Category: ইতিহাস

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস (পর্ব-১)

বাঙালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ

  • সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠী বিভক্ত – দুইভাগে।
  • আর্যপূর্ব জনগোষ্ঠী মূলত বিভক্ত – চারভাগে (নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও ভোটচীনীয়।
  • আর্যদের আগমনের পূর্বে এ দেশে বসবাস ছিল – অনার্যদের।
  • নেগ্রিটোদের উৎখাত করে – অস্ট্রিক জাতি।
  • বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাতি – অস্ট্রিক জাতি বা আদি অষ্ট্রেলীয়।
  • বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে – অষ্ট্রিক জাতি থেকে।
  • বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে – অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও আর্য জাতির সংমিশ্রণে।
  • সর্বপ্রথম দেশবাচক শব্দ ‍“বাংলা” যে গ্রন্থে ব্যবহার হয় – আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে।
  • গারো, চাকমা, ত্রিপুরা কোচ ইত্যাদি উপজাতি যে গোষ্ঠীভূক্ত – অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, মঙ্গোলীয় বা ভোটচীনীয়।
  • বর্তমান বাঙালি জাতির পরিচয় – সংকর জাতি হিসেবে।
  • বৈদিক যুগ বলে – আর্য যুগকে।
  • আর্য সংস্কৃতি সমধিক বিকাশ লাভ করে – পাল শাসনামলে।
  • আর্যদের আদি নিবাস – ইউরাল পর্বতের দুক্ষিণে কিরঘিজ তৃণভূমি অঞ্চলে।
  • আর্যদের ধর্মগ্রন্থের নাম – বেদ।
  • আংলার আদিম অধিবাসী হলো – অনার্য ভাষাভাষী শবর, পুলিন্দ, হাড়ি, ডোম, চান্ডাল প্রভৃতি সম্প্রদায়।
  • আর্যদের প্রভাব স্থাপনের পরে বঙ্গদেশে যে জাতির আগমন হয় – মঙ্গোলীয় বা ভোটচীনীয়।
  • বাঙালির জনজীবন গড়ে উঠেছে – অন্তত দেড় হাজার বছরের অনুশীলন, গ্রহণ বর্জন ও রূপান্তরের মাধ্যমে।
  • আর্যগণ প্রথম ভারত উপমহাদেশে আগমন করে – সম্ভবত খ্রিষ্টপূর্ব ১৪০০ বা ১৫০০ অব্দে।
  • আর্যজাতি ভারতে প্রবেশ করার পর প্রথমে বসতি স্থাপন করে – সিন্ধু বিধৌত অঞ্চলে।
  • প্রাচীন কর্ণসূবর্ণ বলতে বোঝায় – আধুনিক পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদকে।
  • অস্ট্রিক জাতি বঙ্গভূমি পদাপর্ণ করে – ইন্দোচীন থেকে আসাম হয়ে।

বাংলার প্রাচীন জনপদ

  • বাংলার সর্ব প্রাচীন জনপদ – পুন্ড্র।
  • বঙ্গ নামে দেশের উল্লেখ পাওয়া যায় – খ্রিষ্টপূর্ব তিন হাজর বছর পূর্বে।
  • সর্বপ্রথম বঙ্গ দেশের নাম পাওয়া যায় – ঋগ্বেদের “ঐতরেয় আরণ্যক” গ্রন্থে।
  • সুপ্রাচীন বঙ্গ দেশের সীমা উল্লেখ আছে – ড. নীহাররঞ্জন রায়ের “বাঙালির ইতিহাস” গ্রন্থে।
  • বাংলার আদি জনপদগুলোর ভাষা ছিল – অস্ট্রিক।
  • রাজা শশাংকের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ যে কয়টি জনপদে বিভক্ত ছিল – ৩ টি। যথা: পুন্ড্র, গৌড়, বঙ্গ।
  • পুন্ড্র : উত্তর বঙ্গের একটি জনপদ। বর্তমান বগুড়া, দিনাজপুর, ও রাজশাহী জেলা নিয়ে এই জনপদ ছিল।
  • গৌড়: উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, মালদাহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও চাপাইনবাবগঞ্জের কিছু অংশ।
  • বঙ্গ : দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গদেশ বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল। বর্তমান ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পাবনা, ময়মনসিংহ ঢাকা, কুষ্টিয়া নিয়ে ছিল বঙ্গ জনপদ।
  • বঙ্গ ও গৌড় নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয় – ৬ষ্ঠ শতকে।
  • চন্দ্রদ্বীপ:বর্তমান বরিশাল জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এই জনপদ ছিল।
  • তাম্রলিপ্ত:পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলা।
  • বরেন্দ্র : উত্তরবঙ্গের একটি জনপদ। ঐতিহাসিকেদের মতে − বর্তমান রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কিছু অংশ এবং দার্জিলিং ও কোচবিহারসহ গঠিত সমগ্র অঞ্চল বরেন্দ্র এলাকা।
  • সমতট: বঙ্গদেশের আর্দ্র-নিম্নভূমিকে সমতট হিসেবে উল্লেখ পাওয়া যায়। বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী নিয়ে ছিল সমতট জনপদ।
  • রাঢ় : ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত (বর্ধমান) অঞ্চলকে রাঢ় বলা হয়।
  • হরিকেল: পূর্বভারতের একটি জনপদ। এই জনপদটি বঙ্গদেশের অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও ত্রিপুরার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা হরিকলের অংশ ছিল বলে অনুমান করা হয়।

