেষ কবি – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
● অাধুনিক যুগের সময়কাল – ১৮০১-বর্তমান।
● অাধুনিক যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য – মানবের জয়জয়কার।
● অাধুনিক যুগের প্রধান লক্ষণ – অত্মচেতনা ও জাতীয়তা বোধ।
● বাংলা গদ্যের চর্চা শুরু হয় – অাধুনিক যুগের প্রথম পর্যায়ে।
● অাধুনিক যুগের মহাকাব্যের ধারা প্রবর্তন করেন – মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
● বাংলা সাহিত্যে গীতি কবিতার ধারা সৃষ্টি হয় – অাধুনিক যুগে।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

● মধুসূদন কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ২৫ জানুয়ারী ১৮২৪ সালে।
● মধুসূদন কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: যশোর জেলার সাগরদাড়ি গ্রামে
● মধুসূদন কত সাথে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন?
উত্তর: ১৮৪৩ সালে
● মধুসূদনের ছদ্মনাম কি?
উত্তর: টিমোথি পেনপোয়েম
● মধুসূদনের উপাধি কি ছিল?
উত্তর: মাইকেল।
● মধুসূদন কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ২৯ জুন ১৮৭৩ সালে কোলকাতায়।
● বাংলা সাহিত্য প্রথম মহাকাব্য রচয়িতার নাম কি?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
● বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্যের নাম কি?
উত্তর: মেঘনাদ বধ।
● বাংলা সহিত্যে সনেটের প্রবর্তক কে?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
● বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলেন নাম কি?
উত্তর: চতুর্দশপদী কবিতাবলী।
● অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক কে?
উত্তর: মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
● বাংলা সাহিত্য অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কি?
উত্তর: তিলোত্তমাসম্ভব।
● মাইকেল মধুসূদন রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কি?
উত্তর: দ্য ক্যাপটিভ লেডি।
● বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক নাট্যকারের নাম কি?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
● বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটকের নাম কি?
উত্তর: শর্মিষ্ঠা
● বাংলা সাহিত্যে প্রথম অাধুনিক নাটকের নাম কি?
উত্তর: শর্মিষ্ঠা
● বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটকের নাম কি?
উত্তর: কৃষ্ণকুমারী।
● মাইকেল মধুসূদন রচিত প্রথম নাটকের নাম কি?
উত্তর: শর্মিষ্ঠা।
● বাংলা সাহিত্যে প্রহসনের জনক কে?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
● বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্রহসনের নাম কি?
উত্তর: একেই কি বলে সভ্যতা?
● বাংলা সাহিত্যে পত্রকাব্যের জনক কে?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
● বাংলা সাহিত্যে প্রথম পত্রকাব্যের নাম কি?
উত্তর: বীরাঙ্গনা
● বাংলা সাহিত্যের অাধুনিকতার জনক কে?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
● দত্তকুলোদ্ভব কবি বলা হয় কাকে?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
● মাইকেল মধুসূদন দত্তের দেশ প্রেমের প্রবল প্রকাশ ঘটেছে –
উত্তর: সনেটে।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটক সমূহ :
➺ শর্মিষ্ঠা
➺ পদ্মাবতী
➺ কৃষ্ণকুমারী
➺ হেক্টরবধ
➺ মায়াকানন
মধুসূদন দত্তের কাব্যগ্রন্থসমূহ :
➺ মেঘনাদ বধ
➺ দ্য ক্যাপটিভ লেডি
➺ তিলোত্তমাসম্ভব
➺ ব্রজাঙ্গনা
➺ বীরাঙ্গনা
➺ চতুর্দশপদী কবিতাবলী
মধুসূদনের প্রহসন সমূহ :
➺ একেই কি বলে সভ্যতা
➺ বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন কবে?
উত্তর: ২৭ জুন, ১৮৩৮ সাল।
● বঙ্কিমচন্দ্র কোথাঢ জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাঠালপাড়া গ্রামে।
● বঙ্কিমচন্দ্রের ছদ্মনাম কি?
উত্তর: কমলাকান্ত।
● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন কবে?
উত্তর: ৮ এপ্রিল, ১৮৯৪ সন।
● বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাসিক কে?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
● কাকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
● বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম কাব্য গ্রন্থের নাম কি?
