Category: রসায়ন

পদার্থের অবস্থা ও তাদের পরিবর্তন

পদার্থ: যার ভর আছে, যা স্থান দখল করে অবস্থান করে তাকে পদার্থ বলে।
পদার্থের অবস্থাভেদ : পদার্থ তিনটি অবস্থায় থাকতে পারে। যথা: কঠিন, তরল ও বায়বীয়। তাপ পদার্থের তিন অবস্থায় রূপান্তরের কারণ। পানি একমাত্র পদার্থ যা প্রকৃতিতে কঠিন (বরফ), তরল (পানি) এবং বায়বীয় (জলীয় বাষ্প) তিনটি অবস্থাতেই পাওয়া যায়।
কঠিন পদার্থ : কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন এবং দৃঢ়তা আছে। আর অণূসমূহ পরস্পরের অতি সন্নিনিকটে অবস্থান করে। যেমন: বালু, পাথর, লবণ।
তরল পদার্থ :  তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই। তরল পদার্থের অণুসমূহ পরস্পরের সন্নিনিকটে থাকে, তবে তাদের মধ্যকার আকর্ষণ কঠিন পদার্থের মত প্রবল নয়। উদাহরণ: পানি, কেরোসিন।
বায়বীয় পদার্থ : বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই। বায়বীয় পদার্থের অনুসমূহের দূরত্ব অনেক বেশি, তাই আকর্ষণ শক্তি অনেক কম। ফলে তারা মুক্তভাবে চলাচল করে। উদাহরণ: নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন।
গলনাংক : যে অবস্থায় কোন পদার্থ কঠিন পদার্থ হতে তরল অবস্থায় পরিণত হয়, তাকে সে পদার্থের গলনাংক বলে। পানির গলনাংক ০ সেন্টিগ্রেড।
স্ফুটনাংক : যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ ফুটতে থাকে, তাকে সে পদার্থের স্ফুটনাংক বলে। পানির স্ফুটনাংক ১০০ সেন্টিগ্রেড।
উর্ধ্বপাতন : কোন কোন ক্ষেত্রে কঠিন পদার্থকে উত্তপ্ত করলে তা তরলে রূপান্তরিত হয়, এই প্রক্রিয়াকে উর্ধ্বপাতন বলে। যেমন: কর্পুর, গন্ধক, আয়োডিন, ন্যাপথালিন, নিশাদল, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, আর্সেনিক, বেনজয়িক এসিড ইত্যাদি।
পদার্থের শ্রেণীবিভাগ : পদার্থকে ২ টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা- (১) মিশ্রণ ও (২) খাটি বস্তু।
মিশ্রণ : দুই বা ততোধিক পদার্থকে যে কোন অনুপাতে একত্রে মিশালে যদি তারা নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে পাশাপাশি অবস্থান করে, তবে উক্ত সমাবেশকে মিশ্রণ বলে। বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ।
খাটিঁ বস্তু : খাটি বস্তু ২ভাগে বিভক্ত যথা- (ক) মৌল ও (২) যৌগ।
(ক) মৌল বা মৌলিক পদার্থ : যে পদার্থকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে অন্য কোন সহজ বস্তুতে রূপান্তরিত করা যায় না, তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন: হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, সোনা, তামা। পৃথিবীতে বর্তমানে মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ১১৮ টি। এদের মধ্যে ৯৮ টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। কৃত্রিম উপায়ে প্রাপ্ত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ২০ টি।
(খ) যৌগ বা যৌগিক পদার্থ : যে বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে যৌগ বা যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন : পানি।
পদার্থের পরিবর্তন : পদার্থের পরিবর্তন দুই ধরণের। যথা- (১) ভৌত বা অবস্থাগত পরিবর্তন (২) রাসায়নিক পরিবর্তন।
(১) ভৌত বা অবস্থাগত পরিবর্তন : যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের শুধু বাহ্যিক আকার বা অবস্থার পরিবর্তন হয় কিন্তু নতুন কোন পদার্থে পরিনত হয় না, তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। যেমন: পানিকে ঠান্ডা করে বরফে এবং তাপ দিয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত করা, একটি লোহার টুকরাকে ঘর্ষণ করে চুম্বকে পরিণত করা ও তাপ দিয়ে মোম গলানো।
(২) রাসায়নিক পরিবর্তন : যে পরিবর্তনের ফলে এক বা একাধিক বস্তু প্রত্যেকে তার নিজস্ব সত্তা হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক নতুন বস্তুতে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। যেমন: লোহায় মরিচা ধরা, দুধকে ছানায় পরিণত করা, চাল সিদ্ধ করে ভাতে পরিণত করা ও দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বলানো।