বিভিন্ন শাসনামলে বাংলার রাজধানী

  • শাসনামল –        রাজধানী
  • প্রাচীন বাংলা –          মহাস্থানগড়
  • সুলতানী আমল –          সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২ সাল), গৌড় (১৪৫০-১৫৬৫ সাল)
  • মুঘল আমল –          সোনারগাঁও, ঢাকা
  • মৌর্য ও গুপ্ত বংশ –          গৌড়
  • আলাউদ্দীন হোসেন শাহ – একডালা
  • গৌড় রাজ্যের/শশাঙ্কের – কর্ণসুবর্ণ
  • হর্ষবর্ধন –          কনৌজ
  • মৌর্যযুগ/পুন্ড্র জনপদ –          পুন্ড্রনগর (বাংলার প্রাদেশিক)
  • খড়গ –          কুমিল্লার কর্মান্তবসাক
  • সেন আমণ/লক্ষণ সেন –          নদীয়া/নবদ্বীপ
  • প্রথম চন্দ্রগুপ্ত –          পাটালিপুত্র
  • ঈশা খা –          সোনারগাঁও
  • দেব রাজবংশ –          দেবপর্বত
  • বর্মদেব –          বিক্রমপুর
  • বুগরা খান –          লক্ষ্মণাবতী
  • গুপ্ত রাজবংশ –          বিদিশা
  • প্রাচীন বাংলায় বিভিন্ন শাসনামল

প্রাচীন বাংলায় আলেকজান্ডারেরর পৃষ্ঠপোষকতা

  • গ্রীক বীর আলেকজান্ডারের জন্ম – খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫৬ অব্দে।
  • আলেকজান্ডারের মৃত্যু হয় – ৩২ বছর বয়সে।
  • শৈশবে আলেকজান্ডার শিক্ষা লাভ করেন – এরিস্টটলের নিকট।
  • আলেকজান্ডার সিংহাসনে আহরণ করেন – ২০ বছর বয়সে।
  • সম্রাট আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেণ – খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে।
  • আলেকজান্ডার তক্ষশীলা ও সিন্ধু উপতক্যার রাজন্যবর্গকে অনুগত্য স্বীকারের আমন্ত্রণ জানিয়ে দূত প্রেরণ করলে বশ্যতা স্বীকারের প্রতিশ্রুতিসহ প্রচুর পরিমাণে উপঢৌকন প্রেরণ করেন – তক্ষশীলার রাজা অম্ভি।
  • রাজা অম্ভি প্রসঙ্গে ‘উপমহাদেশের ইহাইই হলো দেশদ্রহিতার সর্বপ্রথম দৃষ্টান্ত’ উক্তিটি করেছেন – ড. রমেশ মজুমদার।
  • আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর একের পর এক গ্রিক অধিকৃত অঞ্চলসমূহ জয় করেন – চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

মৌর্য বংশ বা সম্রাজ্য

  • মৌর্য সম্রাজ্য যে যুগের একটি বিস্তীর্ণ সম্রাজ্য – লৌহযুগের।
  • ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সম্রাজ্য – মৌর্য সম্রাজ্য।
  • মৌর্য সম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল – সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমিতে অবস্থিত মগধকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।
  • চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য যার সহযোগিতায় বিশাল মৌর্য সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন – চণাক্য।
  • চণাক্য ছিলেন – তক্ষশীলার বাহ্মণ আচার্য্য এবং বিষ্ণুর উপাসক।
  • মৌর্য বাংশের প্রথম সম্রাট – চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
  • মৌর্য সম্রাজ্যের রাজধানীর নাম – পাটালিপুত্র।
  • চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনামলে যে সম্রাট ভারত আক্রমণ করে – গ্রীক বীর আলেকজান্ডার।
  • মৌর্য বংশের স্থায়ীকাল – ১৩৭ বছর (খ্রিষ্ট পূর্ব ৩২২ থেকে খ্রিষ্ট পূর্ব ১৮৫ পর্যন্ত)
  • মৌর্য বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট – সম্রাট অশোক।
  • সম্রাট অশোকের শাসনামলে যুদ্ধ হয়েছিল – কলিঙ্গের যুদ্ধ।
  • কলিঙ্গের যুদ্ধের ভয়াবহতা লক্ষ্য সম্রাট অশোক ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন – বৌদ্ধ ধর্ম।
  • মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট – বৃহদ্রথ।