উত্তর: ললিতা, ১৮৫৬ সালে।
● বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম বাংলা উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর: দুর্গেশ নন্দিনী, ১৮৫৬ সালে।
● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত পত্রিকার নাম কি?
উত্তর: বঙ্গদর্শন, ১৮৭২ সালে।
● বঙ্কিমচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক উপন্যাস কোনটি?
উত্তর: কপালকুন্ডলা, ১৮৬৬ সালে।
● বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম সামাজিক উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর: বিষবৃক্ষ, ১৮৭৩ সালে।
● বাংলা উপন্যাসের রাজ্যে ‘বাংলার ওয়াল্টার স্কট’ কাকে বলে?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যয়কে।
● ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ কোন শ্রেনীর রচনা?
উত্তর: সরস ব্যাঙ্গাত্মক প্রবন্ধ গ্রন্থ, ১৮৭৫ সালে।
● ইংরেজী ভাষায় লিখিত বঙ্কিমচন্দ্রের ‘Rajmohan’s Wife’ কোন জাতীয় রচনা? উত্তর: উপন্যাস, ১৮৬২ সালে।
● কত সালে বঙ্কিমচন্দ্র সি,আই, ই উপাধিতে সম্মানিত হন?
উত্তর: ১৮৯১ সালে।
● সর্বশ্রেষ্ঠ সামাজিক উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর: কৃষ্ণকান্তের উইল
● বাংলাদেশের সাহিত্যের প্রথম উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর: দুর্গেশনন্দিনী।
● ত্রয়োদশ শতাব্দীর বাংলাদেশ ও তুর্কি আক্রমণের ঐতিহাসিক পটভূমিতে রচিত উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর: মৃণালিনী
● বাংলা ভাষায় প্রথম মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ মূলক উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর: রজনী
● বাংলা সাহিত্যে প্রথম রোমান্টিক উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর : কপালকুন্ডলা
বঙ্কিমচন্দ্রের কাব্যগ্রন্থ : ললিতা, তথা মানস।
বঙ্কিমচন্দ্রের ত্রয়ী উপন্যাস : অানন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম।
বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধ গ্রন্থ : লোক রহস্য, কৃষ্ণ চরিত্র, বিবিধ প্রবন্ধ, ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন, বিজ্ঞান রহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, বিবিধ সমালোচনা, সাম্য।
বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসসমূহ : রজনী (সামাজিক), সীতারাম, কপালকুন্ডলা (রোমান্টিক), বিষবৃক্ষ (সামাজিক), কৃষ্ণকান্তের উইল (সামাজিক), দেবী চৌধুরাণী, রাধারাণী, আনন্দমঠ (ঐতিহাসিক), যুগলাঙ্গরীয়, রাজসিংহ (ঐতিহাসিক), চন্দ্রশেখর, দুর্গেশনন্দিনী, মৃণালীনী (ঐতিহাসিক), ইন্দিরা।
উপন্যাস সমূহ মনে রাখার সহজ উপায়:-
এক রজনীতে সীতারাম কপালকুন্ড লাকে বিষবৃক্ষের নিচে কৃষ্ণকান্তের উইলটি দেয়।
অন্য দিকে দেবী চৌধুরাণী ও রাধারাণীকে আনন্দমঠ এ নিয়ে যুগলাঙ্গরীয় পরিয়ে দেয় রাজসিংহ ও চন্দ্রশেখর। দুর্গেশনন্দিনী ও মৃণালীনী ছেকা খেয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে বিচার দেয়।
বঙ্কিমচন্দ্রের কতিপয় উপন্যাসের প্রধান চরিত্র :
➺ দুর্গেশনন্দিনী — অায়েশা, তিলোত্তমা।
➺ চন্দ্রশেখর — শৈবালিনী, দলনী বেগম, প্রতাপ, চন্দ্রশেখর।
➺ রজনী — রজনী, শচীন্দ্র।
➺ বিষবৃক্ষ — কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ, হীরা, সূর্যমুখী।
➺ কৃষ্ণকান্তের উইল — ভ্রমর, রোহিনী, হরলাল, গোবিন্দলাল।
➺ কপালকুন্ডলা — কপালকুন্ডলা, নবকুমার, কাপালিক।
বঙ্কিমচন্দ্রের কতিপয় পঙক্তি ও উদ্ধৃতি :
➺ তুমি অধম, তাই বলে অামি উত্তম না হব কেন?