  • যার ভর অাছে, জায়গা দখল করে এবং জড়তা অাছে তাই – পদার্থ।
  • পদার্থের অবস্থা – ৩ টি। যথা : কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
  • পদার্থ দুই ভাগে বিভক্ত। যথা : মিশ্রণ ও খাটি বস্তু।
  • মিশ্রণ দুই প্রকার। যথা : সমসত্ব ও অসমসত্ব।
  • খাটি বস্তু দুই প্রকার। যথা: মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ।
  • মৌলিক পদার্থ চার প্রকার। যথা : ধাতু, উপধাতু, অধাতু ও নিষ্ক্রিয় মৌল।
  • যৌগিক পদার্থ দুই প্রকার। যথা : জৈব যৌগ ও অজৈব যৌগ।
  • যে সকল বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য কোন সহজ বস্তুতে রুপান্তরিত করা যায় না, তাকে বলে – মৌলিক পদার্থ।
  • এ পর্যন্ত অাবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা – ১১৮ টি।
  • যে সকল বস্তুককে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে বলে – যৌগিক পদার্থ।
  • যে সব মৌল কখনো ধাতু কখনো অধাতুর ন্যায় ন্যায় অাচারণ করে তাকে বলে – উপধাতু। যেমন : অার্সেনিক, বোরন, সিলিকন।
  • তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে বলে – ধাতু।
  • যেসব মৌল প্রধানত তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী তাদের বলে – অধাতু।
  • দুই বা ততোধিক পদার্থকে যে কোনো অনুপাতে মিশালে যদি তারা নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে পাশাপাশি অবস্থান করে, তবে উক্ত সমাবেশকে বলে – মিশ্রণ।
  • বায়ু একটি – মিশ্র পদার্থ।
  • সবচেয়ে হালকা গ্যাস – হাইড্রোজেন।
  • সবচেয়ে ভারী পদার্থ – তরল মারকারি বা পারদ।
  • পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি – ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
  • যেসব কঠিন পদার্থ উত্তপ্ত করলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় তাকে বলে – উর্ধ্বপাতিত/উদ্বায়ী পদার্থ। যেমন : অায়োডিন, কর্পূর, নিশাদল।
  • পদার্থের পরিবর্তন – দুই প্রকার। যথা: ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন।
  • ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ :

➺ লোহাকে চুম্বকে পরিণত করা।
➺ চিনিকে পানিকে দ্রবীভূত করা।
➺ কঠিন মোমকে তাপে গলানো।
➺ বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো।
➺ পানিকে ঠান্ডা বরফে পরিণত করা।
➺ পানিকে তাপ দিয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত করা।

  • রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ :

➺ লোহায় মরিচা পড়া
➺ দুধকে ছানায় পরিণত করা
➺ মোমবাতির দহন
➺ দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো
➺ গাছের পাতায় খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া

  • নির্দিষ্ট চাপে কোন কঠিন পদার্থ যে তাপমাত্রায় গলতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের – গলনাংক।
  • নির্দিষ্ট চাপে কোন তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় জমতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের হিমাংক।
  • নির্দিষ্ট চাপে কোনো তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় বাষ্পীভূত হতে থাকে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের -স্ফুটনাংক।
  • চাপ বৃদ্ধি পেলে স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়, চাপ কমলে – স্ফুটনাংক কমে।
  • যে তাপে বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধু অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় সে তাপকে বলে – সুপ্ততাপ।
  • গলনাংক, স্ফুটনাংক এবং ঘনত্ব হলো – পদার্থের ভৌত ধর্ম।

 