গুপ্ত বংশ

  • গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বা প্রথম রাজা – ১ম চন্দ্রগুপ্ত (শ্রী-গুপ্ত) ।
  •  গুপ্ত সাম্রাজ্যের গোড়া পত্তন হয় – ৩২০ খ্রিঃ।
  • গুপ্ত বংশের রাজত্বকাল স্থায়ী – ৩২০-৫৫০ খ্রিঃ
  • গুপ্তযুগে বঙ্গের ভাগ ছিল – দুটি।
  • গুপ্ত বংশের মধ্যে শক্তিশালী রাজা ছিলেন – ১ম চন্দ্রগুপ্ত।
  • ম চন্দ্রগুপ্তের উপাধি ছিল – রাজাধিরাজ।
  • গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা – সমুদ্রগুপ্ত।
  • সমূদ্রগুপ্ত সিংহাসনে আরোহন করেছিল – ৩৩৫ খ্রিঃ।
  • সমূদ্রগুপ্ত রাজ্য শাসন করেন – ৪৫ বছর (৩৮০ খ্রিঃ পর্যন্তু)।
  • সমূদ্রগুপ্তের পিতা ছিলেন – ১ম চন্দ্রগুপ্ত।
  •  সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রার নাম ছিল – অশ্বমেধ পরিক্রমা
  •  দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি ছিল – বিক্রমাদিত্য, সিংহবীর
  • মহাকবি কালিদাস যে রজার সভাকবি ছিলেন – ২য় চন্দ্রগুপ্ত।
  • কালিদাস যে যুগের কবি – গুপ্ত যুগের কবি
  • ২য় চন্দ্রগুপ্ত-এর রাজত্বকাল – ৩৮০-৪১৩ খ্রিঃ
  • অজান্তার গুহাচিত্র যে যুগের সৃস্টি – গুপ্তযুগের।
  • গুপ্ত বংশের যে সম্রাটকে ভারতীয় নেপোলিয়ন বলা হয় – সমুদ্রগুপ্তকে।
  • সর্ব প্রথম যে চীনা পরিব্রাজক ভারতবর্ষে আগমন করেন – ফা-ইয়েন।
  • ফা -হিয়েন যার সময়ে ভারতবর্ষ পরিভ্রমন করেন – ২য় চন্দ্রগুপ্ত।
  • ফা -হিয়েনের ভারত পরিভ্রমনের কারণ – বৌদ্ধ ধর্মপুস্তক ‘বিনায়াপিটক’ এর মূল রচনা সংগ্রহ করা।
  •  ফা -হিয়েন ভারতবর্ষে অবস্থান করেন – তিন বছর।
  • গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে – স্কন্দগুপ্তের বিক্রমাদিত্যের জীবনাবসনে।

গৌড় শাসন

  • স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন – শশাঙ্ক।
  • গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় – ৬০৬ সালে।
  • গৌড় রাজ্যের রাজধানীর নাম – কর্ণসুবর্ণ
  • গৌড়ের স্বাধীন নরপতি ছিলেন – শশাঙ্ক।
  • গৌড় বংশের শক্তিশালী রাজা – শশাঙ্ক।
  • শশাঙ্কের উপাধি ছিল – মহাসামন্ত।
  • হিউয়েন সাঙ বৌদ্ধধর্মের নিগ্রহকারী হিসেবে অবিহিত করেছেন – শশাঙ্ককে।
  • চীনা বৌদ্ধ পণ্ডিত হিউয়েন সাঙ ভারতে আসেন – হর্ষবধনের আমলে।
  • শশাঙ্কের পর গৌড় রাজ্য দখল করেন – হর্ষবর্ধন।
  • হর্ষবর্ধনের সভাকবি – বানভট্ট।

মাৎস্যন্যায়

  • পাল তাম্র শাসনে শশাঙ্কের পর অরাজকতাপূর্ণ সময়কে (৭ম-৮ম শতক) বলে – মাৎস্যন্যায়।
  • পুকুরে বড় মাছগুলো শক্তির দাপটে ছোট ছোট মাছ ধরে খেয়ে ফেলার পরিস্থিতিকে বলে – মাৎস্যন্যায়।
  • ৭ম-৮ম শতক বাংলার সবল অধিপতিরা গ্রাস করেছিল – ছোট ছোট অঞ্চলগুলোকে।