➺ পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?

প্যারীচাঁদ মিত্র

● প্যারীচাঁদ মিত্র কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ২২ জুলাই ১৮১৪
● প্যারীচাঁদ মিত্র কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কলকাতায়
● প্যারীচাঁদ মিত্র কখন মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ২৩ নভেম্বর ১৮৮৩
● প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম কি?
উত্তর: টেকচাঁদ ঠাকুর।
● প্যারীচাঁদ মিত্রের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর: অালালের ঘরে দুলাল।
● বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর: অালালের ঘরে দুলাল
● ঠকচাচা চরিত্রটি কোন উপন্যাসের?
উত্তর: অালালের ঘরে দুলাল
● অালালের ঘরে দুলাল উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কি?
উত্তর: The spoiled child
● প্যারীচাঁদ মিত্রের রচিত উপন্যাসগুলোর নাম: অালালের ঘরে দুলাল, অভেদী, অাধ্যাত্মিকা, The Zeminder and Ryots
● The Zeminder and Ryots এর উপজীব্য বিষয় কি?
উত্তর: চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

● বিদ্যাসাগর কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: সেপ্টেম্বর ২০, ১৮২০
● বিদ্যাসাগর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: বীরসিংহ, হুগলি।
● বিদ্যাসাগর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: জুলাই ২৯, ১৮৯১
● ঈশ্বরচন্দ্রের পারিবারিক নাম কি ছিল?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
● বিদ্যাসাগর কি নামে স্বাক্ষর করতেন?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা।
● ঈশ্বরচন্দ্র কত সালে বিদ্যাসাগর উপাধি পান?
উত্তর: এপ্রিল ২২, ১৮৩৯
● ঈশ্বরচন্দ্রকে কিসের জনক বলা হয়?
উত্তর: বাংলা গদ্যের
● বাংলা সাহিত্যে বিরাম চিহ্নের প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
● বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কি?
উত্তর: বেতালপঞ্চবিংশতি
● ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণের নাম কি?
উত্তর: ব্যাকরণ কৌমুদী
ঈশ্বরচন্দ্রের শিক্ষামুলক বই: বর্ণপরিচয়, ঋজুপাঠ, ব্যাকরণ কৌমুদী, শব্দমঞ্জরী।
ঈশ্বরচন্দ্রের ইংরেজী হতে বাংলায় অনুবাদকৃত বইসমূহ: বাঙালার ইতিহাস, জীবনচরিত, নীকিবোধ, বোধোদয়, কথামালা।
ঈশ্বরচন্দ্রের হিন্দি হতে বাংলায় অনুবাদকৃত বই : বেতালপঞ্চবিংশতি।
ঈশ্বরচন্দ্রের সংস্কৃত হতে বাংলায় অনুবাদকৃত বইসমূহ : শকুন্তলা, সীতারবনবাস।
ঈশ্বরচন্দ্রের মৌলিক গ্রন্থসমূহ:
বজ্রবিলাস, রত্নপরীক্ষা, প্রভাবতী সম্ভাষণ।