ফোটন কণা

ক. ফোটন কণা
০ অা‌লোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রদান ক‌রেন ~ ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ১৯০০ সা‌লে।
০ কোয়ন্টাম তত্ত্ব অনুসা‌রে ~ অা‌লোকর‌শ্মি কো‌নো উৎস থে‌কে অবি‌চ্ছিন্ন তর‌ঙ্গের অাকা‌রে না বে‌রি‌য়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ‌ক্তিগুচ্ছ বা প্যা‌কেট অাকা‌রে বের হয়। শ‌ক্তির সর্ব নিম্নমা‌নের ক‌ণিকা‌কে ব‌লে কোয়ান্টাম বা ফোটন।
০ ফোটন সম্প‌র্কে ধারণা দেন ~ ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ১৯০০ সা‌লে।
০ অা‌লোর কণা বা কোয়ান্টাম এর নাম ফোটন ‌দেন ~ লুইস ১৯১৬ সা‌লে।
০ কোয়ান্টাম তত্ত্বকে কা‌জে লা‌গি‌য়ে অা‌লোক ত‌ড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা ক‌রেন ~ অাইনস্টাইন ১৯০৫ সা‌লে।
০ অা‌লোক ত‌ড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যার জন্য অাইনস্টাইন নো‌বেল পুরস্কার পান ~ ১৯২১ সা‌লে।
০ এক‌টি ফোটন শক্তি E=hv (h=প্ল্যা‌ঙ্কের ধ্রুবক, v= ফোট‌নের কম্পাঙ্ক)
০ পদার্থ যেমন অসংখ্য বি‌চ্ছিন্ন পরমাণু দ্বারা গ‌ঠিত তেম‌নি ~ যে কো‌নো বি‌কিরণ অসংখ্যা বি‌চ্ছিন্ন ফোটন দ্বারা গ‌ঠিত।
০ শূন্যস্থা‌নে ফোটন চ‌লে ~ অা‌লোর দ্রু‌তি‌তে।
০ ফোট‌নের দ্রু‌তি ~ সকল প্রসঙ্গ কাঠা‌মোর বেলায় একই।
০ ফোট‌নের নিশ্চল ভর/‌স্থি‌তিভর ~ শূন্য।
০ প্র‌তি‌টি ফোট‌নের অা‌ছে ~ নি‌র্দিষ্ট শ‌ক্তি ও রৈ‌খিক ভর‌বেগ।
০ ফোটন ~ ত‌ড়িৎ নির‌পেক্ষ অর্থাৎ এর কো‌নো চার্জ নেই।
০ ফোট‌নের চার্জ না থাকায় ~ এর উপর ত‌ড়িৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র প্রভাব বিস্তার কর‌তে পা‌রে না।
০ ফোট‌নের অাচারণ ~ কখনও কণার ম‌তো অাবার, কখনও তর‌ঙ্গের ম‌তো।
০ কোয়ান্টাম ত‌ত্ত্বের অপর নাম ~ ফোটন তত্ত্ব।

ধাতুর ক্ষয়

● কোন ধাতুর পরিবেশ থেকে পানি ও অক্সিজেন সহযোগে বিক্রিয়া করে ক্ষয়প্রাপ্ত হলে তাকে বলে – করোসান বা ধাতুর ক্ষয়।
● মরিচার সংকেত – Fe₂O₃.2H₂O
● ধাতুরর ক্ষয় একটি – তড়িৎ রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
● লোহার উপর জিংক ধাতুর প্রলেপ দেয়াকে বলে – গ্যালভানাইজিং।
● ধাতুকে ক্ষয়রোধ করার জন্য তার উপর তড়িৎ প্রলেপন করার পূর্বে ধাতুকে পরিস্কার করা হয় – নাইট্রিক এসিড দিয়ে।
● বনভূমি ধ্বংস হওয়ার একটি কারণ হলো – এসিড বৃষ্টি।
● দালান কোঠার ক্ষয় হয় – এসিড বৃষ্টির সাথে ক্ষারীয় যৌগের ক্রিয়ায়।
● ধাতু নির্মিত সেতু, জাহাজ ও যানবাহন ক্ষয় হয় – এসিড বৃষ্টির ফলে।
● ওজোন স্তরের ক্ষয়ের জন্য দায়ী – জেট বিমান থেকে নির্গত নাইট্রোজেন অক্সাইড।
● নাইট্রোজেন অক্সাইড ওজোনকে নিয়োজিত করে পরিণত করে – অক্সিজেন গ্যাসে।
● দীর্ঘদিন থাকলেও ক্ষয় বা নষ্ট হয় না – পলিথিন।
● ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী মূলত – ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস।
● CFC অাবিষ্কার করেন – T Midgby
● পরিবেশবাদী ফ্রিজ হলো – CFC বিহীন ফ্রিজ।
● CFC এর দূষণরোধ করার জন্য বর্তমানে CFC এর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় – গ্যাজেলিয়াম।
● যে গ্যাস মানবদেহের জন্য উপকারী ও অপকারী – ওজোন।
● এসিড বৃষ্টি হয় বাতাসে – সালফার ডাই অক্সাইডের অাধিক্যের কারণে।
● খরপানির ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এর পানি বিশ্লেষণের ফলে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হয় – যা লোহার সাথে বিক্রিয়া করে বয়লারের ক্ষয় করে।
● বৃষ্টি চলাকালীন বজ্রপাতের সময় বায়ুর অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন বিদ্যুৎস্ফুলিঙ্গের উপস্থিতিতে পরস্পর যুক্ত হয়ে উৎপন্ন করে – নাইট্রিক অক্সাইড।
● মানুষ ও জীবজন্তুর ত্বকে লাগলে ক্ষতের সৃষ্টি করে – নাইট্রিক এসিড।
● তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণুর মধ্যস্থ নিউক্লিয়াস – অস্থায়ী হয়।
● তেজস্ক্রিয় পরমাণুর ভাঙ্গন বা ক্ষয় চলতে থাকে – যতক্ষণ না এটি একটি অতেজস্ক্রিয় কণা বিকিরণের মাধ্যমে।
● তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ে রূপান্তরিত পরমাণুকে বলা হয় – জাতক পরমাণু।
● একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণু ভাঙন বা ক্ষয়ের মাধ্যমে অন্য একটি অতেজস্ক্রিয় পরামাণুতে পরিণত হওয়াকে বলে – তেজক্রিয় ক্ষয়।
● তেজস্ক্রিয় ক্ষেত্রের সূত্র অাবিষ্কার করেন – রাদারফোর্ড ও সডি।
● তেজস্ক্রিয় ক্ষয় মেনে চলে – সূচকীয় সূত্র।
● তেজস্ক্রিয় ক্ষয় একটি – স্বতঃস্ফুর্ত ঘটনা।
● তেজস্ক্রীয় ক্ষয়ের মাধ্যমে নির্গত তেজস্ক্রিয় রশ্মি – প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
● তেজস্ক্রিয় রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব – বংশপরম্পরা চলতে থাকে।