পাল আমল

  • পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা – গোপাল।
  • গোপালের রাজত্বকাল – ৭৫০ থেকে ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ২০ বছর।
  • পাল বংশের রাজাগণ বাংলায় – রাজত্ব করেছেন – প্রায় চারশ বছর।
  • পাল রাজারা -ধর্মালম্বী ছিলেন – বৌদ্ধ।
  • বাংলার দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ – পাল বংশ।
  • পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা – ধর্মপাল।
  • গোপালের পরে বঙ্গ দেশের সিংহাসনে আসীন হন – ধর্মপাল।
  • ধর্মপাল বৌদ্ধ ধর্মপ্রসারে স্থাপন করেন – ১০৭ টি মন্দির।
  • ধর্মপালের রাজত্বকাল ছিল – ৭৭০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত ৪০ বছর।
  • নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত ‘সোমপুর বিহার’ -এর প্রতিষ্ঠাতা – ধর্মপাল।
  • লৌসেন (Lausen) – রাজা দেবপালের (৮১০-৮৫০ খ্রিঃ) সেনাপতি।
  • ‘উদীয়মান প্রতিপত্তির যুগ’ বলা হয় কার শাসনামলকে – দেবপালের।
  • কবে পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটে – ১১২৪ খ্রিষ্ঠাব্দে।
  • পাল বংশের সর্বশেষ রাজা – রামপাল।

সেন আমল

  • সেন বংশের প্রথম রাজা ও প্রতিষ্ঠাতা কে – হেমন্ত সেন।
  • সেন রাজাদের পূর্ব পুরুষগণ যে দেশের অধিবাসী ছিলেন – দাক্ষিণাত্যের কর্ণাটক।
  • কার শাসনামলে বাংলা সর্বপ্রথম এক শাসনাধীন আসে  – বিজয় সেনের।
  • বিজয় সেনের রাজত্বকাল বিস্তৃত ছিল – ১০৯৮-১১৬০ খ্রিঃ
  • সেন বংশের সর্বপ্রথম সার্বভৌম রাজা – বিজয় সেন।
  • সেন বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট – বিজয় সেন।
  • বিজয় সেনের দ্বিতীয় রাজধানী – ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে (রামপাল)।
  • কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক – বল্লাল সেন।
  • সেন বংশের সর্বশেষ রাজা – লক্ষন সেন।
  • বাংলার শেষ হিন্দু রাজা – লক্ষন সেন।
  • সেন রাজাদের মধ্যে গৌড়েশ্বর উপাধি ধারণ করেন – লক্ষন সেন।
  • লক্ষণ সেন ছিলেন – বৈষ্ণব ধর্মালম্বী।
  • লক্ষন সেনের রাজধানী ছিল – গৌড় ও নদীয়ায়।
  • সেন বংশের অবসান ঘটে – ত্রয়োদশ শতকে।
  • যে বাঙালী নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাধ্যক্ষ পদ অলংকৃত করেন – শীলভদ্র।

 

শতাব্দীভিত্তিক বৈশ্বিক ইতিহাস পরিক্রমা

প্রথম শতাব্দী:

৬৪ – রোম নাগরী অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়।
৬৫ – চীনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন ও প্রচার শুরু হয়।
৭০ – পবিত্র নাগরী জেরুজালেম ধ্বংস হয়।
৭৯ – ভিসুভিয়াসের প্রচন্ড অগ্ন্যুৎপাত ও লাভা উদগীরণ ঘটে এবং ইতালীর প্রাচীন নাগরী পাম্পেই ধ্বংস হয়ে যায়।
৮০ – বাষ্পীয় শক্তি, হাইড্রোলিক সূত্র এবং বর্গমূলের সূত্র আবিষ্কৃত হয়।
৯০ – কম্পাস আবিষ্কৃত হয়।

দ্বিতীয় শতাব্দী:

১০৫ – চীনে প্রথম কাগজ প্রস্তুত করা হয়।
১০৬ – রোম সম্রাজ্য বিস্তার ঘটে।
১২২ – হাড্রিয়ান প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

তৃতীয় শতাব্দী:

২২০ – চীন তিনটি পৃথক রাজ্যে ভেঙে যায়
২৮০ – চীন পুনরায় একত্রিত হয় চী রাজতন্ত্রের অধীনে।
২৯৩ – রোম সম্রাজ্য পূর্ব ও পশ্চিম এ দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
৩০০ – চীনে চা পানের প্রথা চালূ হয়।

চতুর্থ শতাব্দী:

৩১০ – আলজেবরা বা বীজগণিতের উন্নয়ন ঘটে। এর বিকাশ সাধন করেন দিওফানতাস।
৩২০ – চীনে ক্যালিওগ্রাফির উন্নয়ন শুরু হয়।
৩২১ – রোম সম্রাজ্যে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি বা বিশ্রামবার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
৩৫০ – মধ্য আমেরিকায় মায়ান নগর রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি ঘটে।
৩৯২ – রোম সম্রাজ্যের পূর্ব অংশে খ্রিষ্টান ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