বাংলা সাহিত্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ

প্রতিষ্ঠান — প্রতিষ্ঠাকাল
◆ কলকাতা মাদ্রাসা — ১৭৮১ সাল
◆ সংস্কৃত কলেজ — ১৭৯১ সাল
◆ বামপিস্ট মিশন ও ছাপাখানা — ১৭৯৯ সাল
◆ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ — ১৮০০ সাল
◆ কলিকাতা স্কুল বুক সোসাইটি — ১৮১৭ সাল
◆ হিন্দু কলেজ — ১৮১৭ সাল
◆ শ্রীরামপুর কলেজ — ১৮১৮ সাল
◆ বিসপস কলেজ — ১৮২০ সাল
◆ গৌড়ীয় সমাজ — ১৮২৩ সাল
◆ উপাসনা সভা — ১৮২৮ সাল
◆ ব্রহ্ম মন্দির — ১৮২৮ সাল
◆ ধর্মসভা — ১৮৩০ সাল
◆ অ্যাংলো ইন্ডিয়ান হিন্দু এসোসিয়েশন — ১৮৩০ সাল।
◆ তত্ত্ববোধিনী সভা — ১৮৩৯ সাল
◆ কাউন্সিল অব এডুকেশন — ১৮৪২ সাল।
◆ ফ্রি চার্চ কলেজ — ১৮৪৩ সাল।
◆ হিন্দু হিতার্থী বিদ্যালয় — ১৮৪৫ সাল
◆ ইউনিটেরিয়ান কমিটি — ১৮৪৫ সাল
◆ বেথুন সোসাইটি — ১৮৫১ সাল।
◆ বিদ্যোৎসাহিনী সভা — ১৮৫৩ সাল
◆ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় — ১৮৫৭ সাল
◆ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় — ১৯২১ সাল
◆ বাংলা একাডেমী — ১৯৫৫ সাল।
◆ অান্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট — ২০০১ সাল।

কতিপয় বাংলা সাহিত্যকর্মের প্রধান চরিত্র

কাব্য ও কাব্যের প্রধান চরিত্র
➺ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন – বাধা, কৃষ্ণ, বড়াই।
➺ চন্ডীমঙ্গল – ফুল্লরা, ভাড়ুদত্ত, মুরারীশীল
➺ সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী – মহিষী ময়নামতি, রাজা লোর
➺ অন্নদামঙ্গল – ঈশ্বরী পাটনী, হীরা মালিনী, বিদ্যা ও সুন্দর
➺ পদ্মাবতী – পদ্মাবতী
➺ চিত্রাঙ্গদা – চিত্রাঙ্গদা, অর্জুন
➺ বিদায় অভিশাপ – দেবযানী, কচ
➺ সতী – অমাবাঈ
➺ বিসর্জন – অপর্ণা, জয়সিংহ, রঘুপতি, গোবিন্দ মাণিক্য
➺ মালিনী – ক্ষোমংকর, মালিনী
➺ পদ্মপুরণ – চাঁদ সওদাগর, মনসা, লখিন্দর
➺ মেঘনাদবধ – মেঘনাদ, বীরবাহু, চিত্রাঙ্গদা, রাবণ, সীতা, লক্ষণ, রাম, বিভীষণ
গল্প ও গল্পের প্রধান চরিত্র
➺ ছুটি – ফটিক, মাখন
➺ কাবুলীওয়ালা – রহমত, খুকী
➺ খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন – রাইচরণ
➺ পোস্টমাস্টার – রতন
➺ সমাপ্তি – মৃন্ময়ী
➺ নষ্টনীড় – চারু
➺ শাস্তি – দুখিরাম, ছিদাম, রাধা, চন্দরা
➺ পয়লা নম্বর – অনিলা
➺ ল্যাবরেটরী – মোহিনী, নন্দ কিশোর
➺ হৈমন্তী – হৈমন্তী, অপু
➺ মধ্যবর্তী – হরসুন্দরী, শৈলবালা
➺ হালদার গোষ্ঠী – বানোয়ারী লাল
➺ একরাত্রি – সুরবালা
➺ না-মঞ্জুর – গিরিবালা
➺ অতিথি – তারাপদ
➺ জীবিত ও মৃত – কদম্বিনী
➺ মেঘ ও রৌদ্র – শশীভূষণ
➺ বোষ্টামী – জানন্দী
➺ অপরিচিতা – কল্যাণী