এসিড, ক্ষারক ও লবণ

● এসিডসমূহ পানিতে তৈরি করে – হাইড্রোজেন অায়ন।
● এসিডের একটি ধর্ম হলো – এটি নীল লিটমাস পেপারকে লাল করে।
● সোনায় সোহাগা তৈরির সময় স্বর্ণকাররা ব্যবহার করে – নাইট্রিক এসিড।
● অাইপিএস, গাড়ি, মাইক বাজানোর সময় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে ব্যাটারি ব্যবহৃত হয় তাতে ব্যবহৃত হয় – সালফিউরিক এসিড।
● বাসাবাড়িতে সাপের উপদ্রব কমাততে যে এসিড ব্যবহার করা হয় তা হলো – কার্বলিক এসিড।
● অামাদের খাদ্যদ্রব্য হজম করার জন্য পকস্থলীর অত্যাবশকীয় এসিড হলো – হাইড্রোক্লোরিক এসিড।
● ইস্পাত তৈরির কারখানায়, চামড়া শিল্পে ব্যবহৃত হয় – হাইড্রোক্লোরিক এসিড।
● সারকারখানায়, বিষ্ফোরকক প্রস্তুতি, খনি থেকে মূল্যবান ধাতু অাহরণ, ও রকেটের জ্বালানির সাথে ব্যবহৃত হয় – নাইট্রিক এসিড
● কোন একটি দেশ কতটা শিল্পোন্নত তা বিচার করা হয় যার উপর ভিত্তি করে তা হল – সালফিউরিক এসিড।
● অম্ল/এসিড – টক স্বাদযুক্ত।
● অাম, জলপাই ইত্যাদি নানান রকমের অাচার সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় – ভিনেগার বা এসিটিক এসিড।
● কেক বিস্কুট, পাউরুটি ফলানো হয় – বেকিং সোডা ব্যবহার করে।
● বাংলাদেশ নারী শিশু নির্যাতন অাইন ১৯৯৫ অনুযায়ী এসিড ছোড়ার শাস্তি হলো – যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যু।
● অামরা সচরাচর যে সব পানীয় ও ফলের রস পান করে থাকি সেগুলো হলো – অম্লীয় পদার্থ।
● কোন দ্রবণে PH মান 7 এর কম হলে তা হবে – অম্লীয় দ্রবণ।
● রক্তের PH হলো – ৭.৪
● পাকস্থলিতে খাদ্য হজম করার জন্য দরকারি PH হলো – ২
● মাটির PH – সাধারণত ৪-৮ হয়ে থাকে।
● ধাতব অক্সাইড ও হাইড্রোঅক্সাইড সমূহ হলো – ক্ষারক।
● ক্ষারকের ধর্ম হলো – এরা লাল লিটমাসকে নীল করে।
● ক্ষার হলো সেই সমস্ত ক্ষারক যারা – স্বাদযুক্ত হয়।
● নির্দেশকসমূহ – নিজেদের বরিবর্তনের মাধ্যমে কোন একটি বস্তু অম্ল, ক্ষরক না নিরপেক্ষ তা নির্দেশ করে।
● পিপড়ার কামড়ের সধ্য মূলত নিঃসৃত হয় – ফরমিক এসিড।
● ক্যালামিন হলো – এক ধরণের লোশন, যা মুলত জিংক কার্বোনেট।
● ভূমির এসিডিটিকে প্রশমিত করা যায় ও উর্বরতা ফিরিয়ে অানা যায় – ক্ষরক ব্যবহারের মাধ্যমে।
● টুথপেস্ট হলো – ক্ষারীয় পদার্থ।
● বসতবাড়িতে পরিস্কারক হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হয় – অ্যামোনিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড।
● সেভিং ফোম বা নরম সাবান তৈরি হয় – পটাশিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড ও চর্বি বা তেল থেকে।
● লবণ হলো – এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন নিরপেক্ষ পদাার্থ।
● খাবার সোডার সংকেত হলো – সোডিয়াম বাই কার্বনেট
● অধিকাংশ লবণ – পানিতে দ্রবণীয়
● কিছু কিছু লবণ অাছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যেমন – ক্যালসিয়াম কার্বনেট, সিলভার সালফেট, সিলভার ক্লোরাইড।
● খাবার লবণের সংকেত হলো – NaCl
● NaCl সাধারণ লবণ বা টেবিল লবণ নামেও পরিচিত।
● টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত – সোডিয়াম গ্লুটামেট।
● অামরা কাপড়কাচা সোডায় যে লবণ ব্যবজার করি তা হলো মূলত – সোডিয়াম স্টিয়ারেট।
● সেভিং ফোম বা জেলে থাকে – পটাশিয়াম স্টিয়ারেট – পটাশিয়াম স্টিয়ারেট।
● কাপড়কাচা সোডার সংকেত – Na₂CO₃.10H₂O
● ফিটকিরির সংকেত হলো – Al₂(SO₄)₃.K₂SO₄.24H₂O
● তুতে এর সংকেত হলো – CuSO₄.5H₂O
● শিল্প কারখানার প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয় – বেশ কিছু লবণ যেমন – তুতে, মারকিউরিক সালফেট, সিলভার সালফেট।
● কোন ফলে কোন এসিড বা উপাদান
➺ পাকা কলা – অ্যামাইল অ্যাসিটেট
➺ কমলা লেবু – অ্যাসকারবিক এসিড
➺ টমেটো – ম্যালিক এসিড
➺ লেবুর রস – সাইট্রিক এসিড
➺ অাপেল – ম্যালিক এসিড
➺ তেতুল – টারটারিক এসিড
➺ অামলকি – অক্সালিক এসিড
➺ অঙ্গুর – টারটারিক এসিড
● ক্ষারক ও নির্দেশক বিক্রিয়ার ফলে রং পরিবর্তন
নির্দেশক – নির্দেশকের রং – ক্ষারকে ধারণকৃত রং
➺ লাল লিটমাস – লাল – নীল
➺ মিথাইল অরেঞ্জ – কমলা – হলুদ
➺ মিথাইল রেড – লাল – হলুদ
➺ ফেনথ্যালিন – বর্ণহীন – গোলাপি।