পঞ্চম শতাব্দী: পঞ্চম শতাব্দীকে আলকেমি যুগ বলা হয়।

৪০০ – ইস্টার দ্বীপে শিলা পাথরের ভাস্কর্য তৈরি শূরু হয়।
৪০১ – জাপানের সুনির্দিষ্ট ইতিহাস রেকর্ড করা শুরু হয়।
৪১০ – রোম নাগরী লুণ্ঠিত হয় এবং আলকেমি যুগ শুরু হয়।
৪৩৯ – কার্থেজ নাগরী দখল করা হয়।
৪৫০ – সিলে কালির ব্যবহার শুরু হয়।
৪৭৬ – রোম সম্রাজ্যের পূর্বাংশের পতন ঘটে।
৪৭৮ – জাপানে শিন্টোবাদ ধর্মীয় ব্যবস্থার প্রচলন শূরু হয়।
৪৭৯ – বৌদ্ধ ধর্মকে চীনের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়।

ষষ্ঠ শতাব্দী :

৫৭০ – মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জন্ম।
৫৮৯ – চীনে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে এবং সুই রাজতন্ত্রের অধীনে পুনঃএকত্রিত হয়।

সপ্তম শতাব্দী : ইসলাম ধর্মের প্রসারের যুগ।

৬১০ – হযরত মুহাম্মদ (সা) নবুওয়াত লাভ করেন এবং চীনে গ্রান্ড খাল খনন কাজ সম্পন্ন হয়।
৬১৯ – চীনে প্রথম আর্কেস্ট্রা দল গঠিত হয়।
৬৩৩ – হযরত মুহাম্মদ (সা) ইন্তেকাল করেন।
৬৪৪ – চীন কোরিয়া দখল করে।
৬৫০ – চীনে অশ্ববন্ধনী আবিষ্কৃত হয়।
৬৫১ – পবিত্র কুরআনকে লিখিত রূপ দেওয়া হয়।
৬৭০ – আরবরা উত্তর আফ্রিকার ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
৬৮৫ – জাপান বৌদ্ধ ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করে।
৬৯১ – জেরুজালেমে বিখ্যাত পাথরের গম্বুজ নির্মাণ সম্পন্ন হয়।

অষ্টম শতাব্দী :

৭০৫ – দামেস্কের ঐতিহাসিক মসজিদের কাজ শুরু হয়।
৭৫৪ – ইউরোপের রাজার স্বর্গীয় অধিকার বা ডিভাইন রাইট ঘোষণা দেওয়া হয়।
৭৭০ – মধ্যপ্রাচ্যে সর্বপ্রথম পাবলিক ফার্মেসী খোলা হয়।
৭৭৮ – রোমে সমবেতভাবে প্রশংসাগীতি গাওয়ার প্রচলন শুরু হয়।
৭৮৭ – ইউরোপে স্ক্যান্ডিনেভীয় জলদস্যুরা একটি বড়সড় হামলা চালায়।

নবম শতাব্দী :

৮০০ – শার্লিম্যান পবিত্র সম্রাজ্য পশ্চিম রোমান সম্রাজ্যের সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হন।
৮১১ – ইন্দোনেশিয়ায় বার্বাদুর নামের মন্দির নির্মিত হয়।
৮২১ – চীন তিব্বত দখল করে নেয়।
৮৪৫ – চীনের বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কালো অধ্যায় শুরু হয়।
৮৫০ – আরব বণিকেরা নৌযানে চীনে পৌছান।
৮৬০ – মধ্যপ্রাচ্যে কারিগরি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্ক্যান্ডিনেভীয় জলদস্যুরা আইসল্যান্ডে হানা দেয়।

দশম শতাব্দী: নগর পত্তনের শতাব্দী/তাস আবিষ্কারের শতক/বারুদ আবিষ্কারের শতক/আরব্য রজনীর শতাব্দী

৯৩৩ – যাজক বা পাদরির উদ্ভব ঘটে।
৯৫০ – চীনে তাসের খেলা প্রচলন হয়। মুসলিম বিশ্বে আরব্য রজনীর কাহিনী সংকলিত হয়।
৯৬৯ – মিশরের রাজধানী কায়রোর পত্তন ঘটে।
৯৭৬ – ইতালির ভেনিস নাগরির পত্তন ঘটান সেন্ট মার্কস।
৯৮৯ – রাশিয়ায় খ্রিষ্টান ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়।
৯৯৪ – ভারতের রাজধানী দিল্লী প্রতিষ্ঠিত হয়।

একাদশ শতাব্দী :

১০০০ – চীনে বারুদ আবিস্কৃত হয়। নিউজিল্যান্ডে পলিনেশীয়দের আগমন ঘটে।
১০১০ – জাপানের জনপ্রিয় লোকগাঁথা গেনজি শিকিবোর প্রচলন ঘটে।
১০২৪ – চীনে সর্বপ্রথম কাগুজে মুদ্রার প্রচলন ঘটে।
১০৬৬ – নরম্যান ইংল্যান্ড জয় করেন।
১০৯৫ – প্রথম ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ শুরু হয়।
১০৯৯ – প্রথম ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ শেষ হয়।