➺ দিদি – শশীমুখী
➺ অাপদ – নীলকণ্ঠ
➺ ফুলের মূল্য – ম্যাগী
➺ ধ্বংস পথের যাত্রী – ভুলি
➺ অরক্ষণীয়া – জ্ঞানদা, দুর্গামণি
➺ রামের সুমতি – রাম, নারায়ণী
➺ মেজদিদি – হরিলক্ষী
➺ অভাগীর স্বর্গ – কাঙ্গালীর মা
➺ মহেশ – গফুর, অামিনা
➺ বিলাশী – বিলাশী, মৃত্যুঞ্জয়
➺ পণ্ডিত মশাই – বৃন্দাবন, কুসুম
➺ বড়দিদি – মাধবী, সুরেশ
➺ তারিণী মাঝি – সখী
➺ প্রাগৈতিহাসিক – ভিখু, পেহলাদ, পাঁচী
➺ পাশ-ফেল – নীরেন, বিমল, বকুল
➺ শিউলিমালা – শিউলিমালা
➺ অামরা তিনজনে – মোনালিসা
➺ জতুগৃহ – শতদল, মাধুরী
➺ পথ জানা নেই – গহুরালি
➺ নয়নচারা – অামু
➺ অাত্মজা ও একটি করবী গাছ – ফেকু
নাটক ও নাটকের প্রধান চরিত্র
➺ শকুন্তলা – শকুন্তলা
➺ নীলদর্পণ – তোরাপ, নবীন, মাধবী, অাদুরী
➺ কৃষ্ণকুমারী – কৃষ্ণকুমারী, ভীম সিং, বিলাসবতী, মর্দানকী, তপস্বিনী।
➺ অচলায়তন – পঞ্চক
➺ ডাকঘর – অমল, সুধা, মাধব, দত্ত, ঠাকুর দা
➺ রক্তকরবী – নন্দিনী, রঞ্জন
➺গৃহ প্রবেশ – যতীন, মণি।
➺ রক্তাক্ত প্রান্তর – জোহরা, জরিনা, হিরণবালা, ইব্রাহীম কার্দি।
উপন্যাস ও উপন্যাসের প্রধান চরিত্র
➺ অালালের ঘরে দুলাল – ঠকচাচা, বাঞ্ছারাম, বাবুরাম বাবু
➺ চোখের বালি – মহেন্দ্র, বিনোদিনী।
➺ গোরা – গৌরমোহন, সুচরিতা, ললিতা, বিনয়, লবণ্য।
➺ শেষের কবিতা – অমিত, লাবণ্য, শোভণলাল
➺ চতুরঙ্গ – দামিনী, শচীশ, শ্রী বিলাস
➺ ঘরে বাইরে – নিখিলেশ, বিমলা, মেজরানী।
➺ যোগযোগ – মধসূদন, কুমুদিনী।
➺ দুই বোন – শর্মিলা, শাশাঙ্ক, উর্মিমালা, নীরদ।
➺ মালিনী – নীরজা, অাদিত্য, সরলা
➺ দুর্গেশনন্দিনী – অায়েশা, তিলোত্তমা
➺ চন্দ্রশেখর – শৈবালিনী, দলনী বেগম, প্রতাপ, চন্দ্রশেখর।
➺ রজনী – রজনী, শচীন্দ্র।
➺ বিষবৃক্ষ – কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ, হীরা, সূর্যমুখী।
➺ কৃষ্ণকান্তের উইল – ভ্রমর, রোহিনী, হরলাল, গোবিন্দলাল।
➺ পরিণীতা – ললিতা, শেখর।
➺ পল্লী সমাজ – রমা, রমেশ।
➺ দেনা-পাওনা – ষোড়শী, নির্মল।
➺ দত্তা – বিলাশ, বিজয়, নরেন।
➺ শ্রীকান্ত – শ্রীকান্ত, ইন্দ্রনাথ, অন্নদা, রাজলক্ষ্মী, অভয়া।
➺ চরিত্রহীন – সতীশ, সাবিত্রী, কিরণময়ী, দিবাকর।
➺ গৃহদাহ – মহিম, সুরেশ, অচলা, মৃণাল।
➺ শেষের পরিচয় – সবিতা, রমণী, বাবু।
➺ কবি – ঠাকুর ঝি, নিতাই।
➺ রাইকমল – রসিকদাস, কমল, রঞ্জন।
➺ ধাত্রীদেববতা – শিবনাথ, গৌরী।
➺ রজনী – রজনী, সুনীল, অহিন্দ
➺ জাম – শঙ্কর।
➺ ক্যানভাসার – হীরালাল, কাত্যায়নী।
➺ জোহরা – জোহরা
➺ অনোয়ারা – অানোয়ারা
➺ অাব্দুল্লাহ – অাবদুল্লাহ, অাবদুল কাদের।
➺ পদ্মা নদীর মাঝি – মালা, কুবের, হোসেন মিয়া, কপিলা।
➺ লৌহকপাট – বিবি।
➺ ত্রিপদী – চারু, সলথ, দেবল।