পর্যায় সারণি

★ একই ধরনের ধর্মবিশিষ্ট মৌলসমূহকে একই শ্রেণীভুক্ত করে, আবিষ্কৃত সব মৌলকে স্থান দিয়ে মৌলসমূহহের যে সারণী বর্তমানে প্রচলিত, তাকে বলা হয় – মৌলের পর্যায় সারণী।
★ বিজ্ঞানী মেন্ডেলিফ’কে বলা হয় — পর্যায় সারণীর জনক।
★ পর্যায় সূত্র আবিষ্কার করেন – মেন্ডেলিফ।
★ পর্যায় সারণীর প্রথম পর্যায়ে মাত্র দুটি মৌল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম আছে।
★ পর্যায় সারণীতে ৭টি পর্যায় এবং ৯টি শ্রেণী আছে।
★ বিজ্ঞানী নিউল্যান্ডস ১৮৬৪ সালে নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্র প্রদান করেন।
★ ধাতু হবার কারণে IA মৌলগুলো তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
★ IA মৌলসমূহ রৌপ্য বর্ণের ও উজ্জ্বল।
★ মৌলের ধর্মাবলী মৌলের পারমাণবিক সংখ্যানুসারে পর্যায়ক্রম আবর্তিত হয়।
★ মৌলের স্ফুনাংক পর্যায়ক্রম পরিবর্তিত হয়।
★ f-ব্লক মৌলসমূহকে আভ্যন্তরীণ অবস্থান্তর মৌল বলে।
★ মৌলের আয়নিকরণ বিভব একটি পর্যায়বৃত্তিক ধর্ম।
★ ল্যান্থানাইড বর্গকে বিরল মৃত্তিকা মৌল বলে।
★ ক্ষারধাতুগুলির সর্ব বহিঃস্তরে ১টি মাত্র ইলেক্ট্রন থাকে।
★ IIA শ্রেণীর মৌলগুলিকে মৃৎক্ষার ধাতু বলে।
★ মৃৎক্ষার ধাতুর সর্ব বহিঃস্তরে ২টি ইলেক্ট্রন দ্বারা s অরবিটাল পূর্ণ থাকে।
★ পর্যায় সারণীতে নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলির অবস্থান শূণ্য শ্রেণীতে।
★ Al এর গলনাংক Na অপেক্ষা বেশি।
★ ক্ষার ধাতুগুলি পর্যায় সারণীতে IA শ্রেণীতে অবস্থিত।
★ একই শ্রেণীর উপর হতে নিচের দিকে আয়নিকরণ শক্তি কমে যায়।
★ একই পর্যায়ের বাম হতে ডান দিকে ক্রমান্বয়ে আয়নিকরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
★ হ্যালোজেনসমূহ পর্যায় সারণীর VIIA শ্রেণীতে অবস্থিত।
★ যে নিষ্ক্রিয় গ্যাসে অাটটি ইলেকট্রন নেই – হিলিমাম।
★ অার্সেনিকের পারমাণবিক সংকেত – ৩৩।
★ কৃতিম উপায়ে তৈরি করা মৌলিক পদার্থের সংখ্যা – ১৬ টি।
★ নিউক্লিয়াসের ধনাত্বক অাধান বৃদ্ধি পায় – পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে।
★ রেডন হলো – তেজস্ক্রিয় মৌল।
★ সাধারণ বৈদ্যুতিক বাল্বের ভিতর সাধারণত ব্যবহৃত হয় – নাইট্রোজেন গ্যাস।
★ ফটোগ্রাফিক ফ্ল্যাশ লাইটে প্রধানত যে গ্যাস ব্যবহার করা হয় – জেনন।
★ হ্যালোজেনের হাইড্রোসিডগুলোর শক্তি ক্রম – HI>HBr>HCl>HF
★ সবচেয়ে হালকা মৌল – হাইড্রোজেন।
★ যে মৌলিক গ্যাস সবচেয়ে ভারি – রেডন।
★ হাইড্রোজেন মৌলের অণুতে পরমাণুর সংখ্যা – ২ টি।
★ IIA উপশ্রণীর মৌলসমূহের হাইড্রক্সাইড সমূহ – ক্ষারধর্মী।
★ বিজ্ঞানী ডর্ন ১৯০০ সালে রেডিয়ামের তেজস্ক্রিয় বিভাজন হতে অাবিষ্কার করেন- রেডন।
★ বিভিন্ন ধাতু:
> ক্ষার ধাতু – লিথিয়াম, সোডিয়াম, পাটাশিয়াম, রুবিডিয়াম, সিজিয়াম।
> মৃৎক্ষার ধাতু – ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম।
> মুদ্রা ধাতু – কপার, সিলভার, গোল্ড।
> নোবেল ধাতু – গোল্ড, সিলভার, প্লাটিনাম।
> অবরধাতু/অবস্থান্তর ধাতু- জিংক, টিন, অায়রন, ম্যাঙ্গানিজ।