দ্বাদশ শতাব্দী :

১১৪৪ – ফ্রান্সে প্রথমবারের মতো গির্জা তৈরি হয়।
১১৬১ – চীন যুদ্ধে প্রথম বারের মতো গোলাবারুদ ব্যবহার করে।
১১৭০ – ম্যাগনেটিক কম্পাস আবিষ্কৃত হয়।
১১৮০ – ইউরোপে উইন্ডমিল বা বায়ুচালিত কলের ব্যবহার শুরু হয়।
১১৯১ – জাপানে চা পানের প্রচলন শুরু হয়।

ত্রয়োদশ শতাব্দী :

১২০০ – চীনে সর্বপ্রথম কামান ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়।
১২০২ – ইউরোপে আরবীয় ও হিন্দু গণনা রীতির প্রচলন শুরু হয়।
১২১৫ – ম্যাগনাকার্টা অনুমোদিত হয়। চেঙ্গিস খান তার সম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান।
১২২৯ – ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিচার করার জন্য আদালত গটিত হয়।
১২৪০ – চীন ও ইউরোপের মধ্যে সর্বপ্রথম যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
১২৭৫ – জগদ্বিখ্যাত ও ইতিহাসখ্যাত পর্যটক মার্কো পেলো চীনে পৌছান।
১২৯০ – ইতালিতে চশমা আবিষ্কৃত হয়। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য গঠিত বণিক সভার উন্নয়ন ঘটে।

চতুর্দশ শতাব্দী:

১৩০০ – সমগ্র ইউরোপে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, যা ইতিহাসে ব্লাক ডেটথ হিসেবে পরিচিত। গোলা কামানের ব্যবহার শুরু হয়।

পঞ্চদশ শতাব্দী : নৌপথ আবিষ্কারের শতাব্দী

১৪০৬ – চীনে সম্রাটের জন্য রাজপ্রাসাদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
১৪৩১ – কিংবদন্তী ফরাসি রমণী জোয়ান অব আর্ক এর আগুনে পুড়িয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। তাকে ডাইনি অপবাদে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
১৪৩৩ – চীন তার পররাষ্ট্রনীতিতে একলা চলো নীতি গ্রহণ করে।
১৪৪৫ – গুটেনবার্গ জার্মানিতে স্থানান্তরযোগ্য ধাতব টাইপ মেশিন বা মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
১৪৫২ – জগদ্বিখ্যাত মোনালিসা চিত্রের চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি জন্মগ্রহণ করেন।
১৪৫৫ – গুটেনবার্গের ছাপাখানায় প্রথম বাইবেল মুদ্রিত হয়।
১৪৮৯ – জর্মানিতে (+) যোগ আর (-) চিহ্নের আবিষ্কার হয়।
১৪৯২ – কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন।
১৪৯৮ – ভাস্কো দা গামা ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষে আসার জলপথ আবিষ্কার করেন।

ষোড়শ শতাব্দী : মুঘল সম্রাজ্য পতিষ্ঠার শতাব্দী

১৫০২ – জার্মানিতে ঘড়ি আবিষ্কৃত হয়।
১৫১৯ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের আগমন ঘটে। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে প্রথম ক্রীতদাস আনা হয়।
১৫২৬ – বাবর পানিপথের যুদ্ধে ইব্রাহীম লোদীতে পরাজিত করে ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্যের গোড়াপত্তন করেন।
১৫৩৪ – ইংল্যান্ডের রাজা অস্টম হেনরি গির্জার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১৫৪৩ – পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরো।– কোপার্নিকাস এ তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে প্রথম তেলের খনি আবিষ্কৃত হয়।
১৫৫৫ – তামাক চাষের প্রচলন হয।
১৫৬৬ – ইংল্যান্ডে সমান (=) চিহ্ন আবিষ্কৃত হয়।
১৫৬৯ – জলপথ, স্থলপথ, মহাদেশ, দেশ, সাগর, মহাসগর প্রভৃতি সবকিছু চিহ্নিত করে জার্মানিতে প্রথম সমন্বিত মানচিত্র আবিষ্কৃত হয়।
১৫৮২ – মাস সপ্তাহ, দিন নির্ধারণ ও নির্ণয় করে রোমে ক্যালেন্ডারের প্রচলন শুরু হয়।
১৫৯১ – ইতালিতে থার্মোমিটার আবিষ্কৃত হয়।

সপ্তদশ শতাব্দী :