কার্বনের বহুমুখী ব্যবহার

● বহুরূপতা হলো – প্রকৃতিতে একই মৌলের ভিন্ন ভিন্ন রূপে অবস্থান করার প্রবণতা।
● কার্বন একটি – বহুরূপী সৌল।
● কার্বনের রূপভেদ হলো – হীরক ও গ্রাফাইট।
● অধাতু হলেও বিদ্যুৎ পরিবহন করে – গ্রাফাইট।
● প্রকৃতিতে সবচেয়ে শক্ত পদার্থ হলো – হীরক।
● কাঁচ কাটতে ব্যবহৃত হয় – হীরা।
● যে মৌলের যৌগের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি – কার্বন।
● উড পেন্সিলের সীসরূপে ব্যবহৃত হয় – গ্রাফাইট।
● নতুন অাবিস্কৃত যৌগ ‘বোরোজেন’ হীরক অপেক্ষা – কঠিন।
● কার্বন সবচেয়ে বেশি অাছে – অ্যানথ্রাসাইড কয়লায়।
● একখন্ড হীরক হচ্ছে – একটি বৃহৎ অণু।
● হীরক উজ্জ্বল দেখায় – পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের জন্য।
● কয়লার মূল উপাদান – কার্বন।
● ক্যাটেনেশন ধর্ম দেখায় – কার্বন।
● পীট কয়লার বৈশিষ্ট্য – নরম ও ভেজা।
● জৈব যৌগ হলো – কার্বন ও অন্যান্য মৌলের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ।
● কার্বন পরমাণুবিহীন প্রায় সকল যৌগ – অজৈব যৌগ।
● সাধারণ ড্রাইসেলে ধনাত্মক পাত হিসেবে ব্যবহৃত হয় – কার্বনদণ্ড।
● শুষ্ক কোষে ইলেকট্রন দান করে – কার্বনদণ্ড।
● মসৃণকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয় – গ্রাফাইট।
● পারমাণবিক চুল্লীতে নিউট্রনের গতি হ্যাসের জন্য মন্থরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, – গ্রাফাইট।
● কালো রং হিসেবে ছাপার কালিতে ব্যবহৃত হয় – ভুষা কয়লা।
● কার্বন হলো – একটি বিজারক পদার্থ।
● চিনি শোধন করতে ব্যবহৃত হয় – প্রাণিজ কয়লা।
● ধাতু নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হয় – কাঠ কয়লা।
● নরম ও সাবানের মতো পিচ্ছিল হওয়ায় গ্রাফাইট ব্যবহৃত হয় – কলকব্জায় পিচ্ছিলকারক বা লুব্রিকেন্ট হিসেবে।
● গ্রাফাইট থেকে সীস তৈরি হয় – কাদা মিশিয়ে।
● এক্সরের সাহায্যে চেনা যায় – অাসল না নকল হীরা।
● হীরকচূর্ণ দিয়ে তৈরি করা হয় – রং।
● অপর্যাপ্ত অাবদ্ধ পাত্রে প্রাণীর হাড় ও রক্ত রেখে তাপ প্রয়োগ করলে বিধ্বংসী পাতনের ফলে এক প্রকার কয়লা উৎপন্ন হয় একে বলে – প্রাণিজ কয়লা।
● প্রাণিজ দেহের হাড়ের বিধ্বংসী পাতনের ফলে উৎপন্ন কয়লাকে বলে – অস্থিজ কয়লা।
● অস্থিজ কয়লাকে HCI দ্বারা প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয় – অাইভরি ব্ল্যাক।
● অাইভরি ব্ল্যাক ব্যবহৃত হয় – কালো রং হিসেবে।

পদার্থের অবস্থা

● যার ভর অাছে, জায়গা দখল করে এবং জড়তা অাছে তাই – পদার্থ।
● পদার্থের অবস্থা – ৩ টি। যথা : কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
● পদার্থ দুই ভাগে বিভক্ত। যথা : মিশ্রণ ও খাটি বস্তু।
● মিশ্রণ দুই প্রকার। যথা : সমসত্ব ও অসমসত্ব।
● খাটি বস্তু দুই প্রকার। যথা: মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ।
● মৌলিক পদার্থ চার প্রকার। যথা : ধাতু, উপধাতু, অধাতু ও নিষ্ক্রিয় মৌল।
● যৌগিক পদার্থ দুই প্রকার। যথা : জৈব যৌগ ও অজৈব যৌগ।
● যে সকল বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য কোন সহজ বস্তুতে রুপান্তরিত করা যায় না, তাকে বলে – মৌলিক পদার্থ।
● এ পর্যন্ত অাবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা – ১১৮ টি।
● যে সকল বস্তুককে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে বলে – যৌগিক পদার্থ।
● যে সব মৌল কখনো ধাতু কখনো অধাতুর ন্যায় ন্যায় অাচারণ করে তাকে বলে – উপধাতু। যেমন : অার্সেনিক, বোরন, সিলিকন।
● তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে বলে – ধাতু।
● যেসব মৌল প্রধানত তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী তাদের বলে – অধাতু।
● দুই বা ততোধিক পদার্থকে যে কোনো অনুপাতে মিশালে যদি তারা নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে পাশাপাশি অবস্থান করে, তবে উক্ত সমাবেশকে বলে – মিশ্রণ।
● বায়ু একটি – মিশ্র পদার্থ।
● সবচেয়ে হালকা গ্যাস – হাইড্রোজেন।
● সবচেয়ে ভারী পদার্থ – তরল মারকারি বা পারদ।
● পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি – ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
● যেসব কঠিন পদার্থ উত্তপ্ত করলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় তাকে বলে – উর্ধ্বপাতিত/
উদ্বায়ী পদার্থ। যেমন : অায়োডিন, কর্পূর, নিশাদল।
● পদার্থের পরিবর্তন – দুই প্রকার। যথা: ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন।
● ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ :
➺ লোহাকে চুম্বকে পরিণত করা।
➺ চিনিকে পানিকে দ্রবীভূত করা।
➺ কঠিন মোমকে তাপে গলানো।
➺ বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো।
➺ পানিকে ঠান্ডা বরফে পরিণত করা।
➺ পানিকে তাপ দিয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত করা।
● রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ :
➺ লোহায় মরিচা পড়া
➺ দুধকে ছানায় পরিণত করা
➺ মোমবাতির দহন
➺ দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো
➺ গাছের পাতায় খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া
● নির্দিষ্ট চাপে কোন কঠিন পদার্থ যে তাপমাত্রায় গলতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের – গলনাংক।
● নির্দিষ্ট চাপে কোন তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় জমতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের হিমাংক।
● নির্দিষ্ট চাপে কোনো তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় বাষ্পীভূত হতে থাকে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের -স্ফুটনাংক।
● চাপ বৃদ্ধি পেলে স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়, চাপ কমলে – স্ফুটনাংক কমে।
● যে তাপে বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধু অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় সে তাপকে বলে – সুপ্ততাপ।
● গলনাংক, স্ফুটনাংক এবং ঘনত্ব হলো – পদার্থের ভৌত ধর্ম।