১৬০০ – বিট্রিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠিত হয়।
১৬০২ – ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠত হয়।
১৬০৫ – ভারতের অমৃতসরে শিখদের পবিত্র স্বর্ণমন্দির নির্মিত হয়।
১৬০৮ – ইতালির বিজ্ঞানী গ্যালিলিও অনুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
১৬১০ – ঢাকায় সর্বপ্রথম সুবা বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয়।
১৬১৪ – স্কটল্যান্ডে উচ্চতর গণিতের অত্যাবশ্যকীয় সূত্র বা সংকেত লগারিদম আবিস্কৃত হয়।
১৬২১ – রোমে ১ জানুয়ারিকে নববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তামাকের চাষ শুরু হয়।
১৬৩৩ – জাপান তার পররাষ্ট্র নীতিতে বিছিন্নতাবাদী নীতি গ্রহণ করে।
১৬৪৪ – চীনে কিয়াং রাজতন্ত্রের অধীনে মাঞ্চু শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৫০ – ইটালিতে চাদেঁর মানচিত্র অঙ্কিত হয়।
১৬৫৯ – ইতালিতে প্রথম আইসক্রিম তৈরি হয়।
১৬৬২ – আগ্রার তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
১৬৬৫ – লন্ডনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বিখ্যাত জাদুঘরটি ভষ্মীভূত হয়।
১৬৬৭ – নাট্যকার মিল্টনের অমর মহাকাব্য প্যারাডাইস লস্ট প্রকাশিত হয়।
১৬৯০ – কলকাতা নগরীর গোড়াপত্তন ঘটে।

অষ্টাদশ শতাব্দী

১৭০১ – ইংল্যান্ডে শস্য ভাঙার কল আবিষ্কৃত হয়।
১৭০২ – যুক্তরাজ্যের প্রথম ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি কোরেন্ট প্রকাশিত হয়।
১৭৪২ – সুইজারল্যান্ডে তাপমাত্রা মাপার জন্য সেলসিয়াস স্কেল ব্যবহৃত হয়।
১৭৫০ – ইউরোপে শিল্প বিল্পব সুচনা হয়।

অসহযোগ অান্দোলন ১৯৭১

● ১৯৭১ সালের অসহযোগ অান্দোলন শুরু হয়েছিল – ২ মার্চ।
● ১৯৭১ সালের অসহযোগ অান্দোলন শেষ হয়েছিল – ২৫ মার্চ।
● অসহযোগ অান্দোলনের শুরুতেই ২ মার্চ ছাত্র সংগঠনগুলো যে পরিষদ গঠন করেছিল – স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
● ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন – ১ মার্চ ১৯৭১।
● অধিবেশন স্থগিতকরণকে বঙ্গবন্ধু অাখ্যায়িত করেন – দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে।
● অধিবেশন স্থগিতকরণের প্রতিবাদে ঢাকায় ও সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল পালিত হয় যথাক্রমে – ২ মার্চ ও ৩ মার্চ।
● ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় – ২ মার্চ।
● ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে ‘স্বাধীনতার ইসতেহার’ ঘোষণা করে – ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
● অামার সোনার বাংলা অামি তোমায় ভালোবাসি’ সঙ্গীতটি পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত হয় – ৩ মার্চ ১৯৭১।
● বঙ্গবন্ধু ‘রেসকোর্স ময়দানে’ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন – ৭ মার্চ।
● অসহযোগ অান্দোলনের প্রথম ছয় দিনে সরকারি প্রেসনোট অনুয়ায়ী হতাহতের সংখ্যা ছিল – ১৭২ জন নিহত এবং ৩৫৮ জন অাহত।
● ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ পাকিস্তান দিবসের পরিবর্তে ‘প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে – ২৩ মার্চ।
● স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হয় – অসহযোগ অান্দোলন।
● “লোকটি এবং তার দল পাকিস্তানের শত্রু, এবার তার শাস্তি এড়াতে পাররবে না” উক্তিটি করেছিল – জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
● বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক ঘোষণা করা হয় – ৩ মার্চ।