ভৌত রসায়নের ধারণা

● বিজ্ঞানের যে শাখায় বস্তু বা পদার্থের গঠন, প্রস্তুত প্রণালী, ধর্মাবলী, ব্যবহার, তাপীয় ও বৈদ্যুতিক পরিবর্তন প্রভৃতি সুস্পষ্ট বিধিযোগে সুষ্ঠুরুপে পর্যালোচনা করা হয় তাকে বলা হয় – রসায়ন।
● প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রসায়ন চর্চা পরিচিত ছিল – অাল কেমি নামে।
● অাল কেমি শব্দটি উদ্ভুত – অারবি ‘অাল কেমিয়া’ থেকে, যা দিয়ে মিশরীয় সভ্যতাকে বুঝানো হতো।
● অাধুনিক রসায়নের জনক বলা হয় – জন ডাল্টনকে।
● ১৯১১ সালে অালফা কণা পরীক্ষার সাহায্যে নিউক্লিয়াস অাবিষ্কার করেন – নিউজিল্যান্ডের অার্নেস্ট রাতারফোর্ড।
● পর্যায় সারণির জনক – দিমিত্রি মেন্ডেলিফ।
● ‘পরমাণু অবিভাজ্য তাদের সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই’ মতবাদটির প্রবক্তা – জন ডাল্টন।
রসায়নের শাখাসমূহ :
➺ জৈব রসায়ন
➺ অজৈব রসায়ন
➺ ভৌত রসায়ন
➺ ফলিত রসায়ন
➺ প্রাণ রসায়ন
➺ নিউক্লিয়ার রসায়ন
➺ বিশ্লেষণমূলক রসায়ন
➺ ভেষজ রসায়ন
➺ তড়িৎ রসায়ন
➺ তাপ রসায়ন
➺ ফার্মেসি
➺ চিকিৎসা রসায়ন
➺ পলিমার রসায়ন
➺ বস্তুবিজ্ঞান
➺ পরিবেশ রসায়ন
➺ তাত্ত্বিক রসায়ন
রসায়নের কিছু অাবিষ্কার ও অাবিষ্কারক:
অাবিষ্কার – অাবিষ্কারক – সাল – দেশ
➺ অক্সিজেন – জোসেফ প্রিস্টলি – ১৭৭৪ – যুক্তরাজ্য।
➺ হাইড্রোজেন – হেনরি ক্যাভেন্ডিস – ১৭৬৬ – যুক্তরাজ্য।
➺ ইলেবট্রোন – থমসন – ১৮৯৭ – যুক্তরাজ্য।
➺ প্রোটন – রাদারফোর্ড – ১৯১১ – যুক্তরাষ্ট্র।
➺ নিউট্রন – চ্যাডউইক – ১৯৩২ – যুক্তরাজ্য।
➺ বৈদ্যুকিক কোষ – অালেসান্দ্রো ভোল্টা – ১৮০০ – ইতালি।
➺ ডিনামাইট – অালফ্রেড নোবেল – ১৮৬২ – সুইডেন।
➺ শুষ্ককোষ – জর্জেস লেকল্যান্স – ১৮৬৪ – ফ্রান্স।
➺ পারমাণবিক সংখ্যা – মোসলে – ১৯১৩ – যুক্তরাজ্য।