দিল্লির সালতানাত

সুলতান কুতুবুদ্দিন অাইবেক
✓ সুলতান কুতুবুদ্দিন অাইবেক জীবন শুরু করেন – মুহাম্মদ ঘুরীর ক্রীতদাস হিসেবে।
✓ মুহাম্মদ ঘুরীর অনুমতিক্রমে ভারত বিজয় করে দিল্লিতে মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন করেন – কুতুবুদ্দিন অাইবেক।
✓ উপমহাদেশে স্থায়ী মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা – কুতুবুদ্দিন অাইবেক।
✓ কুতুবুদ্দিন অাইবেক ছিলেন – তুর্কিস্তানের অধিবাসী।
✓ কুতুবুদ্দিন অাইবেকের শাসনামলকে চিহ্নিত করা হয় – প্রাথমিক যুগের তুর্কি শাসন হিসেবে।
✓ দিল্লির প্রথম স্বাধীন সুলতান – কুতুবুদ্দিন অাইবেক।
✓ দানশীলতার জন্য কুতুবুদ্দিন অাইবেককে বলা হত – লাখবক্স।
✓ দিল্লির কুতুবমিনারের নির্মানকাজ শুরু করেন – কুতুবুদ্দিন অাইবেক।
✓ কুতুবদ্দিন অাইবেকের মৃত্যু – ১২২১ সালে।
সুলতান শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ
✓ কুতুবুদ্দিন অাইবেকের জামাতা ছিলেন – শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ।
✓ প্রাথমিক যুযে তুর্কি সুলকানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন – ইলতুতমিশ।
✓ দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় – শামসউদ্দিন ইলতুতমিশকে।
✓ ভারতে মুসলমান শাসকদের মধ্যে প্রথম মুদ্রা প্রচলন করেন – শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ।
✓ ইলতুতমিশের উপাধি ছিল – সুলতান ই অাযম।
✓ কুতুব মিনার নির্মাণ করেন – শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ।
সুলতানা রাজিয়া :
✓ ইলতুতমিশের কন্যার নাম – সুলতানা রাজিয়া।
✓ সুলতানা রাজিয়া দিল্লির সিংহাসনে অারোহণ করেন – ১২৩৬ সালে।
✓ দিল্লির সিংহাসনে অারোহণকারী প্রথম নারী নাম – সুলতানা রাজিয়া
সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ
✓ দিল্লির প্রথম তুর্কি শাসনবর্তা ছিলেন – ইলতুতমিশের পুত্র সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ
✓সরল ও অনাড়ম্বর জীবন যাপনের জন্য ফকির বাদশাহ নামে পরিচিত ছিলেন – নাসিরুদ্দিন মাহমুদ
✓ কুরঅান অনুলিপি ও টুপি সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন – নাসিরুদ্দিন মাহমুদ।
সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন
✓ রক্তপাত ও কঠোর নীতি যার শাসনের বৈশিষ্ট্য – সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন।
✓ সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের দরবার অলংকৃত করেন – অামীর খসরু।
✓ ভারতের তোতাপাখি নামে পরিচিত – অামীর খসরু।
✓ বিদ্যোৎসাহী ও গুণীজনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন – সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন।
অালাউদ্দিন খলজি
✓ অালাউদ্দিন খলজিকে দিল্লির শ্রেষ্ঠ সুলতান হিসেবে অভিহিত করেন – পর্যটক ইবনে বতুতা
✓ দ্রব্যের মুল্য নিয়ন্ত্রণের উপর হস্তক্ষেপ করেন – অালাউদ্দিন খলজি।
✓ বিখ্যাত অালাই দরওয়াজা – অালাউদ্দিনের কীর্তি।
✓ যে সকল গুণীজন অালাউদ্দিন খলজির পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন – জিয়াউদ্দিন বারনী, কবি হোসেন দেহলভী, কবি অামির খসরু।
✓ প্রথম মুসলিম শাসক হিসেবে দক্ষিণ ভারত জয় করেন – অালাউদ্দিন খলজি।
✓ দক্ষিণাত্যের দেবগিরির রাজা রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হয় – মালিক কাফুর নেতৃত্বে।
✓ দক্ষিণাত্যের দেবগিরির রাজা রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে সমারিক অভিযান প্রেরণ করেন – অালাউদ্দিন খলজি।
✓ যুদ্দে পরাজিত হয়ে দিল্লির অনুগত্য স্বীকার করেন – দেবগিরির রাজা রামচন্দ্র।
মুহম্মদ বিন তুঘলক
✓ মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজত্বকালে ভারতবর্ষে অাগমন করেন – ইবনে বতুতা।
✓ দিল্লি থেকে দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তর করেন – মুহাম্মদ বিন তুঘলক।
✓ উত্তরভারতে মোঙ্গলদের অাক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় রাজধানী দিল্লিতে ফেরত অানেন – মুহম্মদ বিন তুঘলক।
✓ সোনা রূপার মুদ্রার পরিবর্তে প্রতীক তামার মুদ্রা প্রচলন করে মুদ্রামান নির্ধারণ করেন – মুহম্মদ বিন তুঘলক।
✓ ইবনে বতুতাকে প্রথমে দিল্লির কাজী ও পরবর্তীতে চীনের রাষ্ট্রদূত করেন – মুহম্মদ বিন তুঘলক।
মাহমুদ শাহ :
✓ তুঘলক বংশের শেষ সুলতান ছিলেন – মাহমুদ শাহ
✓ তৈমুর লং এর ভারত অাক্রমণে পরাজিত হন – মাহমুদ শাহ।
✓ বিখ্যাত তুর্কী বীর তৈমুর ছিলেন – মধ্য এশিয়ার সমরকন্দের অধিপতি।
✓ তৈমুর লং ভারত অাক্রমণ করেন – ১৩৯৮ সালে।
ইব্রাহীম লোদী
✓ দিল্লির লোদী বংশের সর্বশেষ সুলতান – ইব্রাহীম লোদী।
✓ দিল্লি সালতানাতের পতন ঘটে – ইব্রাহীম লোদীর পরাজয়ের মাধ্যমে